মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ’র গণ -শুনানি অনুষ্ঠিত

গত ১৮ সেপ্টেম্বর’১৮ মুটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং এনসিটিএফ ইউনিয়ন কমিটির আয়োজনে সুনিদিষ্ট শিশু বাজেট ও শিশু অধিকার পরিস্থিতি, সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা, অভিযোগ ও সাড়া প্রদান ব্যবস্থা বাস্তবায়ন বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত গণ-শুনানিতে শিশুরা মোট ৪টি ইস্যুর উপর  সাতটি সমস্যা এবং ৫টি সমস্যার বিপরীতে সুপারিশমালা তুলে ধরে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং বিনোদন বিষয়ের উপর শিশুরা গত ০৯ মাসে তাদের করা শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন রাখেন সবার সামনে। বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণের সমস্যা, শ্রেণি কক্ষের অপর্যাপ্ততা,  বিদ্যালয়ের প্রাচীরের সমস্যা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, কম্পিউটার ল্যাব, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, কমিউনিটি ক্লিনিকের নানাবিধ সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা উঠে আসে গণ-শুনানিতে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় আয়োজিত উক্ত গণ-শুনানিতে মটমুড়া  ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাজাহান, প্যানেল চেয়ারম্যান, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী, সিবিউ সদস্যবৃন্দ, ইমরান চৌধুরী, ডেপুটি ম্যানেজার, সেভ দ্য চিলড্রেন, হাসান সিদ্দিক মিলন, সিনিয়র অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, সিআরপি, সেভ দ্র চিলড্রেন এবং পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ।

০৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন “গত বছর তোমরা যে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলে সব কিছু সমাধান আমরা করে দিয়েছি। এবারো নতুন কিছু সমস্যা এসেছে । তোমারে জেনে খুশি হবে ইতিমধ্যে আমরা বাওট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর করার লক্ষ্যে ৯, ৮৫,০০০ টাকা বরাদ্ধের ব্যবস্থা করেছি। প্রাচীর তৈরি প্রক্রিয়া চলছে। ধীরে ধীরে সকল স্কুলে হবে। আমি নিজে বাওট সরকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিকভাবে প্রাপ্ত ৪০,০০০ টাকা দিয়ে হাইব্রেঞ্চ, সিট ব্রেঞ্চ এবং দরজা জানালা মেরামত করেছি। আমি বলব আমাদের ইউপি সদস্যদের আপনারাও কিন্তু স্কুলগুলোর এই ফান্ডটিকে কাজ লাগাতে পারেন। যে সকল স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেই তাদের বলব শুধু ইউনিয়নের দিকে না চেয়ে আপনার উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানান। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিয়ে তাহলে কোন সমস্যা থাকবে না। যদি সেই ক্ষেত্রে ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় বলবেন আমরা করবো। আমি এনসিটিএফ কে বলব আমাদের ইউনিয়নে যদি কোথায় স্যানিটেশন এবং নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না থাকে আমাকে সরাসরি নিয়ে যাবে। গোয়ালগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবনের টেন্ডরের অপেক্ষায় আছে। টেন্ডার হলেই নতুন ভবন হবে। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ শাজাহান বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কোন সমস্যাই থাকবে না। সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।