গাংনী উপজেলা এনসিটিএফ এর গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা কমিটির আয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক সংলাপ আয়োজন করা হয়। গত ১৮ই জুন গাংনী উপজেলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত শিশু সংলাপ এ সভাপতিত্ব করেন উপজেলা এনসিটিএফ কমিটির প্রতিনিধি নওশিন নির্ঝর। আয়োজনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ এর বিভিন্ন প্রতিনিধি।  এছাড়াও দ্বিতীয় পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলার সম্মানিত নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শ্রী বিষ্ণু পদ পাল এবং অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, থানার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় শিক্ষক, সিসিজি, সিবিও, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী সহ প্রায় শতাধিক অংশগ্রহনকারী। শিশুরা উপজেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং তথ্য অনুযায়ী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, বিনোদন এবং শিশুর অংশগ্রহন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উন্নয়ন যোগ্য দিক এবং তার সমাধানে অতিথিদের মাঝে সুপারিশ উত্থাপন করে। শিশুদের উত্থাপিত বিষয়ের আলোকে উপজেলার সম্মানিত চেয়ারম্যান শিশুদের ভুয়সী প্রসংশা করেন এবং শিশুদের দাবির সাথে সহমত পোষন করে উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে শিশুদের উত্থাপিত উন্নয়নযোগ্য দিক এবং সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করা ও তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ব্যপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন “শিশুদের কথা শোনার জন্য উপজেলা প্রশাসন সর্বদা উন্মুক্ত এবং শিশুরা যেন নিঃসংকোচে যে কোন প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগাযোগ সুবিধা গ্রহণ করে”। অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাদের অবস্থান থেকে শিশুদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে পলা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সংস্থার প্রকল্প পরিচালক জনাব সাইফুল ইসলাম এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশুদের জন্য প্রকল্পের সিনিয়র অফিসার জনাব হাসান সিদ্দিকী মিলন ইতিবাচক বক্তব্য প্রদান করেন। আয়োজনের সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি সকলকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজন এর সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

শুরু হল ১৮ তম চাইল্ড পার্লামেন্ট ২০১৯ এর প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা

গত ১৫.০৬.২০১৯ তারিখ শনিবার গাজিপুরের রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্টে শুরু হয়েছে শিশুদের ১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রস্তুতিমুলক কর্মশালা। ‘কাউকে পিছনে না ফেলে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে দেশের ১৬টি বিশেষ অঞ্চলের সর্বমোট ৩০জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ০৩ দিন ব্যাপি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৯ শে জুন ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এবারের চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান ১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি ঙ্গাপন করেছেন।
চাইল্ড পার্লামেন্ট একটি শিশুদের প্লাটফর্ম হিসেবে শিশুদের অধিকার ও চাহিদাগুলি পর্যায়ক্রমিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মহলে তুলে ধরে। এ পর্যন্ত চাইল্ড পার্লামেন্টের মোট ১৭টি অধিবেশন সাফল্যজনক ভাবে সমাপ্ত করেছে। ইতিপূর্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, সুরক্ষা, জাতীয় বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ, শিশু হত্যা বন্ধ করা প্রভৃতি বিষয়ে চাইল্ড পার্লামেন্ট অনুষ্টিত হয়। শিশুরা আলোচনা ও পর্যালোচনা করে তাদের পক্ষ থেকে সুপারিশমালা সরকারের সংশিষ্ট মহলে প্রদান করে এবং সুপারিশমালার উপর ভিত্তি করে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজনে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা করে।
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) তে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সেখানে দারিদ্র্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং প্রান্তিক জনগণকে সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। আবার ২০৩০ এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূলমন্ত্র-‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে একসাথে নিয়ে’ অর্জন করতে হলে বিশেষকরে হবে উপর নজর দিতে হবে। তাই চাইল্ড পার্লামেন্ট ১৫টি সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুরা তাদের জরিপ ও এফজিডির মাধ্যমে সংগৃহিত তথ্যসমূহ  এবং এ সকল তথ্যের উপাত্তের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিদের নিকট তুলে ধরবে।
১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে বাংলাদেশের ১৬ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করবে। এই অধিবেশনে তারা সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে। সেখানে ১৬ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুরা নিজেদের বর্তমান অবস্থার কথা বলবে। মূলশ্রোতধারার সাথে সুবধিাবঞ্চতি শিশুরা সেসব ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয় এবং বৈষম্য দূর করার জন্য তাদের সুপারিশসমূহ তুলে ধরবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিটিএফ কর্তৃক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধণা এবং মাদক ও বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গঠনের বার্তা প্রদান

অদ্য ১০ ই জুন, ২০১৯ তারিখে ন্যাশানাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স(এনসিটিএফ) এর আয়োজনে ৭ শত কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা এবং মাদক ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়, সভাপতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশুবান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি, সমাজ সেবায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব আল মামুন সরকার, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ ডিউক চৌধুরী, এএসপি মহোদয়, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ম্যামসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয় এর শিক্ষকবৃন্দ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিটিএফ সভাপতি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম প্রত্যাশাসহ এনসিটিএফ এর সকল সদস্য ও উপদেষ্টাবৃন্দ উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি এই অঙ্গীকার করানো হয় যে তারা কখনো বাল্যবিবাহ ও মাদককে আশ্রয় দিবে না এবং সব সময় তা প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকবেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় এমপি স্যার সকল শিশুদের মানুষের মতো মানুষ হতে, নিজেদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সকল প্রকার অন্যায়ের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা জাগ্রত করতে বলেন। শিক্ষার্থী এবং অতিথিদের সহযোগিতায় এনসিটিএফ কর্তৃক আয়োজিত এই মনোরম অনুষ্ঠান খুবই সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়।

শেরপুর এনসিটিএফ এর ঈদ বস্ত্র বিতরণ

গত ১ জুন এনসিটিএফ, শেরপুর জেলা ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ২০০ শিশুর মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এনসিটিএফ, শেরপুর থেকে ঈদ বস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাব করা হলে  শেরপুর এনসিটিএফ এর শিশুবন্ধু কমিটির উপদেষ্টা পুলিশ সুপার জনাব আশরাফুল আজীম সাগ্রহে এগিয়ে আসেন। পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির অর্থায়ন আর এনসিটিএফ শেরপুরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১ জুন ২০০ জন শিশুর মাঝে পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে  ঈদ বস্ত্র দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব কাজী আশরাফুল আজীম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব আসলাম খান, শিশু বন্ধু কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও সাংবাদিক হাকিম বাবুল, রফিক মজিদ সহ শেরপুর জেলার অন্যান্য সাংবাদিকবর্গ। এনসিটিএফ, শেরপুর জেলা কমিটির সদস্য ও ভলান্টিয়ারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ২০০ জন শিশুর মুখে হাসি  ফোটাতে পেরে সবাই অত্যন্ত আনন্দিত।