ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হল শিশুরা

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হল শিশুরা এ লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে এনসিটিএফ শিশুরা । তোমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে অবশ্যই আমদহ ইউনিয়ন একটি শিশু বান্ধব ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে উঠবে এই আশাবাদ রাখছি । এই কথা গুলো বলছিলেন সুনিদিরিষ্ট  শিশু বাজেট ও শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণশুনানির প্রধান অতিথি  আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আনারুল ইসলাম ।

 আজ ১০ নভেম্বর  ২০১৬ মেহেরপুর সদর উপজেলার  আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ  ও এনসিটিএফ এর উদ্যোগে ও সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায়  আমদহ  ইউনিয়ন পরিষদ  মিলনায়তনে  অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সুনিদিরিষ্ট শিশু বাজেট ও শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এক  গণশুনানি। উক্ত শুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আমদহ  ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন  ইউপি সদস্য দরুদ শেখ, মেহেদি হাসান, সেভ দ্য চিলড্রেন এর  সিনিয়র অফিসার হাসান সিদ্দিকি মিলন, সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলেনটিয়ার শহিদুল ইসলাম শান্ত , সিসিজি প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি সহ আরও অনেকে ।

 উক্ত শুনানিতে এনসিটি এফ সদস্যগণ বিভিন্ন বিষয় ( যেমন  বাল্যবিবাহ প্রতিরোদ , কমিউনিটি ক্লিনিকে সময়মত  চিকিৎসা প্রদান , নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোদে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে এনসিটিএফ কে অন্তর্ভুক্তি , দরিদ্র শিশুদের তালিকাভুক্তি , এস এস সি পরীক্ষার ব্যবহারিক খাতা সাক্ষরে অতিরিক্ত ফি আদায়,বিদ্যালয়ে সৃজনশীল কাঠামোর উপর দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান , বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু  ইত্যাদি বিষয় গুলো তুলে ধরে )  এ সময়  ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এনসিটি এফ এর আলোচিত বিষয় গুলোর একত্ব ঘোষনা করেন এবং তিনি জানান  অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করবেন, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্তদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভাতা প্রদান করবেন  সর্বোচ্চ  ৫০০০ টাকা, দরিদ্র শিশুদের তালিকা প্রদান করলে বিদ্যালয়য়ের সাথে আলোচনা করে সিধান্ত নিবেন,আগামী রবিবার বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে ব্যবহারিক খাতা সাক্ষরে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করবেন , আমদহ ইউনিয়নের সেরা চার বিদ্যালয়কে ল্যাপটপ প্রদানের ঘোষনা দেন। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোদে কমিটিতে এনসিটিএফ কে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি ইউনিয়নের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এনসিটিএফ এর মতামত নেয়ার আশ্বাস দেন।