এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখপত্র প্রকাশ এবং পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ফুয়াদ হাসান: গত ২০ মে বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের বিদায় উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা, তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-এর প্রকাশনা এবং চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ একই দিন বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)। এনসিটিএফ সভাপতি সায়েম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা:বজলুর রহমান, লোকমান হোসেন এপিপি এবং চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাইদা সানজিদা লোপা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) বদলি হয়ে এআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়াটারে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মৌলভীবাজার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধরী পলির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ শিশু পিয়া এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার কানিজ খন্দকার চৈতি অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া নওরীন সারা বিদায়ী পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)-এর হাতে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ শাহরিয়ার বিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম-এর হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়। অন্যদিকে ১০ই মে “আন্তর্জাতিক মা দিবস”-কে উপলক্ষ করে এনসিটিএফ তাদের তিতাস শিশু বার্তার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে তিতাস শিশু বার্তার এবারের সম্পাদক এবং এনসিটিএফ ব্যাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হাসান সকল অতিথিদের  হাতে এবারের সংখ্যাটি তুলে দিয়ে তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) মা দিবস-কে উপলক্ষ করে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের মুখপত্রটি প্রকাশ করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানান। অল্প বয়সে শিশুরা মায়েদের  সম্মানার্থে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অতুলনীয়। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় না থাকলেও তিনি সবসময় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।