অনুষ্ঠিত হলো ১৪তম বিশেষ চাইল্ড পার্লামেন্ট

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির লেকচার থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো ‘১৪তম চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর বিশেষ অধিবেশন। এবারের অধিবেশন এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দুর্যোগ ও আমরা’।

এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের ৩১ টি জেলার বন্যা কবলিত এলাকার নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  অধিবেশনে শিশু সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকার শিশুদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।

অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জনাব অ্যাডভোকেট মোস্তাাফিজুর রহমান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুক মিয়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট এবং কোয়ালিটি বিষয়ক পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌম্য ব্রত গুহ এবং হেড অব চাইল্ড রাইটস প্রটেকশন তানিয়া নুসরাত জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মোস্তাাফিজুর রহমান বলেন, আজকের যারা শিশু তারাই আগামির নের্তৃত্বে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কোন শিশুকেই উপেক্ষা করার অবকাশ নাই ।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন এবং সবারজন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবই করবো। সকল শিশুকেই যথাযথ শিক্ষার সুযোগ প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এইসব শিশুই দেশের নের্তৃত্বে থাকবে, তাদেরকে উন্নত রাষ্ট্রের উপযোগি করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বর্তূমান সরকার শিশুদের উরন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে থেকে প্রকল্প প্রস্তাব আসলে অর্থমন্ত্রণালয় অর্থায়নের সর্বাত্বক চেষ্টা করবে।

চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পীকার মেফতাহুন নাহার জানান, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আকস্মিক বন্যার ফলে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিশু পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করছে। আমরা চাইল্ড পার্লামেন্টের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের কাছে দুর্যোগ প্রবন এলাকার শিক্ষাবোর্ডে জন্য ‘আলাদা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য সূচীর দাবি তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সহযোগিতায় চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৪তম বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।