NCTF accountability session on rights of the child holds in Rajshahi

An accountability session on the rights of the child held at Rajshahi at deputy commissioner’s conference room on September 29. National Children’s Task Force (NCTF) Rajshahi organised the session in association with district administration, Bangladesh Shishu Academy, Save the Children and Plan International Bangladesh.

Additional Deputy Commissioner SM Tuhinur Rahman, Police Super Mohammad Alangir Kabir, Districtt Education Officer Mohammad Ruhul Amin, Plan International Senior Manager Faroque Alam Khan were guests at the event. Children raised their demands on different issues on their rights to the district administration as well as civil society.

Children groups focused on some alerting issues like – early marriage, abusing in political violence, violence against  children at family and social level and abusing though drugs etc from their parts.

The guests and civil society representatives agreed with children demands and expressed their good will to stay besides children.

District Child Affairs Officer Mosharaf Hossen, NCTF President Tuhin Khan, Child Friend Committee President Sukhen Kumer Mukharji, National women award – Joyita winner Mosammat Rahima Begum, Rajshahi University academician Azmal Huda Mithu were attended while NCTF members Asma Islam and Asif Mahmood Emon hosted the accountability session. Save the Children Youth Volunteer Rasel Ahmed assisted the programme.

Prepared By Jannatul Islam Rahad, Ex NCTF Member

রাজশাহীতে শিশুদের অধিকার বিষয়ক জবাবদিহিতা অধিবেশন অনুষ্ঠিত

এনসিটিএফ এর উদ্যেগে জেলা প্রশাসন রাজশাহী,বাংলাদেশ শিশু একাডেমী রাজশাহী,সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ৩.০০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনাব এস এম তুহিনুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজশাহী, জনাব মোঃ জনাব আলমগীর কবীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী। জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব খো: রুহুল আমিন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব ফারুক আলম খান। উক্ত অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের বিভিন্ন যোক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরে প্রশাসন ও সুশিল সমাজের সামনে। বিশেষ করে রাজনীতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ, সারা বাংলাদেশ এই বাল্য বিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে কি করনীয়, মাদকের নামকতা রোধে কি করনীয় , শিশুদের নিরাপত্তা, শিশুদের উপরে নির্যাতন সকল বিষয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্বনিয়ে সাজানো হয় শিশুদের মুখোমুখি। উপস্থিত অতিথিদের উত্তরে এবং সুশীল সমাজের সম্পূরক প্রশ্নে অনুষ্ঠানটি অনেক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং অতিথিদের উত্তর ছির শিশুদের জন্য সন্তোষজনক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোশাররফ হোসেন প্রধান জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, রাজশাহী। জনাব তুহিন খান, সভাপতি এন সি টি এফ, রাজশাহী,সুখেন কুমার মূখার্জীু-সভাপতি শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী,মোসা রহিমা বেগম-জাতিয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত জয়িতা ও সদস্য শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী, আজমল হুদা মিঠু শিক্ষক, রাজশাহী বিম্ববিদ্যালয়। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন আসমা ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ইমন এনসিটিএফ, রাজশাহী। সার্বিক সহযোগিতা করেন রাসেল আহমেদ।

শিশুদের অধিকার বিষয়ক জবাবদিহিতা অধিবেশন।।

10062014123424pm10327130_10204062939641639_1489800472_nএনসিটিএফ এর উদ্যেগে জেলা প্রশাসন রাজশাহী,বাংলাদেশ শিশু একাডেমী রাজশাহী,সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ৩.০০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনাব এস এম তুহিনুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজশাহী, জনাব মোঃ জনাব আলমগীর কবীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী। জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব খো: রুহুল আমিন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব ফারুক আলম খান। উক্ত অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের বিভিন্ন যোক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরে প্রশাসন ও সুশিল সমাজের সামনে। বিশেষকরে রাজনীতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ, সারা বাংলাদেশ এই বাল্য বিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে কি করনীয়, মাদকের নামকতা রোধে কি করনীয় , শিশুদের নিরাপত্তা, শিশুদের উপরে নির্যাতন সকল বিষয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্বনিয়ে সাজানো হয় শিশুদের মুখোমুখি। উপস্থিত অতিথিদের উত্তরে এবং সুশীল সমাজের সম্পূরক প্রশ্নে অনুষ্ঠানটি অনেক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং অতিথিদের উত্তর ছির শিশুদের জন্য সন্তোষজনক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোশাররফ হোসেন প্রধান জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, রাজশাহী। জনাব তুহিন খান, সভাপতি এন সি টি এফ, রাজশাহী,সুখেন কুমার মূখার্জীু-সভাপতি শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী,মোসা রহিমা বেগম-জাতিয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত জয়িতা ও সদস্য শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী, আজমল হুদা মিঠু শিক্ষক, রাজশাহী বিম্ববিদ্যালয়। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন আসমা ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ইমন এনসিটিএফ, রাজশাহী। সার্বিক সহযোগিতা করেন রাসেল আহমেদ।

এনসিটিএফ হবিগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা।।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপpressলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় শিশু টাস্কফোর্স হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এবং নবনীতা দাশ ও ইশতিয়াক আহমেদ পরাগের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ, প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, কবি তাহমিনা বেগম গিনি, এনটিভি প্রতিনিধি ও দৈনিক খোয়াই’র যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশিদ চৌধুরী, ফোকাল এনজিও আবাস-এর চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন সেলিম, সুন্দরমের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন খাঁ, জাতীয় শিশু টাস্কফোর্সের ইয়ূথ ভলান্টিয়ার সাখাওয়াত হোসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সায়েম খন্দকার, হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার চৌধুরী রাজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ ফাগুন, নিউজ হবিগঞ্জের ক্রাইম রিপোর্টার শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। See More: http://bit.ly/1BtC8EM

ঢাকা জেলার শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ২০১৪ অনুষ্ঠিত

SAM_6457 SAM_6437 SAM_6463

ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স টাস্কফোরস ঢাকার জেলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ”শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান – ২০১৪ ” শীর্ষক বড়দের সাথে সরাসরি শিশুদের প্রশ্নোত্তর মুলক ঢাকা জেলার সংলাপ ।

গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১৪, রোজ শুক্রবার , সকাল ৯ টা থেকেই অতিথি এবং সবাই চলে আসে এবং সেই সাথে মুল অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সোয়া ৯টায় পবিত্র কুরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে। এরপর স্বাগত নৃত্য দিয়ে অতিথিদের বরন করে নেয় শিশুরা। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম। শিশু বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানের উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এনসিটিএফ ঢাকা জেলার সভাপতি ফাতেমা সিদ্দিকা রীমা। এনসিটিএফ ও এনসিটিএফের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলেন চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য জাহিদ হোসেন। এরপর ই অনুষ্ঠিত হয় সরাসরি প্রশ্নোত্তোর পর্ব।

সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বের মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এনসিটিএফ ঢাকা জেলার সাবেগ চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য নিজাম। প্রশ্নোত্তর পর্বটিতে তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন, সম্পুরক প্রশ্ন এবং উপস্থাপিত প্রশ্ন গুলোর আলোকে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ ও করেন শিশুরা ।
বিষয়গুলোর মধ্যে শিশু বিবাহ আইন বা বাল্য বিবাহের আইনের খসড়া সংস্কার, ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি হ্রাস করার আশু সমাধান, শিশুদের মাদকাসক্ত থেকে নির্মূল করার পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি, সৃজনশীলে শিক্ষার্থীদের কোচিং ও গাইড বইয়ের প্রতি নির্ভরতা সৃষ্টিতে শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি ফেরানো, শ্রেণি কক্ষে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ , শিশুদের জন্য নিরাপদ সড়ক, স্পিড ব্রেকার, ওভারব্রিজ বৃদ্ধি, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করা প্রসঙ্গ সহ ঢাকা জেলার সকল শিশুর স্বার্থ জনিত দাবি দাওয়া প্রাধান্য পায়।

”শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান -২০১৪” এ প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া , প্রধান বক্তা ছিলেন মীরপুর বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ জনাব বদর উদ্দিন হাওলাদার, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক জনাব মোশাররফ হোসেন এছারাও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন জেলা শিক্ষা অফিসার, সমাজসেবা অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, ফোকাল এনজিও প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষকগণ, কাজী, স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সেভ দ্য চিল্ড্রেন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ। এসময় তারা শিশুদের উপস্থাপিত প্রশ্নের সমাধানের উপায় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানটিতে শিশুদের মধ্যে উপস্থিত ছিল এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি, ৫টি ক্লাব ও স্কুল কমিটি, সাধারন সদস্য,সাবেক সদস্যসহ প্রায় ৫৫ জন শিশু প্রতিনিধি।

পল্লবীতে বাল্য বিবাহ রোধ করল এনসিটিএফ !!!

 

 

10707972_1467252936849563_7866396yyyyyyyy91_nপল্লবীতে বাল্য বিবাহ রোধ করল এনসিটিএফ । আজ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ শনিবার রাত ৮টায় রাজধানীর পল্লবীতে ১২ নং সেকশনের সি ব্লক এলাকায় স্থানীয় এমডিসি মডেল ইন্সটিউটে ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী রুনার (বয়স ১২) জোর পূর্বক বিবাহ দেয়ার আয়োজন করা হয়। বাল্যবিবাহটির গোপন তথ্য পেয়ে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স টাস্কফোরস (এনসিটিএফ) ঢাকা জেলা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল মেয়েটির বাসায় ছুটে যায়। তারা প্রথমেই রুনার অভিভাবকের সাথে কথা বলে বাল্যবিবাহের কুফল এবং এতো অল্প বয়েসে মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার অনুরোধ করে কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ হলে পল্লবী থানার পুলিশ প্রশাসনের সহোযোগিতায় তাদেরকে মেয়ের বিবাহ দান থেকে রোধ করে।

সন্ধায় বিবাহটির তথ্য প্রাপ্তির পর এনসিটিএফ ঢাকাজেলার সভাপতি রীমা,সহ-সভাপতি প্রিয়া, শিশু সাংবাদিক রমজান, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য জাহিদ, সাধারন সদস্য মার্ক এবং উপদেষ্টা রুমন ও সাইকা সবাই ফোনালাপের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে বাল্যবিবাহটি রোধ করার অভিযানটি চালায়। ঘটনাস্থলে বর পক্ষের উপহার সামগ্রী পাওয়া গেলেও তারা খবর অভিজানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল খুব দ্রুত ত্যাগ করে এবং ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে পল্লবী থানার সাব ইন্সপেক্টর শাহিন একটি সাধারন ডায়েরি করেন এবং এনসিটিএফ ঢাকাজেলার প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন পুলিশ প্রশাসন বাল্যবিবাহটি রোধে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা মাসুদ বলেন- “বাল্যবিবাহ রোধে এনসিটিএফ এর সাহসী অভিযান দেখে আমি শিখলাম যে এই দায়িত্ব আমাদেরই ছিলো যা আজকে তোমরা করলে। আমি তোমাদের মঙ্গল কামনা করি এবং ভবিষ্যতে নিজ দায়িত্ব থেকে এ ধরনের কর্তব্য পালন করব।” এনসিটিএফ এর অভিযানে বাল্যবিবাহের স্বীকার হতে যাওয়া রুনা খুশি প্রকাশ করে এবং এনসিটিএফ এর বন্ধুদের ধন্যবাদ জানায়।

বাল্যবিবাহ বন্ধে নতুন আইন দ্রুত পাস করা দরকার

জনসংখ্যা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু, অপুষ্টি ও পারিবারিক নির্যাতন কমাতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। বাল্যবিবাহ দেশের জন্য সমস্যা হয়ে আছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের যে খসড়া সরকার চূড়ান্ত করেছে, সংসদে তা দ্রুত পাস হওয়া দরকার। একই সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে ও আইনটি বাস্তবায়নে জেলাভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। 
গতকাল শনিবার ‘১৮ বছরের আগে বধূ নয়—শিশুবিবাহ বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচকেরা এসব কথা বলেন। প্রথম আলো এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে সহায়তা করে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন।
বৈঠকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাল্যবিবাহ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সমস্যাটি সরকারের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরেই ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটি বাতিল করে শক্তিশালী নতুন আইন করা হবে। নতুন আইনে বিয়ের বয়স প্রমাণে এফিডেভিট বা নোটারি পাবলিকের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। আইন লঙ্ঘনের শাস্তিও বাড়ানো হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সঞ্চালক ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী ৬৬ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার। শিশুরা বিয়ের পর আরেক শিশুর জন্ম দিচ্ছে। মা ও শিশু দুজনেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাল্যবিবাহ বন্ধে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় তোলার অপেক্ষায় আছে। গোলটেবিল বৈঠক থেকে সংসদে আইনটি দ্রুত পাস করানোর দাবি জানানো হয়। 
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, বাল্যবিবাহ বা শিশুবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হলে জনসংখ্যা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু এবং বিকলাঙ্গ ও অপুষ্ট শিশুর জন্মহার কমানো সম্ভব হবে। পারিবারিক নির্যাতনও কমে যাবে। বিয়ের জন্য বয়স প্রমাণে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ দেখানোর বিষয়টি আইনে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেন তাঁরা। আইন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে গুরুত্ব দেন তাঁরা।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের অ্যাডভোকেসি ব্যবস্থাপক সাবিরা নূপুর ওয়ার্ল্ড ভিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পরিচালিত ‘ব্রাইড নট বিফোর ১৮’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এক বছর আগে প্রচারাভিযান শুরু হয়। তখন বাল্যবিবাহের কারণ হিসেবে অনেক শিশু বলেছিল, লেখাপড়া শিখে মেয়ে অনেক ভালো কিছু করছে—অভিভাবকদের সামনে এমন আদর্শ ব্যক্তি (রোল মডেল) না থাকায় অভিভাবকেরা মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানোতে ভরসা পান না, বিয়ে দিয়ে দেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্থায়ী সদস্য কাজী রিয়াজুল হক নতুন আইনে ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ না করে মেয়েদের মতোই ১৮ বছর করার সুপারিশ করেন। 
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মনজুর হোসেন ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা ও জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার আশ্বাস দেন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান তানিয়া হক বলেন, শিশুবিবাহের ভয়ংকর পরিণতি পারিবারিক সীমা অতিক্রম করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। একেক এলাকায় একেক কারণে শিশুবিবাহের ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাছিমা আক্তার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ‘ওয়ার্ড সভা’ করা বাধ্যতামূলক। এ সভায় চেয়ারম্যান শিশুবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া জনসচেতনতা তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেন তিনি। 
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম বলেন, পোশাকশিল্প শিশুবিবাহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শিশুবিবাহ প্রতিরোধে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের অ্যাডভোকেসি পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ বলেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রমে ইমামদের সম্পৃক্ত করে সুফল পাওয়া গেছে। ইমামরা যাতে খুতবার সময় শিশুবিবাহ প্রতিরোধ ও শিশুবিবাহের কুফলের কথা বলেন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির সুপারিশ করেন তিনি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের ব্যবস্থাপক (শিশু সুরক্ষা) খালেদা আকতার বলেন, শিশুবিবাহ যৌন নির্যাতনের হাতিয়ার। তিনি বাবা-মা ও অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তবে যেসব শিশুর বিয়ে হয়ে গেছে, তাদের সুরক্ষায় কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা বলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা উপদেষ্টা জান্নাতুল ফেরদৌস। 
বাল্যবিবাহ ঠেকাতে শিশুদের অভিজ্ঞতা: বৈঠকে ওয়ার্ল্ড ভিশনের শিশু ফোরামের তিনজন শিশু সদস্য উপস্থিত ছিল। দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা থেকে আসা ১৪ বছরের সরদার কাজল বলে, ‘অনেকে বলে, এখন বিয়ে বন্ধ করতে আসছ, পরে কি তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করবে?’ অন্য ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সে বলে, এক সহপাঠীর বিয়ে বন্ধ করতে গিয়েছিল তারা। অভিভাবকেরা সহপাঠীর জন্মনিবন্ধন সনদে লেখা বয়স দেখান ২০ বছর। তখন কাজলদের আর কিছুই করার ছিল না। 
একই জেলার ১৩ বছরের সুরঞ্জনা সানা বলে, ‘শিশুবিবাহ বন্ধ করার কথা বললে বড়রা বলেন, “তুমিও শিশু, আবার মেয়েলোক, এত কথা বলো কেন।”’
রংপুরের মেহেদি হাসান ফোরামের সদস্য হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চারটি শিশুবিবাহ ঠেকাতে সহায়তা করেছে। তার মতে, এ ধরনের বিয়ে বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নিজ দায়িত্ব পালন করেন না।