ওরা ১১ জন!

সাভারের দোসাইদ এ.কে স্কুল এর National Children’s Task Force, Bangladesh -এনসিটিএফ এর নির্বাচিত কমিটি। এই কমিটির একজন মাশরিফা জাহান আরিফা, দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং এনসিটিএফ এর শিশু গবেষক। এনসিটিএফ কমিটির কাজের বর্ণনা করতে গিয়ে সে বলে “আগে আমরা স্কুলে নিয়মিত আসতে চাইতাম না, কারণ আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবস্থা ছিল না, আর সংকোচের কারণে এটি নিয়ে কেউ কথাও বলতে চাইত না। কিন্তু এখন আমরা আমাদের সমস্যার কথা আমাদের শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বলতে পারি। এনসিটিএফ থেকে আমাদেরকে ২০১৫ সালে একটি ট্যাব দেয়া হয় এবং আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কিভাবে এটি ব্যবহার করে আমাদের সম্যসার কথা জানাতে পারি । আমরা পরে এই ট্যাব ব্যবহার করে আমাদের স্কুলের নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন এর কথা আমাদের শিক্ষকদের জানাই । আমাদের এই সমস্যার কথা জানতে পারে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩০০ ছাত্রছাত্রীর জন্য এখন মোট ১৭ টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন করে দেয়া হয়েছে যার ১১ টি ছেলেদের জন্য এবং ৬ টি মেয়েদের জন্য। ২০১৫ সালের আগেও যার মোট সংখ্যা ছিল মাত্র ৬টি যা ব্যবহার করাটাও ছিল
আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। এর ফলে স্কুলে উপস্থিতিও ছিল কম। আগে মেয়েদের ক্লাস উপস্থিতি ছিল ৫০ শতাংশ এখন এটি বেড়ে গিয়ে প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি । শুধু তাই না , এখন আমাদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানিরও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। “এভাবেই আমরা সাভারের ৩০টি স্কুলে পরীক্ষামূলক ভাবে এনসিটিএফ ভয়েস আপ্লিকেশন http://www.myschoolvoice.org/ এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি । কিন্তু আমাদের পক্ষে দেশের সব স্কুলে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না । সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে আসলেই কেবল এটি সম্ভব ।