বাল্য বিবাহ ও মাদককে লাল কার্ড কর্মসূচীর আয়োজন করতে যাচ্ছে এনসিটিএফ পাবনা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় ইমাম গাজ্জালি বালিকা স্কুল এন্ড কলেজে বাল্য বিবাহ এবং মাদককে লাল কার্ড কর্মসূচীর আয়োজন করতে যাচ্ছে এনসিটিএফ পাবনা। প্রাথমিক ভাবে সদর উপজেলার ১৬ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রত্যহিক সমাবেশে উক্ত  বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী এই ক্যাম্পইনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া জেলায় বাল্য বিবাহ এবং শিশু নির্যাতনের তথ্য জানাতে প্রশাসনিক সহায়তা নম্বর ৩৩৩ এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সকল উপজেলা নিবার্হী অফিসারদের মোবাইল নম্বর সম্বলিত একটি ফেসটুন প্রদান করবে প্রতিটি স্কুলে। ১২ ফেব্রুয়ারি এনসিটিএফ এর নতুন এই ক্যাম্পইনের উদ্ভোধন করবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়। উদ্ভোধনী এই ক্যাম্পইনে প্রায় এক হাজার শিশু অংশগ্রহণ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এনসিটিএফ শেরপুর এর উদ্যোগে ১০৯ ধারণকারী স্টিকারের প্রচার

১০৯ নম্বরের প্রচারে সারা শেরপুর শহর এমনকি প্রান্তীয় অঞ্চলেও স্টিকার ছড়িয়ে দিল এনসিটিএফ শেরপুর। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের নম্বর ১০৯২১ পরিবর্তন করে ১০৯ করা হয়েছে। যেকোনো মোবাইল ও অন্যান্য ফোন থেকে সরাসরি বিনা খরচে ১০৯ নম্বরে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা নেওয়া যাবে। গত জানুয়ারি মাসে শেষ হলো স্টিকার লাগানোর কাজ। জেলা শহরের নিউমার্কেট, সদর হাসপাতাল রোড, মাধবপুর, খরমপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ও স্কুলে লাগানো হয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জরুরি নম্বর ১০৯ ধারণকারী স্টিকার। এছাড়াও জেলা কমিটির সদস্যরা গ্রাম পর্যায়ে কুসুমহাটি, যোগিনীমুরা পর্যন্ত পৌঁছে দেয় স্টিকার। বহু রিক্সা ও অটোতেও দেখা মিলছে এনসিটিএফ শেরপুর এর সৌজন্যে ১০৯ নম্বর ধারণকারী স্টিকার।  

গোপালগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাক্সফোর্স (এনসিটিএফ), গোপালগঞ্জ জেলা কার্যনির্বাহি কমিটির ১ম বর্ষ পূর্ণ উপলক্ষে “শিশু পেলে অধিকার, খুলবে নতুন বিশ্বদার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিন উদ্দিন। জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি হাসানুর রহমান সিয়াম, জেলা ভলান্টিয়ার জুয়েল মাহামুদ ও ফারহানা মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক হাচিবুল হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকলে এবং আমন্ত্রিত এনসিটিএফ সদস্য বৃন্দ।
পরবর্তীতে সভাপতি হাসানুর রহমান সিয়াম – শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সহ সকলকে নিয়ে বর্ষপূর্তির কেক কাটেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এনসিটিএফ মেহেরপুর এর হাসপাতাল পরিদর্শন

অদ্য ০২-০২-২০১৯ তারিখ মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর একটি পরিদর্শক টিম, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা হাসপাতালে অনেক ভালো দিক নির্বাচন করেন তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য ১. রোগীরা সময় মতো ঔষধ পাচ্ছে ২. পর্যাপ্ত পরিমাণ নার্স আছে ৩.সময় মতো খাবার পাচ্ছে ৪.হাসপাতাল ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে ইত্যাদি এতো ভালো দিক আছে তবুও অনেক সমস্যা আছে হাসপাতালে তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে ১. হাসপাতালের ভিতর এবং বাহির কোনোটাই স্বাস্থ্যসম্মত নয় অনেক ময়লা আবর্জনায় ভরা ২. পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় শিশুরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না চিকিৎসা হীনতায় ভুগছে অনেক শিশু ৩. হাসপাতালে নার্স এবং ডাক্তারদের ব্যবহার খুবই খারাপ ৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড নাই যার কারণে শিশুরা মেঝেতে অবস্থান করছে এছাড়াও আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি এস এম মেহেরাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া আফরিন এলিসা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাফিজা রেজা, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার মাজশুনাত মিম নকশি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাজু, শিশু গবেষক ইশিতা তাবাচ্ছুম লাবন্য, শিশু সাংবাদিক নোশিন তাবাচ্ছুম, শিশু সাংবাদিক আতিকুর রহমান, সদস্য নাজমুস সাকিব পপিন এবং জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ রাজন।