শিশু বিবাহ পরিবার দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ

হুমায়রা হোসেন শারা,(বয়স-১৪বছর): ভোলা সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন বলেন, শিশু বিবাহকে না বলুন, শিশু বিবাহ সমাজ, জাতি তথা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিশু বিবাহ এক ধরনের অপসংস্কৃতি। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। শুধু তাই নয় মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাতি মায়ের প্রতি ভালবাসা দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে শিশু বিবাহ রোধ করার জন্য। কারন শিশু বিবাহ পরিবার দেশ, সমাজ ও জাতির জন্য অভিশাপ। কোন অবস্থাতেই মেয়েদের ১৮ বছর আগে এবং ছেলেদের ২১ বছর আগে বিয়ে দেয়া যাবে না।আর কেউ যদি বিবাহের ব্যবস্থা করে থাকে তার শিশু বিবাহ আইনে তার  শাস্তি পেতে হবে। ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডকে শিশু বিবাহ মুক্ত হওয়া উপলক্ষ্যে উন্মক্ত সভায় ভোলা সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকালে ২নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিসেফের সহযোগীতায় কোস্ট ট্রাস্ট সিফরডি প্রকল্প আয়োজনে সভায় সভাপত্বিত করেন ধনিয়া ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবীর। এসময় উপস্তিত ছিলেন কোস্ট ট্রাস্ট ইকো ফিস প্রকল্পের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল মাহামুদ, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার,১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরীফ গোলদার,মধ্যে ধনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোস্তফা,প্রাক্তন মেম্বার মো:কামাল হোসেন সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্ট সিফরডি প্রকল্পের ইউনিয়ান সম্মনয়কারী আদিল হোসেন তপু। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির কিশোরী সদস্য বিবি ফাতেমা। কোরআন তেলওয়াত করেন ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির সদস্য নুরে আলম পলাশ।সভায়ওয়ার্ডের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ কয়েক শতাধিক মহিলা ,পুরুষ,কিশোর- কিশোরীরা উপস্তিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথি উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন আরও বলেন,কোন অবস্থাতেই শিশু বিবাহ মেনে নেয়া যাবেনা। বিয়ের আগে অবশ্যই তার জন্ম নিবন্ধন সঠিক আছে কিনা তা যাচাই বাচাই করে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।এর জন্য চেয়ারম্যান মেম্বার,কাজী,ঈমমা,শিক্ষকদের মনিটরিং করতে হবে। কারন শিশু বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিরোধ করতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে  শিশু বিবাহ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্য বদ্ধভাবে বাল্য বিবাহ রোধ করতে হবে।

ধনিয়া ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবীর বলেন, অল্প বয়সে বিবাহের কারনে মেয়েরা বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হয় এবং মা হওয়ার পর অপুষ্টিতে ভূগতে থাকে। বিধায় বাল্য বিবাহের শিকার শিশুর শারিরীক অপুষ্টির পাশাপাশি মানষিক ও বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশ হয় না। সভা শেষে ধনিয়া ইউনিয়ানকে শিশু বিবাহ মুক্ত করতে এক শপথ বাক্য পাঠ করা হয়।