খুলনায় এনসিটিএফের দুই দিন ব্যাপি আইসিটি ও ডকুমেন্টেশন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ২দিন ব্যাপি আইসিটি ও ডকুমেন্টেশন প্রশিক্ষণ ২০-২১ মে ২০১৫ ইং সম্পন্ন হয়েছে।

ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) এর আয়োজনে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় ৬৪ জেলাতে এনসিটিএফের আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণের খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে ।
খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার প্রতি জেলা থেকে ২ জন করে শিশু এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।

উক্ত প্রশিক্ষণে শিশুদের আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আইসিটি প্রশিক্ষণে কম্পিউটার পরিচিতি ও ব্যবহার, ইন্টারনেট ও ব্যবহার, ইমেইল, সার্চ ইঞ্জিন, সোস্যাল মিডিয়া ও বাংলাদেশের ব্যাতিক্রমধর্মী শিশুতোষ ওয়েবপোর্টাল এনসিটিএফবিডিডটওআরজি এর ব্যবহারের উপর বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণের শেষদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের সম্পাদক এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম. সাহিদ হোসেন। শিশুদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। আর প্রযুক্তির বিশ্বে বাংলাদেশও যুক্ত হয়েছে। বর্তমান শিশুদের এই প্রযুক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আর এনসিটিএফ এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। এনসিটিএফের সাথে সম্পর্কিত শিশুরা আরো অনেক শিশুর তুলনায় অনেক মেধাবী। তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিরসনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সফলতায় এনসিটিএফ অনেক বড় অংশীদার হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

উক্ত প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ছিলেন ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) এর প্রকল্প কর্মকর্তা সাইফ মাহদী, আইসিটি প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সবুজবার্তা ডট কমের সম্পাদক, আসাদজোন ডট কমের স্বত্বাধিকারী এবং এনসিটিএফের সিওয়াইভি মোঃ আসাদুজ্জামান এবং এনসিটিএফের সিওয়াইভি মিদুল ইসলাম মৃদুল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খুলনা এনসিটিএফের ডিভি জাহিদুল ইসলাম সুমন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দিনা।

এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখপত্র প্রকাশ এবং পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ফুয়াদ হাসান: গত ২০ মে বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের বিদায় উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা, তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-এর প্রকাশনা এবং চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ একই দিন বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)। এনসিটিএফ সভাপতি সায়েম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা:বজলুর রহমান, লোকমান হোসেন এপিপি এবং চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাইদা সানজিদা লোপা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) বদলি হয়ে এআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়াটারে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মৌলভীবাজার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধরী পলির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ শিশু পিয়া এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার কানিজ খন্দকার চৈতি অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া নওরীন সারা বিদায়ী পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)-এর হাতে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ শাহরিয়ার বিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম-এর হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়। অন্যদিকে ১০ই মে “আন্তর্জাতিক মা দিবস”-কে উপলক্ষ করে এনসিটিএফ তাদের তিতাস শিশু বার্তার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে তিতাস শিশু বার্তার এবারের সম্পাদক এবং এনসিটিএফ ব্যাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হাসান সকল অতিথিদের  হাতে এবারের সংখ্যাটি তুলে দিয়ে তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) মা দিবস-কে উপলক্ষ করে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের মুখপত্রটি প্রকাশ করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানান। অল্প বয়সে শিশুরা মায়েদের  সম্মানার্থে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অতুলনীয়। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় না থাকলেও তিনি সবসময় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।