শূন্য চোখের স্বপ্ন

তনিমা রব তোড়া :

আজকের যুগে শিশুদের নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যপক আয়োজনে মিছিল মিটিং হলেও প্রকৃতপক্ষে শিশুদের পাশে দাড়ানোর মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ এ প্রবাদ বাক্যটি বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মিছিল, মিটিং এর মূল কথা। তবে তা মুখের কথাই থেকে যাচ্ছে, বাস্তবে তার প্রয়োগ, প্রচার বা প্রসার কোনটিরই দেখা মেলে না। বর্তমানে তার ভিন্ন চিত্র যা প্রতিটি জেলা শহরের সাধারণ দৃশ্যের একটি। প্রতিবছর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। তবে আমাদের সমাজে শিশু শ্রম বন্ধ হয় না কখনোই। বরং তা পর্যায়ক্রমিক ভাবে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।

বিভিন্ন কলকারখানা এবং গার্মেন্টসগুলোতে নামেমাত্র শিশু শ্রমবিরোধী সাইনবোর্ড দেখা গেলেও, তারাই অধিক লাভের আশায় শিশুদের এসব কাজে ব্যবহার করে। সমাজের উচ্চপদস্ত ব্যক্তিটি মিছিল, মিটিং এ শিশু শ্রমবিরোধী বক্তৃতার পর রাস্তায় পথশিশুকে দেখেন না। নিজের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে নিয়োজিত শিশুটির উপর অমানবিক নির্যাতন করেন দিনের পর দিন। বর্তমানে পুজি ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানেও দেখা যায় শিশু শ্রমিকদের ঢল। অনেক শিশুদের লেখাপড়া করার ইচ্ছে থাকা সত্তেও পরিবারের চাপে নয়তো পরিবারহীন হওয়ায় মেনে নিতে হয় এই ভিক্ষাবৃত্তি নামক ব্যবসা। এসব শিশুর অসহায় চোখের দিকে তাকিয়েও কারও বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না। এ কোন দেশে বাস করছি আমরা। যে দেশ লাখো মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছে আজ এত বছর কোথায় সেই স্বাধীন দেশ। যে দেশে ছোট ছোট শিশুরা নিজেদের অধিকার পায় না, জীবীকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি আরো কঠোর শ্রমকে মেনে নিচ্ছে সে দেশ কিভাবে উন্নতির শেখরে পৌঁছবে। যেখানে সরকার সুষ্ঠুভাবে এর কোন প্রতিকার করতে পারছে না সেখানে সাধারন মানুষের সামান্য সহায়তায় কিছুই সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই থেকে যাবে। পথশিশু আর শ্রমজীবী শিশুরা এভাবেই অনাদরে অবহেলায় পড়ে রবে। আর এভাবেই উপরমহলের বক্তব্যগুলো পুরোনো হতে থাকবে সেই সাথে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিক্ষাহীনতায় ভুগে পঙ্গুত্ব বরণ করে নেবে। আমাদের দেশে সফলভাবে শিশুদের জন্য কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। অবহেলিত শিশুরা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপে। নির্যাতনে জর্জরিত করা হচ্ছে একের পর এক শিশুকে। এরকম শিশু নির্যাতনের এক একটি ঘটনার পর দেশময় তোলপাড় হয়ে যায় ঠিকই কিন্তুু প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কারও ভূমিকা বিশেষ লক্ষ্যনীয় নয়। তাহলে নিজের দেশে শিশুর নিরাপত্তা কোথায় ?

শিশুরা সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে বড় হবে তেবেই তো তারা দেশ নেতৃত্ব দেবে। যেখানে তাদের বেঁচে থাকাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করা নেহায়েত কল্পনাতীত। দেশের বর্তমান পরিস্থতি বিবেচনায় সরকার সহ সকলের সজাগ দৃষ্টিই এসকল শিশুদের শূণ্য চোখে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ফোটাতে পারে । আর তা না হলে স্বপ্নগুলো শূন্য চোখেই রয়ে যাবে.

আমরাই পারি।

হাসান মাহমুদঃ এনসিটিএফ এর উদ্যেগে ২৬/১০/২০১৫ সকাল ১১ ঘটিকার সময় মেহেরপুর জেলার মটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সাথে এনসিটিএফ সদস্যদের শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এখানে মটমুরা ইউনিয়ন এর সব গ্রাম থেকে এনসিটিএফ সদস্য এবং স্কুল প্রদান শিক্ষক সহ ইমাম সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

শিশু অধিকার সনদের ১২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শিশুরা তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে দায়িত্ব বাহকের সাথে মতপ্রকাশ করতে পারবে। গণ-শুনানিতে শিশুদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো হচ্ছে ইভটিজিং,শিশুদের মাদকের প্রতি আসক্ততা,অল্প বয়সে বিবাহ, দপ্তরি দিয়ে ক্লাস নেওয়া, কিছু স্কুলে বাথরুম ব্যবহার অনপুযোগী, ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ মিটিং রুম এবং ফার্নিচার। এনসিটিএফ শিশুদের গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেমবর এর মধ্যে শিশু বিবাহের সংখ্যা ২৫ জন যাদের বয়স গড়ে ১১-১৪ বছর। বাওট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন শিশু বিবাহ বন্ধ করতে হলে সবার আগে অভিবাবকদের সচেতন করতে হবে। তাদের সচেতন করতে পারলে এটা রোধ করা সম্ভব হবে।
আমার স্কুল এলাকার মধ্যে কোন মেয়ে ইভটিজিং স্বীকার হও আমাকে জানালে আমি পদক্ষেপ নিব। মুটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিশু বিবাহ সর্ম্পকে বলেন আমাদের দেশ তথা সমাজের মারাত্বক ব্যাধি। যার ফলে বিশেষ করে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা বা সমান অধিকার থেকে এর জন্য একা আন্দোলন করলে হবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরাই পারি শিশু বিবাহ প্রতিরোধ করতে, কারন সরকারের সব চাইতে নিম্ন পর্যায় আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ।

এনসিটিএফ থেকে তোমরা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছো সেগুলোর সাথে আমি একমত এগুলো প্রতিরোধ করতে আমার যেখানে যা সহযোগীতা লাগবে আমাকে বললে আমি সহযোগিতা করব। এনসিটিএফ আমার চোখ খুলে দিয়েছে আমি অনেক বিষয় জানলাম ভবিষতে তোমরা আমাদের এভাবে জানাবে। আমি এনসিটিএফ এর মিটিং করার জন্য এ রুমে তোমাদের চেয়ার টেবিল যা লাগে তা পরিষদ থেকে নিয়ে একটা তালা মেরে চাবি তোমাদের কাছে রাখবে।

তোমাদের খবরগুলো আমাদের ইউনিয়ন র্পোটালে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্তাকে দিলে তা প্রকাশ করা হবে। পলাশি পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগিতায় উক্ত শুনানিতে শিশু ও সুশীল সমাজের ৪৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এনসিটিএফ এর চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য জনি আহাম্মেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস প্রতিনিধি সহ সেভ দ্য চিলড্রেন এর সেন্ট্রাল ভলান্টিয়ার শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম উপজেলা ভলান্টিয়ার জসিম উদ্দিন এবং ইসমোতারা প্রমুখ্য।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এনসিটিএফ এর সম্মাননা স্বারক।

হাসান মাহমুদঃ মেহেরপুর জেলাস্থ গাংনী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আবুল আমিন মহোদয় খুলনা বিভাগের সেরা উপজেলা নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ায় এনসিটিএফ জেলা কার্যনির্বাহি কমিটি ও গাংনী উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মেহেরপুরের সকল এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ তাঁর এই সাফল্যের জন্য গর্বিত এবং আনন্দিত। ২৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে শিশুরা ফুল এবং সম্মাননা স্বারক গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনসিটিএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন আমি এনসিটিএফ শিশুদের খুবই ¯েœহ করি এবং আমি সর্বদা তোমাদের পাশে আছি এবং থাকব। তিঁনি এও বলেন, এনসিটিএফ শিশুদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে আমি উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে এনসিটিএফ গাংনী উপজেলা কমিটির সচিবালয় হিসাবে ব্যবহার করতেএকটি কক্ষ সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়েছি। অতি শীঘ্রই আমি তোমাদের নিয়ে কক্ষটির শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করব। উদ্বোধনকালে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানটি সকল টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ লাল মিয়া, সভাপতি, এনসিটিএফ মেহেরপুর জেলাকমিটি, হাসান মাহমুদ, স্পীকার, চাইল্ড পার্লামেন্ট, মোঃ রোকুনুজ্জামন রাকিব, সভাপতি ও জেমী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক,এনসিটিএফ গাংনী উপজেলা কমিটি,জনাব মোঃ ইমরান হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজার, সেভ দ্য চিল্ড্রেন মেহেরপুর ও জনাবমোঃআবুজাফর মোহাম্মাদ হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার, সেভ দ্য চিল্ড্রেন, জনাব মোঃ মোর্শারফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি এবং সুনীল কুমার রায়, প্রকল্প পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।

Learning camp to develop children s skill

One hundred children got life skill training to protect them-selves from mental and physical unfavorable situation in life at Gangni in Meherpur . In the learning camp children got to know about the child convention and various skills for life . Beside that they took part in a drawing and quiz competition.The Chief guest appreciated NCTF for their participation in local level child budget, hot line introduction to stop child marriage and others advocacy activities. The training session held on 28 October 2015  with the support of Bangladesh Shisu Academy, Somaj Kollan Somiti and Save the Children.


গাংনী উপজলো লার্নিং ক্যাম্প।

জেমী আক্তারঃ গত ২৮ই অক্টোবর, শুক্রবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), মেহেরপুর এর আয়োজনে ১০০ শিশুর উপস্থিতিতে লার্নিং ক্যাম্প ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবং পলাশি পাড়া সমাজ কল্যাণ সমতিরি সহযোগিতায় উক্ত লার্নিং ক্যাম্পে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সকল ইউনিয়ন থেকে এনসিটিএফ প্রতিনিধি, এডি সেন্টার প্রতিনিধি, চাইল্ড প্রটেকশন প্রতিনিধিসহ অন্যান্য এলাকার শিশুরা অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯.৩০ মনিটিরে সময় প্রধান অতথিি জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা লার্নিং ক্যাম্প এর শুভ উদ্বোধন করেন।

পরবর্তীতে শিশুরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিশু অধিকার সনদ, জীবন দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরে শিশুরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর শিশুরা ঘুড়ি উড়ায়,সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে শিশুরা পরিবেশকে আরো বেশী আনন্দঘন করে তোলে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচীর বিভিন্ন কর্মসুচি সম্পর্কে উপস্থিত শিশুদের অবহিত করেন ডেপুটি ম্যানেজার জনাব ইমরান চৌধুরী। এর পর শিশুরা কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি,শুনীল কুমার রায় প্রজক্টে ডরিক্টের পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ,জনাব আবুজাফর মোহাম্মদ হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন,লালমিয়া, সভাপতি, এনসিটিএফ মেহেরপুর জেলা। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় গাংনী উপজলো এনসটিএিফ সভাপতি রোকুনুজ্জামান রাকবি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে গাংনী উপজেলা এনসিটিএফ সাধারন সম্পাদক জমেী খাতুন,জনি আহাম্মদে,মোমনি এবং কাকলী আক্তার।

আলোচনা সভায় জমেি খাতুনরে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এনসিটিএফ মেহেরপুরের বিভিন্ন সফলতা এবং প্রশাসনের দাবি তুলেধরে। এর মধ্যে উল্লেখ্য, তারা চলতি বছর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট পরিকল্পনা সভায় অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সুপারিশে ইউনিয়ন পরিষদ শিশুদের জন্য সুনির্দিস্ট বাজেট বরাদ্দ করে। এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ প্রধান অতিথির নিকট আগামী বছর সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাজেট সভায় অংশগ্রহণ করতে একটি সরকারি নির্দেশনামূলক বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি জানায় চায়। শিশুরা যাতে সরাসরি প্রশাসনের কাছে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ সমূহ জানাতে পারে তার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য দাবি জানায়। এছাড়া সে তার বক্তব্যে জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যে তাদের সরকারী ওয়েবসাইটে এনসিটিএফ এর সংবাদ ও তথ্য শেয়ার করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উপজলো প্রশাসনরে একটি নির্দিষ্ট হটলাইন চালু করলে তারা তৎক্ষনাত তথ্য জানাতে পারবে এবং আরো উল্লেখ করে তাদের মেহেরপুরের সকল গ্রামে এনসিটিএফ এর সদস্য আছে।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এনসিটিএফ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকল কাজে এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবে বলে জানান। তার পাশাপাশি প্রধানঅতিথি তার বক্তব্যে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে অঙ্গীকার তুলেধরেন এবং এনসিটিএফকে আরো বেশী কাজ করার জন্য বলেন। তিনি সব সময় এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবেন বলে ও জানান এবং এনসিটিএফ এর কাজের প্রশংসা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শশিু ছাড়া আরো উপস্থতি ছলিনে মৃদুল কুমার পএিসকএেস,মোঃ শহদিুল ইসলাম শান্ত, চাইল্ড র্পালামন্টে স্পীকার মোঃ হাসান মাহমুদ এবং জসমি, মুক্তা প্রমূখ্য।

শিশু পার্কের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করলো এনসিটিএফ কক্সবাজার।

তাহমিনা আলম : ২৮ অক্টোবর,কক্সবাজারে শিশু পার্ক স্থাপণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে জাতীয় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলন্ড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ),কক্সবাজার।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার এনসিটিএফ এর পত্রিকা ‘ দরিয়া নগর’ প্রথম সংখ্যায় ২০০৭ সালে শিশু পার্ক স্থাপণের গুরুর কথা তুলে ধরা হয়েছিলো।এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এবং কক্সবাজারের সরকারি বেসরকারি সুধীজন শিশুদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ।কিন্তু দুঃখের বিষয়,কক্সবাজারের শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের এই দাবিটি পূরণে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি ।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলি হোসাইন বলেন,সীমাবদ্ধতা নয় বরং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে এতদিন কক্সবাজারে শিশু পার্ক নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয় নি ।ইতোমধ্যে কক্সবাজারে শিশু পার্ক স্থাপণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।গত ২৮ অক্টোবর, বিকাল ০৪ টায় এনসিটিএফ কক্সবাজার জেলা কমিটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ কক্সবাজার সভাপতি বশির উল আলম ইয়ূথ ভলান্টিয়ার নার্গিস আকতার রনি এবং হালিমা বেগম,শাহিন,তাহমিনা আলম,সাঈদ হোসাইন হৃদয় প্রমুখ।

Child Led Initiative

Children initiated a  library at Isamoti Primary School in Pabna, On 28 October,2015. This initiative will support children to enlighten their life through enrich their knowledge and awareness. NCTF led the initiatives to make learning opportunity for all.

এনসিটিএফ শিশু লাইব্রেরি উদ্বোধন

এনসিটিএফ শিশু লাইব্রেরি উদ্বোধন সমতা হাজরাঃ আজ এনসিটিএফ পাবনা জেলার সকল সদস্যদের উদ্যগে ১১৭নং ইছামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবনা সদর, পাবনা তে একটি শিশু লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়।এনসিটিএফ পাবনা জেলার শিশু গবেষক সমতা হাজরার সঞ্চালনায় ও সভাপতি রিয়াদ মাহ্ফুজের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ইমরান মিঞা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শরত স্যাননাল।এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ সদস্যগণ, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষাথীবৃন্দ ওসেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার।

শিক্ষার অন্যতম হাতিয়ার শিক্ষাসামগ্রী

সাজিদ হাসান,কুষ্টিয়া: একটু সঞ্চয় ও একট ত্যাগ ফোটাতে পাওে অনেক শিশুর মুখের হাসি, আর এই উদ্দেশে তাই গত ২২ ই অক্টোবর ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ),কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরও মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়। যে জাতি যত শিক্ষিত তত উন্নত। আর সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়ার জন্য শিক্ষা উপকরন তাদেও চাহিদা অনুযায়ী পায় না। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে দরিদ্র শিশুদেও মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়। এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার সদস্যারা নিজেদের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে শিশুদেও মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করে।

শিক্ষা উপকরণ বিতরণের সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার জনাব তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মখলেছুর রহমান । এ সময় শিশু অধিকার বিষয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং শিশু অধিকার সম্পর্কে ধারণ দিয়ে থাকেন । বাংলাদেশে গুনীজনরা তাদেও শিশু কালে জীবন কিভাবে অতিবাহিত করেছে সে বিষয়ে উপর সংক্ষিত বক্তব্য রাখেন। শিশু অধিকার হলো শিশুদওে ন্যায্য পাওয়ানা যার আইন গত ভিক্তি হল শিশু অধিকার সনদ যে অধিকার গুলো শিশুর এমনি তেই পাওয়ার কথা যা চাইতে হয়না যা না পেলে

শিক্ষা উপকরন দেয়ার একাংশ

একজন শিশু সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পাওে না এবং তার সঠিক বিকাশ ব্যাহত হয়।

এবং তারা এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার সকল সদস্যকে এ কমর্সুচী গ্রহন করার জন্য প্রংশসাকরেন পরবর্তীতে র্আও শিশুদওে জন্য উন্নয়নমৃলক কাজ করার জন্য অনুপ্রানিত করেন। দরিদ্র শিশুরা শিক্ষা উপকরন পেয়ে অনেক খুশি হয়। দরিদ্র শিশুদেও মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষর্থীরাও উপস্থিত ছিলো। এ সময় প্রায় ৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়। উল্লেখ্য ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স(এন.সি.টি.এফ) বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ের বৃহত্তম একমাত্র শিশু সংগঠন। যা ২০০৩ সাল এ প্রতিষ্ঠিত হয়,সংগঠনটি বর্তমানে ৬৪ জেলা সহ বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছে।

এছাড়াও শিক্ষাউপকরণ বিতরনওে সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া এন.সি.টি.এফএর সভাপতি মোঃমুসাব্বির হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর শিশু সাংবাদিক ও খুলনা বিভাগীয় প্রধান শিশু সাংবাদিক সাজিদ হাসান (সৃষ্টি), শিশু গবেষক ফারজানা তন্দ্রা, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার আসিফ, সাব্বিরসহ জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ শাকিল ইসলাম ও তন্নী অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এনসিটিএফ লক্ষ্মীপুর জেলার স্কুল কমিটি গঠন।

আজ ২৮-১০-২০১৫ তারিখে  এন.সি.টি.এফ এর সদস্য বৃন্দ লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে  এনসিটিএফ এর স্কুল কমিটি গঠন করার জন্য কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি নিয়ে মোট ১০ টি ক্লাসে এনসিটিএফ কী?এর উদ্দেশ্য, শিশু অধিকার,বাল্য বিবাহ ও শিশুদের মানবাধিকার সম্পরকে ধারনা দেয় হয় কলেজিয়েট  স্কুলের শিক্ষাত্রিদের মধ্যে।এর পর ২১৩ জন সদস্যদের  মাঝে  নির্বাচন করে এবং ১১ জনের স্কুল কমিটি গঠন  করা হয়।বিদ্যলয়ের সবাই এনসিটিএফ সম্পরকে খুব উৎসাহি  ছিল, এবং উপস্থিত প্রায় সবাই এনসিটিএফ এর সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।

গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত।

মো:তাওহীদ তুষার: গত ২৬শে অক্টোবর সোমবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স(এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা শাখার বিশেষ সভা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি,গাইবান্ধা কার্যালয়ে অনুিষ্ঠত হয়েছে।গাইবান্ধা এনসিটিএফ সভাপতি মো:তাওহীদ উল ইসলাম তুষার এর সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা: রেবেকা পারভীন, সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মো: রাসেল আহমেদ সহ জেলা কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও জেলা ভলান্টিয়ার।সভায় কার্য নির্বাহী কমিটির জেএসসি পরীক্ষার্থী সহ-সভাপতি ও শিশু গবেষক কে পরীক্ষার উপকরণ বিতরণ করা হয়।

Red Card to child marriage in Satkhira Sadar

Red Card to child marriage – in CFLG working area at Satkhira Sadar

In every week members of Child Forum of Satkhira Sadar were giving 2 to 3 information regarding child marriage to the Upazila Parishad. The age of the victims of child marriage were 13 to 15 years, reading in class six to eight. Most of the cases it was found that after marriage they were dropped-out from the school. Child marriage is the cause of marginalizing the children especially for female children in the area of health, education and social insecurity.

To overcome the situation BTS was initiating a discussion with UNO in the month of August 2015. UNO, Satkhira Sadar has requested to BTS to communicate with UNO of Kaligong Upazila and collect some information regarding the process of protecting child marriage as Kaligong Upazila has already been declared as Child marriage free Upazila. Red card 2

Accordingly Office in Charge of BTS has communicated with the UNO of Kaligong Upazial and collected some publication and poster regarding combating with child marriage.

Based on the document in the month of August 2015 UNO of Satkhira Sadar and BTS has developed a draft plan where list of activities and specific responsibilities of BTS, Union Parishad and Upazila Parishad has been fused. Thus BTS has developed a survey form to collect information regarding child marriage from primary-secondary school and Madrashas. Finally information has been received from 56 education institutes and it was found that 514 child marriage were conducted during January 2014 to June 2015.

BTS then developed a database based on the information and submited it to the Upazila authority. Therefore UNO has arranged series of dialog session with NGOs, journalist, Magistrate, Advocate, local public representatives, Government officials, Upazila Parishad, police and BGP members, especially with teachers and Kazi. Thus UNO requested to BTS to design a card including a motto as Education first-Read card for child marriage.

Besides BTS has developed and submitted a information management diagram including process of using software to Upazila Parishad. Moreover BTS are assigned for select hotline numbers for 14 Unions, 1 Powrashova and 1 Upazila and till now six digit numbers from Bangla link has been collected and distributed to Union Parishad.
The activities are now implemented as a pilot project for three months and then that will be implemented for 5 years through Upazila Parishad as well as will be included in the 5 years plan of Upazila Parishad.
Form 1

Planned Activities:

1. Arrange dialog session with stakeholders (public representative, journalist, NGOs, Upazila Parishad, Police officer, Executive magistrate, Notary public, teacher, Kazi, Women development forum)
2. Union Parishad will print 45000 cards for 14 Union and 1 Pawrashova, primarily each Union Parishad will receive 3000 cards. These card will be given to the female children who are dropout, irregular or never attend in the school, and/or due to poverty parents are going to arrange child marriage.
3. Formation of ward level child forum and parents committee (Existing child forum will be included). The parents committee will include children, guardian, freedom fighters, ward member, village police, teacher, Imam, Kazi, political leader, president of policing committee etc. Accordingly Union and Upazila committee will be formed.
4. Form school level committee with the participation of boys and girls
5. Publicity of the activities through miking
6. Arrange hotline number (16) and distribute it in the Union, Pawrashova, and Upazila.
7. Counseling support for the child marriage risk children and their family
8. Provide allowance and safety net facilities to the children who are in a risk position concerning child marriage due to family poverty
9. Publish different leaflet, billboard, booklet, Bangla and English books
10. Arrange seminar/meeting with the participation of much people in every ward, Union and Upazila to raise awareness regarding child marriage.
11. First three months this activities will be piloted in one ward of each Union then all wards of Union and Pawroshova of Shatkhira sadar will be covered.
12. Ensure technical support from Breaking the Silence (BTS) and Save the Children

Form 2

Matter of the Red Card:

1. UP/UZP-name and address
2. Motto- “Education first-Red card to Child Marriage”
3. Definition of Child Marriage
4. Children’s age determination according to state policy
5. Hot line numbers
5. Awareness issues- Effect of child marriage
 Mental and physical suffering
 Social and economic destruction
Application form
1. Personal information of children
2. Family information of children