প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো এনসিটিএফ সদস্য ও শিশুরা

২১শে ফেব্রুয়ারি, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গাইবান্ধায় শহীদ মিনার বিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতে তৈরি শহিদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় পর্যায়ের শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা।

গত (২১শে ফেব্রুয়ারি), বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঝিনাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ শহিদ মিনার স্থাপন করে পূষ্পমাল্য অর্পণ করে এনসিটিএফ সদস্যসহ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

পরে মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্যের আলোকে সাধারণ জ্ঞান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রতিযোগিতা শেষে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ১৫ জন বিজয়ী শিশুর হাতে পুরষ্কার তুলে দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও এনসিটিএফ সদস্যরা।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় শহিদ দিবসের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান অন্তর, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান, জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী আক্তার, সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন, মশিউর রহমান মুছাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

শহীদ মিনার স্থাপনের অনুভূতি জানিয়ে ৫ম শ্রেনির ছাত্র রাজু (১০) জানায়, আমাদের স্কুলে কোন শহীদ মিনার ছিলো না। আমরা নিজেরা শহীদ মিনার বানানো দেখেছি। আজ সেখানে ফুল দিয়ে আমরা সম্মান জানাই।

এনসিটিএফ এর সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, আমরা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে কোমলমতি শিশুরা ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ স্বরণে রাখতে পারে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তি রানী মন্ডল বলেন, ককশীট দিয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য এনসিটিএফকে ধন্যবাদ জানাই। আজ আমাদের বাচ্চারা ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের স্বরণ করতে পেরেছে। আমরা কতৃপক্ষের নিকট এখানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য যে, এই বিদ্যালয় দুটির আশেপাশে প্রায় ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত থাকে এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা। ভাষা শহীদদের স্বরণে এখানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের জোর দাবি জানায় স্থানীয়রা।