Posts

বাল্য-বিবাহ বন্ধে জেলা প্রশাসকের নতুন কৌশল

হাসান মাহমুদঃ ”বাল্য-বিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ, ১৮ এর আগে বিয়ে নয় ২০ এর আগে সন্তান নয়’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে গত ৩০ নভেম্বোর ২০১৫ তারিখে মেহেরপুর সদর উপজেলার কনফারেন্স কক্ষে হয়ে গেল ’’বাল্য-বিবাহ নিরোধকল্পে বিবাহ নিবন্ধক,ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষকগণের করনীয়’’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা। উক্ত সভায় প্রধান অথিতি হিসাবে ছিলেন, জনাব মোঃ শফিকুল অইসলাম, জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর, বিশেষ অথিতি ছিলেন, জনাব মোঃ হেমায়েত হোসেন,উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার,মেহেরপুর এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ মঈনুল হাসান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেরপুর সদর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মেহেরপুর সদর, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মীয় শিক্ষক,চেয়ারম্যান,কাজিগণ,এনজিও প্রতিনিধি এবং শিশু প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, জনাব মোঃ লাল মিয়া,জনাব মোঃ হাসান মাহমুদ, সভাপতি মেহেরপুর সদর উপজেলা,জান্নাতুল ফেরদৌস লাকী,সহ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের বাল্য-বিবাহ বন্ধের পরামর্শ/সুপারিশের জন্য মুক্ত আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। মুক্ত আলোচনায় কাজী,ইমাম,এনজিও প্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা,চেয়ারম্যান এবং শিশুরা সকলে তাদের মুল্যবান মতামত/সুপারিশ/পরামর্শ তুলে ধরেন। যেমন, ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত বাল্য-বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি থাকবে, উল্লেক্ষ প্রতিটি কমিটিতে শিশু প্রতিনিধি হিসাবে এনসিটিএফ সদস্যদের অন্তভুক্ত করা হবে। উপস্থিত সকলের একটাই কথা যে কোনো মুল্যে মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহমুক্ত জেলা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

পরিশেষে মাননীয় জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর বলেন, ’’বাল্য-বিবাহ বন্ধে আমাদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ের মত জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি অচিরেই মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহ মুক্ত করতে চাই এবং প্রতিটি কমিটিকে শফথ বাক্য পাঠ করান হবে। আর আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন, তাহলে আমি আজ থেকে বাল্য-বিবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায়। সবশেষে অনুষ্ঠানেরসভাপতি, মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে শীর্ষক কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

Access to Government Web site

NCTF got access to publish their news in the Union Porishad web portal. Upazila Nirbahi Officer announced web access considering NCTF activities and achievements. He also said” my phone number is open for all in actions to stop Child marriage and Drug” . Beside he promised to take immediate action to stop use of mobile in class room.


                                                      বাল্যবিবাহ এবং মাদক বন্ধে যুদ্ধ ঘোষনা

হাসান মাহমুদঃ- ”মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মধ্যে যে কোন স্থানে বাল্যবিবাহ,ইভটিজিং,মাদকদ্রব্য,সহ শিশুদের উপর অত্যাচার হলে এনসিটিএফ সদস্যরা আমাকে জানালে আমি প্রতিরোধে শতভাগ ব্যবস্থা করব। আমার মোবাইল নাম্বার (০১৮২৭১১১৮৮৮)শুধু তাই নয় আজ থেকে বাল্যবিবাহ,এবং মাদক বন্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলাম।” মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ এর উদ্যোগে আয়োজিত শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানিতে মুজিবনগন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ ঘোষণা করেন।

চাইল্ড পালামেন্ট স্পীকার হাসান মাহমুদ এর, সঞ্চালনায় গত ১০ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১ টায় মহাজনপুর ইউনিয়ন শিশুদের পরিস্থিতি নিয়ে গণ-শুনানি অনুষ্ঠানে শিশুদের উত্থাপিত বাল্যবিাহ,শিশুশ্রম,শিশুদের মাদকের প্রতিআসক্ততা,ইভটিজিং, শ্রেনী কক্ষে ক্লাষ চলাকালিন সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, শ্রেনী কক্ষে বৃষ্টিতে পানি পড়া, আরো উঠে আসে এনসিটিএফ দেখা গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্ববর-২০১৫ শিশু বিবাহের সংখ্যা ৪২ তুলে ধরেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ হেমায়েত উদ্দিন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আজকে আমি এনসিটিএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে না আসলে বুঝতে পারতাম না শিশুরাও শিশুদের জন্য এত ভালো কাজ করতে পারে। বিশেষ করে এনসিটিএফ এর সাথে সম্পৃক্ত শিশুরা।”আমি তোমাদের কাজে খুবই সন্তুষ্ট তোমরা তোমাদের কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে যে কোন সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাবে তোমাদের পাশে থাকব।” আর আমি আশা করি শিশু অধিকার লঙ্গন যাতে কেউ না করতে পারে এর জন্য এনসিটিএফ থেকে একটি আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এনসিটিএফ সদস্য মোহাম্মদ আলী-এর শ্রেনী কক্ষ ভাঙ্গা,এবং ক্লাস চলাকালিন সময় মোবাইল ব্যবহার বন্ধের এক প্রশ্নের জবাবে, বিশেষ অতিথি উপজেলা মহিলা ভাইজ চেয়াম্যান জনাবা মোছাঃ রুমানা খাতুন বলেন, আমি আজ অথবা কাল শিক্ষা অফিসার,উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে এর সমাধানের জন্য দরখাস্ত করব। যদি না হয় তবে জেলা প্রশাসক এর সাথে আলাপ করে অতি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা গ্রহন করব।

এনসিটিএফ দাপ্তরিক কাজ পরিচালনার জন্য একটি কক্ষ বরাদ্ধের বিষয়ে, বিশেষ অতিথি মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আমাম হোসেন মিলু বলেন, আজ থেকে তোমাদের জন্য একটি রুম বরাদ্ধ ঘোষনা করলাম আগামী মিটিং রেজুলেশন পাশ করে দিব।তোমরা তা এখন থেকেই ব্যবহার করতে পারবে। তোমাদের যে কোন খবর আমাদের ইউনিয়ন পোর্টালে দিলে প্রকাশ করা হবে। শিশুদের এই গণ-শুনানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত আমি সব সময় তোমাদের পাশে থাকব।

উক্ত শুনানিতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার,ইউনিয়ন পরিষদ সকল সদস্য সহ সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম,পিএসকেএস প্রতিনিধি জামিদুল ইসলাম,উপজেলা ভলান্টিয়ার কারুন্নাহার এবং এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ।

Public hearing session to stop violence

Children placed their demands to local government regarding Child marriage, child labor, school dropout and eve-teasing issues in a public hearing session on 5 November 2015 in Solotaka Union, Meherpur. Union Chairmen Mr. Auibe Ali highly praised NCTF  view about child violence. He finally announced “If any one inform me about child marriage in my Union , I will stop it”.In addition a Specific Child Budget for children, inclusion of children (one boy & one girl) in the Union level women and child violence committee,  a room allotted for NCTF in Union office were some major achievement in the session.


 

                                                                        শিশু বিবাহ প্রতিরোধে হট লাইন চালু।

কাকুলিঃ মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মধ্যে যে কোন গ্রামে শিশু বিবাহের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাকে জানাবে আমি ব্যবস্থা নিব। শিশুদের জন্য হট লাইন চালু করলাম (০১৭১৪৭৪৩৩৯৩)

এনসিটিএফ এর উদ্যেগে ৫ই নভেম্ববর ২০১৫ ইং ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানিতে ষোলটাকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আইয়ুব আলী শিশুদের শিশু বিবাহ বিষয় উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষনা দেন।উক্ত অনষ্ঠানে্ এনসিটিএফ শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাননীয় প্রধান অতিথি জনাব মোঃ আইয়ুব আলী বলেন আজকে এনসিটিএফ এর সদস্যদের উপস্থাপনা শুনে আমি মুদ্ধ,অভিভূত,উল্লাসিত যে আমার ইউনিয়নের শিশুরা এত সুন্দর করে তাদের দাবি,চাওয়া পাওয়া তুলে ধরতে পারে ধন্যবাদ এনসিটিএফ সহ সেভ দ্য চিলড্রেন,পলাশি পাড়া সমাজ কল্যান সমিতিকে। তোমাদের দাবির মধ্যে গুরুত্বপূর্র্ণ হল শিশু বিবাহ রোধ, ব্যবহার, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, স্কুলের পাশে সিডিভিসিডি চালানো,মাদকদ্রব্য ,ইভটিজিং এবং তোমাদের জন্য একটি রুম বরাদ্ধ। আমার ইউনিয়নে শিশু বিবাহের হার আমার মাধ্যমে শূন্যতে নামিয়ে এনেছি ইউনয়ন পরিষদ থেকে কাউকে বয়স বাড়িয়ে জন্ম সনদ দেওয়া হয় না। এটা অব্যাহত থাকবে, কিন্তু তার পর প্রশ্ন হল কিভাবে হয়,গ্রামের কিছু অসচেতন মানুষ আছে যারা গোপনে রাতের আধারে অন্য গ্রামে নিয়ে বিবাহ দেওয়া।

আমি তোমাদের যে ফোন নাম্বার দিলাম যে কোন গ্রাম থেকে শুধু তোমরা আমাকে একটা ফোন দিবে বাকি কাজ আমার। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন দয়া করে ক্লাস চলাকালিন সময়ে মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না। ধানখোলা ইউনিয়নের যে স্কুলগুলোতে ক্লাসরুম কম আছে তোমরা আমাকে লিখিত দাও আমি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মিটিংএ উত্থাপন করব। এনসিটিএফ এর দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করার জন্য একটি রুম বরাদ্ধ দিলাম। এনসিটিএফ এর যে কোন সংবাদ আমাদের ইউপি ওয়েব সাইডে দেওয়া হবে। তিনি ইউপি সচিবকে বলেন আপনি আগামী সাতদিনের মধ্যে রেজুলেশন রুম এনসিটিএফকে বুঝিয়ে দিবেন। আগামী ইউপি বাজেটে অবশ্যই শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট রাখবো। এনসিটিএফ এর পাশে আমি সব সময় থাকবো তোমরা যে কোন ব্যপারে আমাকে জানালে আমি তোমাদের সহযোগিতা করব।

আজকে থেকে এনসিটিএফ এর একজন ছেলে এবং একজন মেয়েকে ইউনিয়ন নারী ও শিশুনির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিতে সদস্য করে নিলাম। শিশু গবেষক কাকলী খাতুনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন পিএসকেএস ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর তানিয়া পারভীন মুক্তা ইউপি সদস্য আজিজুল ও চামেলি খাতুন। আরো সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম, পিএসকেএস ইউনিয়ন সমন্বয়কারী মোঃ ফিরোজ মিয়া উপজেলা ভলান্টিয়ার তানিয়া পারভীন মুক্তা ও জসিম ।উক্ত অনষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার,স্কুল শিক্ষক,সিএফএল দল,এডি সেন্টার,সিপি সদস্য, এনসিটিএফ সদস্যসহ ৫০ জন অংশগ্রহনকারী উপস্থিত ছিলেন।

আমরাই পারি।

হাসান মাহমুদঃ এনসিটিএফ এর উদ্যেগে ২৬/১০/২০১৫ সকাল ১১ ঘটিকার সময় মেহেরপুর জেলার মটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সাথে এনসিটিএফ সদস্যদের শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এখানে মটমুরা ইউনিয়ন এর সব গ্রাম থেকে এনসিটিএফ সদস্য এবং স্কুল প্রদান শিক্ষক সহ ইমাম সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

শিশু অধিকার সনদের ১২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শিশুরা তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে দায়িত্ব বাহকের সাথে মতপ্রকাশ করতে পারবে। গণ-শুনানিতে শিশুদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো হচ্ছে ইভটিজিং,শিশুদের মাদকের প্রতি আসক্ততা,অল্প বয়সে বিবাহ, দপ্তরি দিয়ে ক্লাস নেওয়া, কিছু স্কুলে বাথরুম ব্যবহার অনপুযোগী, ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ মিটিং রুম এবং ফার্নিচার। এনসিটিএফ শিশুদের গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেমবর এর মধ্যে শিশু বিবাহের সংখ্যা ২৫ জন যাদের বয়স গড়ে ১১-১৪ বছর। বাওট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন শিশু বিবাহ বন্ধ করতে হলে সবার আগে অভিবাবকদের সচেতন করতে হবে। তাদের সচেতন করতে পারলে এটা রোধ করা সম্ভব হবে।
আমার স্কুল এলাকার মধ্যে কোন মেয়ে ইভটিজিং স্বীকার হও আমাকে জানালে আমি পদক্ষেপ নিব। মুটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিশু বিবাহ সর্ম্পকে বলেন আমাদের দেশ তথা সমাজের মারাত্বক ব্যাধি। যার ফলে বিশেষ করে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা বা সমান অধিকার থেকে এর জন্য একা আন্দোলন করলে হবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরাই পারি শিশু বিবাহ প্রতিরোধ করতে, কারন সরকারের সব চাইতে নিম্ন পর্যায় আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ।

এনসিটিএফ থেকে তোমরা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছো সেগুলোর সাথে আমি একমত এগুলো প্রতিরোধ করতে আমার যেখানে যা সহযোগীতা লাগবে আমাকে বললে আমি সহযোগিতা করব। এনসিটিএফ আমার চোখ খুলে দিয়েছে আমি অনেক বিষয় জানলাম ভবিষতে তোমরা আমাদের এভাবে জানাবে। আমি এনসিটিএফ এর মিটিং করার জন্য এ রুমে তোমাদের চেয়ার টেবিল যা লাগে তা পরিষদ থেকে নিয়ে একটা তালা মেরে চাবি তোমাদের কাছে রাখবে।

তোমাদের খবরগুলো আমাদের ইউনিয়ন র্পোটালে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্তাকে দিলে তা প্রকাশ করা হবে। পলাশি পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগিতায় উক্ত শুনানিতে শিশু ও সুশীল সমাজের ৪৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এনসিটিএফ এর চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য জনি আহাম্মেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস প্রতিনিধি সহ সেভ দ্য চিলড্রেন এর সেন্ট্রাল ভলান্টিয়ার শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম উপজেলা ভলান্টিয়ার জসিম উদ্দিন এবং ইসমোতারা প্রমুখ্য।

Learning camp to develop children s skill

One hundred children got life skill training to protect them-selves from mental and physical unfavorable situation in life at Gangni in Meherpur . In the learning camp children got to know about the child convention and various skills for life . Beside that they took part in a drawing and quiz competition.The Chief guest appreciated NCTF for their participation in local level child budget, hot line introduction to stop child marriage and others advocacy activities. The training session held on 28 October 2015  with the support of Bangladesh Shisu Academy, Somaj Kollan Somiti and Save the Children.


গাংনী উপজলো লার্নিং ক্যাম্প।

জেমী আক্তারঃ গত ২৮ই অক্টোবর, শুক্রবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), মেহেরপুর এর আয়োজনে ১০০ শিশুর উপস্থিতিতে লার্নিং ক্যাম্প ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবং পলাশি পাড়া সমাজ কল্যাণ সমতিরি সহযোগিতায় উক্ত লার্নিং ক্যাম্পে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সকল ইউনিয়ন থেকে এনসিটিএফ প্রতিনিধি, এডি সেন্টার প্রতিনিধি, চাইল্ড প্রটেকশন প্রতিনিধিসহ অন্যান্য এলাকার শিশুরা অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯.৩০ মনিটিরে সময় প্রধান অতথিি জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা লার্নিং ক্যাম্প এর শুভ উদ্বোধন করেন।

পরবর্তীতে শিশুরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিশু অধিকার সনদ, জীবন দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরে শিশুরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর শিশুরা ঘুড়ি উড়ায়,সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে শিশুরা পরিবেশকে আরো বেশী আনন্দঘন করে তোলে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচীর বিভিন্ন কর্মসুচি সম্পর্কে উপস্থিত শিশুদের অবহিত করেন ডেপুটি ম্যানেজার জনাব ইমরান চৌধুরী। এর পর শিশুরা কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি,শুনীল কুমার রায় প্রজক্টে ডরিক্টের পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ,জনাব আবুজাফর মোহাম্মদ হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন,লালমিয়া, সভাপতি, এনসিটিএফ মেহেরপুর জেলা। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় গাংনী উপজলো এনসটিএিফ সভাপতি রোকুনুজ্জামান রাকবি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে গাংনী উপজেলা এনসিটিএফ সাধারন সম্পাদক জমেী খাতুন,জনি আহাম্মদে,মোমনি এবং কাকলী আক্তার।

আলোচনা সভায় জমেি খাতুনরে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এনসিটিএফ মেহেরপুরের বিভিন্ন সফলতা এবং প্রশাসনের দাবি তুলেধরে। এর মধ্যে উল্লেখ্য, তারা চলতি বছর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট পরিকল্পনা সভায় অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সুপারিশে ইউনিয়ন পরিষদ শিশুদের জন্য সুনির্দিস্ট বাজেট বরাদ্দ করে। এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ প্রধান অতিথির নিকট আগামী বছর সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাজেট সভায় অংশগ্রহণ করতে একটি সরকারি নির্দেশনামূলক বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি জানায় চায়। শিশুরা যাতে সরাসরি প্রশাসনের কাছে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ সমূহ জানাতে পারে তার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য দাবি জানায়। এছাড়া সে তার বক্তব্যে জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যে তাদের সরকারী ওয়েবসাইটে এনসিটিএফ এর সংবাদ ও তথ্য শেয়ার করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উপজলো প্রশাসনরে একটি নির্দিষ্ট হটলাইন চালু করলে তারা তৎক্ষনাত তথ্য জানাতে পারবে এবং আরো উল্লেখ করে তাদের মেহেরপুরের সকল গ্রামে এনসিটিএফ এর সদস্য আছে।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এনসিটিএফ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকল কাজে এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবে বলে জানান। তার পাশাপাশি প্রধানঅতিথি তার বক্তব্যে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে অঙ্গীকার তুলেধরেন এবং এনসিটিএফকে আরো বেশী কাজ করার জন্য বলেন। তিনি সব সময় এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবেন বলে ও জানান এবং এনসিটিএফ এর কাজের প্রশংসা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শশিু ছাড়া আরো উপস্থতি ছলিনে মৃদুল কুমার পএিসকএেস,মোঃ শহদিুল ইসলাম শান্ত, চাইল্ড র্পালামন্টে স্পীকার মোঃ হাসান মাহমুদ এবং জসমি, মুক্তা প্রমূখ্য।

”শিশু বান্ধব দেশ গড়বে এনসিটিএফ”

শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে সিসিজি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভ’মিকা শীর্ষক তথ্য ও মত বিনিময়কর্মশালা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক নাটক-২০১৫ এ অংশ নেয় মেহেরপুর এনসিটিএফ সদস্যরা।অনুষ্ঠানে সিসিজি কমিটির বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে যেমন, শিশুর শিক্ষা,স্বাথ্য ও সুরক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত কারা অন্যতম। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য মেহেরপুর জেরার বুড়িপোতা ইউনিয়নকে শিশু বান্ধব,মাদকমুক্ত এবং বাল্য-বিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলা যায় কিভাবে সে বিসয়ে মত বিনিময়কর্মশালা।
উক্ত অনুষ্ঠানে তাৎক্ষনিকভাবে কিছু গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যেমন, (১) ঝরে পড়া ও অনিয়মিত শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতি বাড়ানো। (২)স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। (৩) শিক্ষা,স্বাস্থ্য,শিশুর পুষ্টি ও শুরক্ষা বিষয়ক সমাবেশ করা। (৪) প্রাক-প্রথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করা। (৫) শিশদের জন্য বিভিন্ন উৎসবের এবং শিশু বিবাহ প্রতিরোধে সহায়তা করা।(৬) আর্সেনিক মুক্ত পানি এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্কুলগুলো নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা উল্যেখযোগ্য।

অনুষ্ঠানে অথিতিরা বলেন ”সেভ দ্য চিল্ড্রেন এবং সিসিজি এর পাশা-পাশি শিশুদের উন্নয়নের লক্ষে এনসিটিএফ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে ইতিমধ্যে এনসিটিএফ বুড়িপোতা ইউনিয়নের শিশুদের অনেক উন্নতির পথে নিয়ে গিয়েছে এবং আমাদের মনে হয় তারা উন্নতির শিখরে এবং এনসিটিএফ এভাবে কাজ করতে থাকলে তারাই একদিন বাংলাদেশকে শিশু-বান্ধব দেশ হিসাবে গোড়ে তুলতে সক্ষম হবে আমাদের বিশ্বাস” উলেক্ষ্য অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়ীত্ব পালন করেন, বুড়িপোতা এনসিটিএফ এর সহ-সভাপতি ’স্বপ্না’ প্রধান অথিতি হিসাবে ছিলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ’আব্দুর রউফ’ সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেন ’মুজিবুর রহমান, বিশেষ অথিতি হিসাবে ছিলেন, আফরোজা আক্তার বানু, জনাব মোঃ মনির হোসেন (সিনিয়র অফিসার সেভ দ্য চিল্ড্রেন) এনসিটিএফ এর আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি, হাসান মাহমুদ,শিশু গোবেষক, উশীয়া,শিশু সাংবাদিক সাব্বির হায়াত এবং উপজেলা ভলিন্টার মানাœফ মান্ন্।া অনুষ্ঠানে অথিতি এবং উপস্থিত সকলের সামনে এনসিটিএফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বকÍব্য রাখেন সভাপতি হাসান মাহমুদ। সার্বিক সহযোগিতা করেন সেভ দ্য চিল্ড্রেন।