এনসিটিএফ কিশোরগঞ্জ এর হাওড় এলাকা পরিদর্শন

১৩-০৫-১৭ ইং রোজ শনিবার কিশোরগঞ্জ এনসিটিএফ এর সদস্যরা হাওর এলাকা পরিদর্শন করে। কিশোরগঞ্জের আশে পাশে বেশ কিছু উপজেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে বন্যা দেখা দেয়। এমনি একটি হাওড় এলাকা নওগাঁ ও কিশোরগঞ্জ জেলা। এখানে বন্যা জনিত কারনে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়েছে। অনেকের জমির ফসল নষ্ট হয়ে সর্বহারা হয়ে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কাছ থেকে জানা যায়, দুই বছর আগে বন্যার কারনে এখানকার প্রাইমারি স্কুলটি ভেঙে যায়। নওগাঁ এর চেয়ারম্যান স্কুলের জন্য বিল্ডিং তৈরি করবেন বলে কথা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এর ফলে শিশুরা শিক্ষার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।  আরও একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশুদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এখানে কোনো হাসপাতাল নেই। বন্যার কারনে পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানিরও অনেক অভাব হচ্ছে। নওগাঁ পুরো এলাকাটি পরিদর্শন করে জানা গেল যে, এখানকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি খাবারের পর্যাপ্ত অভাবে রয়েছে। এখানকার শিশুরা  বর্তমান সময়ে সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। এই নওগাঁ এলাকার মত আর কত এলাকাই না রয়েছে ভাটি অঞ্চলে। আর সেসব এলাকাতে আর কত শিশুই না তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুদের ওই করুন মুখগুলো দেখলেই বোঝা যায় সত্যিই ভালো নেই এখানকার শিশুরা।

এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১০ মে ২০১৭ তারিখে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য সহ উপস্থিত ছিলো অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর উপকমিটি সদস্যরা এবং অন্যান্য সাধারণ সদস্য।  এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাফায়েত জামিল নওশান এর সভাপতিত্বে সভায় স্কুল পর্যায়ে স্যানিটেশন এবং অধিকার সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবরের মতো এবারো ভিন্নধর্মী একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা সদরের স্কুল গুলোতে স্যানিটেশন বিষয়ক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।  প্রথম পর্যায়ে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং সেখানকার ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং দেয়ালিকা তৈরির দায়িত্ব স্কুলস্থ এনসিটিএফ উপকমিটির। এতে করে উপকমিটি গুলোর নিজস্ব দক্ষতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করা সম্ভবপর হবে।  সকল কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগীতায় জেলা কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। 

হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন

১১-০৫-১৭ ইং রোজ বৃহঃস্পতিবার কিশোরগঞ্জ এনসিটিএফ এর সদস্যরা কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ড  পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও ভর্তিকৃত রোগীদের কাছ থেকে এখানকার বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা, সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ জানা যায়। শিশু বিশেষজ্ঞ  ডাক্তারদের চেম্বারে প্রচুর ভিড় হওয়ার কারনে রোগীদের অনেক ভুগান্তিতে পরতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা এবং ডাক্তারের অভাবে এই অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। নবজাতক ওয়ার্ড পরিদর্শন করে জানা যায় যে, সেখানে মাত্র ১০ টি সিট রয়েছে কিন্তু ভর্তিকৃত রোগী ৩০ জন। প্রতি সিটে ২ বা ৩ জন করেও রোগী থাকতে হচ্ছে। এতে করে তাদের থাকার সমস্যা সহ কম জায়গায় বেশি রোগী হওয়ার ফলে ডাক্তারা ঠিকমত চিকিৎসা দিতে পারছেন না। স্পেশাল কেয়ার ইউনিটেও এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে।  শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এক শিশুর মা। তিনি বলেন যে, তার শিশুর ফুসফুসের রোগ ধরা পরেছে এবং তারা ৪ দিন যাবত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি। নার্সরা সার্বক্ষনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং ডাক্তারগন দিনে এক বার সব রোগীদের দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে কিছু ইনজেকশান দেওয়া হলেও বেশিরভাগ দরকারি ঔষধ নিজেদের কিনে নিতে হয়।