ব্রাহ্মণবাড়িয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু

মাকসুদা চৌধুরী পলি: শিশু গড়বে সোনার দেশ, পায় যদি সে পরিবেশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গত ১১ অক্টোবর (রবিবার) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চারদিন ব্যাপী বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য শিশুর অংশগ্রহণে চিত্রাংকন, ছড়া-পাঠ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মূক-বধির এবং প্রতিবন্ধী শিশুদেরকে নিয়ে বিশেষ কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে আলাদাভাবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: জহিরুল ইসলাম খান। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার নিপুণ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ভলান্টিয়ার অজিত চন্দ্র বিশ্বাসের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এবং শিশু সংগঠক এড. লোকমান হোসেন এপিপি প্রমূখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করে এনসিটিএফের সদস্যরা। এসময় এনসিটিএফের উপদেষ্টা, সাধারণ সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ শিশু গবেষক কোর কমিটির সভাপতি এবং এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হাসান। উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: জহিরুল ইসলাম খান  শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে মায়েদের ভূমিকার কথা স্মরন করেন। পাশাপাশি শিশু বান্ধব সমাজ গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য দুপুর ৩.৩০ ঘটিকায় অর্ধশত সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন খেলা পরিচালনা করে এনসিটিএফ। আরো ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুণ ( Click here to watch more photos)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরো নিউজ:

উৎসব মুখর পরিবেশে এনসিটিএফ উপ-কমিটি গঠন ও বরণ

এনাসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি শিক্ষার্থী এবং মা সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের পোষাক বিতরণ

প্রত্যেক সাংবাদিককেই দেশ প্রেমিক হতে হবে

 

কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন

তনিমা রব তোড়া : 

আজ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কিশোরগঞ্জে পালিত হলো – বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫। ” শিশু গড়বে সোনার দেশ, পায় যদি সে পরিবেশ ” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স ( এনসিটিএফ)  ,  কিশোরগঞ্জ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় আজকের এই অনুষ্ঠান।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব আ.ফ.ম জাফরউল্লাহ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার , শিশু একাডেমীর কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলা এনসিটিএফ কার্যকরী কমিটি।

 

এনসিটিএফ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখে শিশু গবেষক সাদিয়া অাক্তার কলি এবং শিশুদের নিয়ে বিনোদনমূলক বক্তব্য রাখে তনিমা রব তোড়া। শিশুদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, অবহেলিত শিশুদের নিয়ে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে এবং নিজ পরিবারের শিশুর প্রতি অধিক যত্নশীল হতে হবে।

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংঅংশগ্রহণকারীদের সাথে মনিটরিং করছে এনসিটিএফ সদস্যগন

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংঅংশগ্রহণকারীদের সাথে মনিটরিং করছে এনসিটিএফ সদস্যগন

তিনটি গ্রুপে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহের প্রথম দিনটি উদযাপন করা হয়। সপ্তাহ জুড়ে শিশুদের নিয়ে চলবে এ অনুষ্ঠান। পরবর্তী কার্যক্রম গুলোর মধ্যে রয়েছে চত্রাংকন, কবিতা অাবৃতি, নাচ, একক অভিনয় ও গান।

আজকের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়

আজকের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়

সকল শিশুর জন্য এ অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মত এনসিটিফ সর্বদাই শিশুদের পাশে থাকবে।

 

ট্যাকা হারাইছে

এ.টি.এম.ফয়সাল রাব্বি রাকিব:“ভাই,কয়টা বাজে?”-তার সময় জানা খুব জরুরী। দিনশেষে,তার রাতের খাবারের অর্থটুকু তাকে আয় করতে হবে। তাইতো, ছাত্রের মত সময়মানুবর্তীতার অনুশীলন করতে হয় তাকেও।
ব্যাস্ত নগরী। জীবীকার উদ্দেশ্যে বিরামহীন চলছে শহুরে কর্মকাণ্ড।সেখানকার কর্মকাণ্ড বেশিই ব্যস্ত আর অসস্তিকর বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। নানান অভিজ্ঞতার মধ্যে কিছু অভিজ্ঞতা বেশ তিক্ততার,কিছু করুন ছিল আমার কাছে।
গত মাসে গিয়েছিলাম ঢাকায়। উদ্দেশ্য ছিল অপারেশন, ঘোরা। জীবীকার তাগিদে যে কতজন কত বিচিত্র পেশা গ্রহন করতে পারে তার বৈচিত্রতা ঢাকায় না গেলে দেখা হত না। সবচেয়ে বৈচিত্রময় পেশা মনে হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি।  ভিক্ষা করার ধরন, কৌশল উল্লেখকরার মত। ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা বলা যেতে পারে। বিনা ইনভেস্টমেন্ট এ মুনাফা পুরাটাই।
ফার্মগেট, সেজান পয়েন্টের কাছে ফ্লাইওভারটা পার হচ্ছি। এক পিচ্চি পংগু বাচ্চা ক্ষপ করে ধরে ফেলল পা। কিছুতেই ছাড়বেনা,টাকা না দিলে। বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে করুনা হচ্ছিল, করুনা হওয়াও স্বাভাবিক। করুনার সাথে তীক্তও হচ্ছিলাম। অবাকও হচ্ছিলাম, এতোটুকু শিশু কি করে এমন কৌশলী ভিক্ষুক হয়ে উঠল? ভিক্ষাবৃত্তিকে দোষ দিচ্ছি না,কারন কোনো পথ না পেয়েই তারা ভিক্ষাবৃত্তি করছে, কিন্তু দোষ দিচ্ছি তাদের টাকা আদায়ের কৌশলটাকে,দেখে মনে হয় তারা ভিক্ষা করায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সেখানকার সবাই বিভিন্নভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী, দেখেই বোঝা যায় প্রতিবন্ধকতা জন্মগত নয়। এক্ষেত্রে, একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, তারা কি আসলেই ভিক্ষা করছে?  নাকি তাদের দ্বারা ভিক্ষা করানো হচ্ছে……?
সাভারের, জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সেখানেও একই অভিজ্ঞতার স্বীকার হতে হল। টাকা না দিলে কিছুতেই পিছু ছাড়বে না একদল শিশু। এক্ষেত্রে পূর্বেকার উত্তোলিত প্রশ্নটি আবার জেগে ওঠে তারা কি ভিক্ষা করছে? নাকি করানো হচ্ছে…?

এসব অভিজ্ঞতা ছিল তীক্ততার অভিজ্ঞতা, মনে ততটা নাড়া দেয় না।
যে অভিজ্ঞতায়, আজও আমি মর্মাহত, সেটা বলছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মীর মোশারফ হলের সামন দিয়ে যাচ্ছি। ছোট এক বাচ্চা ছেলে আমায় জিজ্ঞেস করল ভাই কয়টা বাজে? তার দিকে ততটা মনোযোগ না দিয়ে বললাম, সাড়ে বারটা। বাচ্চাটার বয়স ৫-৬ বছরের বেশি না, আমার ভাগনীর বয়সী।  পড়নে হাফপ্যান্ট, ময়লা গেঞ্জি। হাতে চায়ের ফ্ল্যাক্স। সে একজন চা বিক্রেতা। আমার ভাগনীর আজ সকল মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি সকল আবদার পূরন হচ্ছে, আর সে বাচ্চাটা গরীবঘরে জন্মেছে বলে ২ বেলা খাবার খাওয়ার জন্য আয় করতে হয়। একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। এই যে, কেউ গরীব ঘরে, আবার কেউ ধনী ঘরে জন্মায় সেটা খুব গোজামিল সিস্টেম মনে হয় আমার কাছে। শুধুমাত্র জন্মের পরিবারের ভিন্নতার কারনে কারোও বাবা-মা অপেক্ষা করেন, কখন তার সন্তান আবদার করবে, আর কখন সে মুখ ফুটে হাসবে। আর কারো বাবা-মা অপেক্ষা করেন কখন তার সন্তান চা বিক্রি শেশে রোজগারের টাকা এনে দেবে। সবই জন্মের দোষ।  জন্ম? সেও তো বিধাতার হাতে।
বাচ্চাটা চলে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মনে হল, বাচ্চাটি কাঁদছিল। পিছন ফিরে বাচ্চাটি থামালাম। জিজ্ঞেস করলাম কান্নার কারন। কেঁদে বলল,”ভাই, ট্যাকা হারাইছে”। বলে সে আবার দ্রুত হাটা শুরু করল, দিনশেষে যে তাকে খাবারের টাকা জোগাতেই হবে। নইলে, অভূক্ত থাকতে হবে সারারাত। ক্ষুধা? সেও তো বিধাতা প্রদত্ত। কেউ পেট ভরে খেতে চায় বাচার জন্য, কেউবা ভরা পেটে যায় দামি রেস্টুরেন্ট এ আদিক্ষেতা করতে। চা বিক্রেতা বাচ্চাটাকে আবার থামিয়ে ২০ টাকা হাতে দিলাম,দেওয়ার জন্য এটাই সম্বল ছিল আমার।  হয়ত ২০টাকায় সে একবেলা খেতে পারবে। আমি চকচকে প্যান্ট -শার্ট পড়ে হাটছি, ঘুরছি, বিনোদন করছি,বাপের টাকায় আদিক্ষেতার সব কিছুই করছি, আর আমারই এলাকায়, আমারই সমাজে, আমারই দেশে একটা অর্ধ উলঙ্গ শিশু ২ বেলা খেয়ে বেচে থাকার জন্য চা বিক্রেতার কাজ করে। সেই মুহুর্তটুকু নিজেকে বড় ধরনের অপরাধী মনে হচ্ছিল। আমি জানি, এসব শিশুদের শিক্ষা ও অধিকারের জন্য সরকারি নানা ধরনের পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। আমরা এনসিটিএফও শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও, একটা চিরন্তন প্রশ্ন থেকেই যায়, আর কতদিন এরকম শিশুকে দেখতে হবে?

বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : 

” শিশু গড়বে সোনার দেশ, পায় যদি সে পরিবেশ ” – এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে  আজ নরসিংদীতে ব্যাপক সমারোহে বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫ এর শুভ উদ্বোধন  করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবং ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স এর যৌথ আয়োজনে  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব খলিলুর রহমান খান সজীব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন জনাব সুরাইয়া বেগম ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ; নরসিংদী।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে জনাব সুরাইয়া বেগম বলেন,  শিশুর পূর্নাঙ্গ বিকাশের জন্য একটি সুস্থ ও শিশু সুলভ পরিবেশ চাই। এছাড়াও শিশুদের যেকোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন তাদের পাশে আছে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপর এনসিটিএফ এর পক্ষে স্বগত বক্তব্য রাখেন  শিশু সাংবাদিক ও এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় সম্পাদনা দলের সদস্য, শিমুল আহমেদ তরঙ্গ । এরপর জেলা শিশু একাডেমীর পক্ষ থেকে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।   এরপর কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।   অনুষ্ঠানে  এনসিটিএফ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলো সভাপতি তাহুয়া  লাভিব , জেলা ভলান্টিয়ার এ.কে.এম সেলিম এবং এনসিটিএফ এর কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার উম্মে হাবিবা বর্ষা ।

এরপর বেলা ১১:০০টায় শিশু শিল্পী স্মিহন এর সভাপতিত্বে  বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদেIMG_20151010_122123র নিয়ে   শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরাও আলাদা ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।   এরপর কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।   অনুষ্ঠানে  এনসিটিএফ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলো সভাপতি তাহুয়া  লাভিব তুরা,  সাধারন সদস্য সামিয়া নিজাম,  শিশু গবেষক শাহাদাত, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মুন্না,  জেলা ভলান্টিয়ার এ.কে.এম সেলিম এবং এনসিটিএফ এর কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার উম্মে হাবিবা বর্ষা ।

সম্পন্ন হয়ে গেল শিশু অধিকার সপ্তাহ উৎযাপন উপলক্ষ্যে  শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা। 

CYMERA_20151011_113617

” শিশুরা গড়বে সোনার দেশ,  যদি পায় সেই পরিবেশ ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শিশু অধিকার সপ্তাহ উৎযাপন উপলক্ষ্যে  শরীয়তপুরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্স ( এনসিটিএফ)  শরীয়তপুর।  দুইশতাধিক প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় কুইজ প্রতিযোগিতা।  এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি : আফরিন সুলতানা সিথী, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার : আলীজা আলী জেরিন, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার : মাসুদ হাওলাদার, শিশু সাংবাদিক : ঝুমুর আক্তার তন্নী, শিশু সাংবাদিক : সিরাজুল ইসলাম আসিফ, সাবেক সভাপতি : বায়জিদ আহম্মেদ, জেলা ভলান্টিয়ার : মিঠুন খান সাগর এবংজেলা ভলান্টিয়ার : সুমাইয়া সারমিন সহ আরো অনেকে ।

[ সিরাজুল ইসলাম আসিফ,

শিশু সাংবাদিক,

এনসিটিএফ শরীয়তপুর ]

শিশু বান্ধব ইউনিয়ন গড়ব

আজ ০৮ অক্টোবর-২০১৫ তারিখে মেহেরপুর জেলার ‘পিরোজপুর’ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে শিশু-বান্ধব ইউনিয়ন গড়ে তোলার লক্ষে, স্থানীয় পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের (চেয়ার ম্যান,মেম্বারগণ,স্কুল প্রধানগণ) সাথে ঐ ইউনিয়নে শিশুরা এক ‘গণ শুনানী’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা অথিতিদের মাঝে তুলে ধরে । শিশুদের চাওয়ার মধ্যে অন্যতম,(বাল্য-বিবাহ ,ইভটিজিং ,শিশু নির্যাতন ,শিশু শ্রম বন্ধ, সহ জন্মনিবন্ধন করার সময় বয়স না বাড়ানো একাধিক জন্ম সনদ ইস্যু না করা। রেজিষ্ট্রি বিহীন বিয়ে বন্ধ, দরিদ্র শিশুদের আর্থিক সহায়তা) সব শেষ দাবি শিশু-বান্ধব ইউনিয়ন।

এনসিটিএফ- শিশুরা পিরোজপুর ইউনিয়নের বর্তমান বাল-বিবাহের পরিস্থি এবং এর একটা সম্ভাব্য তালিকা অথিতিদের সামনে তুলে ধরে। গত জানুয়ারী গত জুন-সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ২৩ বাল্য বিয়ে হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ মেয়ের বয়স ১৩-১৫ বছর, এবং দারীদ্রতাও বাল্য-বিয়ের এর অন্যতম কারন বলে আক্ষায়িত করে শিশুরা, আলোচনায় উঠে মেয়েরা পরিবার,সমাজের বোঝা, আমাদের উন্নয়নের পথে বাঁধা।

শিশুদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চেয়ার ম্যান মহোদয় ‘’সামছুল আলম খান’’ তাৎক্ষনিক কিছু গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নেন। ১) অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক প্রতিবন্ধি শিশুকে প্রতিবন্ধি কার্ড প্রদান করেন এবং ঐ ইউনিয়নের সকল প্রতিবন্ধি শিশুকে এর আওতায় আনার আশ্বাস দেন। ২) পিরোজপুর ইউনিয়রে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে (ফাষ্টএইড) প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ইউউনিয়ন পরিষদ থেকে (জুনের আগে) একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। চেয়ার ম্যান সাহেব আরও বলেন, ইভটিজিংসহ যে কোনো সমস্যায় আমাদেরকে জানালে আমরা তাৎক্ষনিক তার প্রদক্ষেপ নেব। ইভটিজিং এর জায়গাগুলো আমাদের জানালে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিরোধ করব।

চেয়ারম্যান মহোদয় শিশুদের জানান আমরা সকলে (সেভ দ্য চিল্ড্রেন,ইউনিয়ন পরিষদ,নীতি নির্ধারক মহোল) পিরোজপুর ইউনিয়নকে শিশু বান্ধব ইউনিয় হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি খুব শীঘ্রই আমরা তার সফলতা পাবো। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে জনাব মোঃ শামসুল আলম খান সহ ইউনিয়ন মেম্বার,স্কুল প্রধান শিক্ষক এবং সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শান্ত এবং মোছাৎ মৌসুমী প্রমুখ।

মেহেরপুরের ইউনিয়নগুলোতে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ”শিশু অধিকার সপ্তাহ” পালিত হচ্ছে ।

হাসান মাহমুদঃ আজ ০৭ অক্টবর-২০১৫ তারিখে মেহেরপুর জেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদে ‘সেভ দ্য চিল্ড্রেনের’ সহযোগিতায় শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে এক গন-শুনানির আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের অভিভাকগণ।
যেমন, ইউনিয়ন চেয়ার ম্যান,মেম্বারগণ,স্কুল প্রধানগণ এবং এনসিটিএফ সদস্যরা। অনুষ্ঠানে শিশুরা শিশুদের মধ্য থেকে একজন ‘মডারেটর’ নির্বাচন করে। যার মাধ্যমে শিশুরা তাদের কথাগুলো নীতি-নির্ধারনি মহলে তুলে ধরবে।
মাননীয় মডারেটর অনুষ্ঠানকে তিন পর্বে পরিচালনা করেন, ১ম পর্ব শিশুদের জানতে চাওয়া ২য় পর্ব সুপারিশ এবং ৩য় পর্বে অথিতিদের বক্তব্য।

পরিচয়পর্বের মাধ্যমে মাননীয় মডারেটর অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজ শুরু করেন। অনুষ্ঠানে বাল্য-বিবাহকে প্রধান ইষ্যু করা হয়। শিশুরা আমঝুপি ইউনিয়নের বর্তমান বাল্য-বিবাহের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিভাকদের জানান, এ বিষয়ে ‘শারমিন সুলতানা’ বলে আমার বয়স এখন ১৫ এবং আমি একজন শিশু হয়ে কিভাবে সংসার/সন্তানের দায়ীত্ব নিব? আমরা বাল্য-বিবাহের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এর বক্তব্যের সাথে যুক্ত করে ‘সোহানা’ বলে আমার অনেক বান্ধবি আছে যাদের ১৩-১৫ এর মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে তারা হচ্ছে
১) রিতা-৭ম শ্রেণী
২)সোনিয়া-৮ম
৩)সাগরিকা-৭ম
৪)রিমা-৬ষ্ঠ
আরও অনেকে এবং সোহানা বলে গত জুন-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫-২০ টি বাল্য-বিবাহ হয়েছে। কেন হচ্ছে এসব বিয়ে জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তরে অভিভাবক প্যানেল থেকে ’শাহিদুল ইসলাম’ বলে আমরা ইতিমধ্যে বাল্য-বিবাহ বন্ধের লক্ষে কাজ করছি। তবে আমার একটা সেভ দ্য চিল্ড্রেনের কাছে অনুরোধ তারা যেন প্রতিটি গ্রামের গ্রাম প্রধানদের সাথে নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠারে আয়োজন করেন।

বাল্য-বিবাহ বন্ধের জন্য শিশুদের মধ্য হতে ‘ভাবনা’ সুপারিশ তুলে ধরে। সুপারিশ> ইউনিয়ন প্রধানদের নিয়ে বাল্য-বিবাহ প্রতিরোধের আলাদা কমিটি থাকতে হবে যাদের ফোন নাম্বার গ্রাম,রাস্তা,মোড় এবং বিভিন্ন স্থানে থাকবে যাতে করে আমরা যে কোনো সময় আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি এবং সহযোগিতা পায়। এ প্রস্তাবে ‘’প্যানেল” চেয়ার ম্যান একমত পোষন করেন এবং রাজি হন। এবং প্যানেল চেয়ারম্যান এও বলে যে, খুব শীঘ্রই আমরা এ ইউনিয়নকে বাল্য-বিবাহ মুক্ত শিশু বান্ধব ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলব সে রক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

উল্লেক্ষ ইভটিজিং সমস্যা, কমিউনিটি ক্লিনিকের ঔষাধ সরবারহের সমস্যা এবং মাদকাসক্তের সমস্যাগুলো এক একজন মেম্বারগণ তাদের এলাকা ভাগ করে নিয়ে তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়ীত্ব পালন করেন, আমঝুপি ইউনিয়নের সভাপতি ‘কনক চাঁপা’ সার্বিক সহযোগিতা করেন, শহিদুল ইসলাম শান্ত (CYV)।

Public Hearing session on Child Right Situation

On 6 October 2015, National children’s Task Force Meherpur participated in a public hearing session and raise voice about the child right situation in Meherpur in-front of the Local Government. NCTF members highlighted their demand, opinion and claim about child marriage, child treatment issues to the decision making body (Local Government) . Hearing them (NCTF members) the Panel Chairman gave his word to NCTF members that he will take necessary steps regarding child rights issues and he invited the president of NCTF Meherpur to join with the coordinating committee so that they (NCTF members) can help Local Government to improve child rights situation through being a representative of all children in Meherpur.

 


 

শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ শুনানি।

 

 

গত ০৬ অক্টোবর ২০১৫ মেহরেপুর জেলার ‘আমদহ’ ইউনিয়নে সেভ দ্য চিল্ড্রেনের সহযোগিতায় ঐ ইউনিয়নের এনসিটিএফ সদস্যদের নিয়ে এক ‘শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ শুনানির’ আয়জন করা হয়। উক্ত গণ শুনানিতে শিশুদের কথা/অভিযোগ/দাবিগুলো শোনার জন্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আমদহ ইউনিয়নের সচিব,মেম্বারগণ এবং উক্ত ইউনিয়নের স্কুল প্রধানগণ।
গণ শুনানিতে শিশুরা তাদের কথা/অভিযোগ/দাবি স্থানিয় নীতি-নির্ধারনি মহলের কাছে শেয়ার করে। যেমন, আমদহ ইউনিয়রে ‘বাল্য বিবাহের’ পরিস্থিতি আসরাফপুর গ্রামের নাহিদা বলে, বাল্য বিবাহের ফলে আমাদের সুষ্ঠ বিকাশ হচ্ছে না নষ্ট হচ্ছে আমাদের উজ্জল ভবিষ্যত এবং আমরা শিশু কিভাবে সংসার,সন্তানের দায়ীত্ব নিবো? অন্য এক সদস্য গত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া বাল্য-বিবাহের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ যার মধ্যে অধিকাংশ মেয়ের বয়স, ১৩-১৫ বছর।

এদিকে শিশুরা এটাও অভিযোগ করে বিয়ের সময় নাকি জন্ম নিবন্ধনে তাদের বয়স ১৮+ দেখানো হয়। ইউনিয়নের অন্য এক সমস্যা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ অনিয়ম নিয়ে কথা বলে, সানমুন। যেমন শিশুরা ঠিকমত ঔষাধ পাচ্ছে না সময় মত খোলা হচ্ছে না তা এ প্রশ্নের জবাবে আমদহ ইউনিয়নের ‘প্যানেল চেয়ার ম্যান’ বলেন আমরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি সুতরাং এটা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।
শিশুদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে অতিথিরা বলেন আমরা শিশুদের কথাগলো শুনে সত্যিই বিস্মিত যে তারা নিজেরা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে শিখেছে এবং তোমরা যে সম্স্ত কথা/অভিযোগ তা প্রত্যেকটা গুরুত্বপুর্ন সুতরাং আমরা তোমাদের সমস্যগুলো সমাধানের লক্ষে কাজ করব।

পরিশেষে প্যাণেল চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তোমাদের সবাপতিকে আমাদের সমন্বয় কমিটির সদস্য করেছি সতরাং তোমরা তোমাদের সমস্যাগুলো প্রতি মাসে ‘রেজুলেসন আকারে দিরে আমরা তা দেখব। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়ীত্ব পালন করেন, হাসান মাহমুদ (স্পীকার চাইল্ড পার্লামেন্ট বাংলাদেশ) সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সেন্ট্রাল ইউথ ভলানটিয়ার শহিদুল ইসলাম শান্ত ।

National Child Rights Week Preparatory Meeting

Shimol Ahmed Taronga : 

NCTF Narsingdi  completed their preparatory meeting on 6 October 2015.They (NCTF members) discussed in this meeting about the celebration of National Child Rights Week and their possiblle future plan to organize new Union NCTF committee as well.


 

                                           শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপনের প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ :  

বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ – ২০১৫ এ এনসিটিএফ এর অংশগ্রহণ উপলক্ষে আজ প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সহ এনসিটিএফ নরসিংদী জেলার কার্যকরী কমিটির সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।আজকের বিশেষ সভায় আসন্ন শিশু অধিকার সপ্তাহে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম নির্ধারন করা হয়। এছাড়াও এনসিটিএফ নরসিংদী’র পরবর্তী পদক্ষেপ উপজেলা এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিটি গঠন এর ব্যাপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বাল্য বিবাহ রোধে ডিজিটাল প্রচারণা

একটি বাল্য বিবাহ দেশের অভিসাপ স্বরূপ বিবেচ্য হয়ে থাকে । দেশ যখন আসনের দিকে অনেক কিছুই পিছুটান দেওয়ার চেষ্টা করে বা করে থাকে আর এইসব পিছুটানের মধ্যে অন্যতম কারণ বাল্যবিবাহ । অদ্য ১ই অক্টোবর দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সাথে কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিস এর সিনিয়র তথ্য অফিসার জনাব তৌহিদ্দুজ্জামান মহদয়ের সাথে সাক্ষাত সভা অনুষ্ঠিত হয় । এ সময় কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন কার্যক্রম ও সাফল্য গুলো তুলে ধরা হয়।

তাছাড়া বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রতিরোধ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়ে থাকে । এসময় কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া জেলার প্রত্বন্ত গ্রাম এলাকার স্কুল গুলোতে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করা , নাটিকা প্রদর্শন করা এবং এনসিটিএফ কতৃক চালু কৃত বাল্য বিবাহর জন্য হটলাইন নাম্বার প্রচারনার জন্য কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিসকে সহযোগীতার পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় । এ প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন কুষ্টিয়া জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার জনাব তৌহিদ্দুজ্জামান । কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর শিশুরা প্রতি মাসে কুষ্টিয়ার গ্রাম অঞ্চলের অন্তত্য পক্ষে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রচারণার জন্য কাজ করে থাকবে । এদিকে প্রচারনার জন্য পরিবহন সহ ব্যাবহারের জন্য সকল সামগ্রী তথ্য অফিস সরবারহ করবে বলে জানিয়েছে । এই প্রচারণার ফলে কুষ্টিয়া জেলার বাল্যবিবাহের হ্রাস পাবে এবং কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর নির্দিষ্ট হটলাইনের প্রচার হবে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম , শিশু সাংবাদিক সাজিদ হাসান এবং শিশু গবেষক আসিফ খন্দকার।