ভান্ডারিয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা !

আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গত ১২ই জুন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ভান্ডারিয়ায় এডিপি এর উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে সংস্থার স্থানীয়16062014094536am11 হল রুমে এডিপি ম্যানেজার পলাশ রঞ্জন সরকার এর সভাপতিত্বে শিশু শ্রম প্রতিরোধ এর ওপর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন, এডিপি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, নেলসন প্রফুল্ল হাজরা, আশিষ কুমার অধিকারীসহ শিশু ও উন্নয়ন দলের সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য সংস্থাটি শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে।

শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা !

সম্প্রতি সু্ইডেনের একটি গবেষনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে যে, তরুণেরা যারা মোবাইলফোন ব্যবহার করে এবং যাদের বয়স ২০ বছরের কম, অন্যদের তুলনায় তাদের প্রায় ৫ গুন বেশি সম্ভাবনা থাকে ব্রেন ক্যানসারের৷ অন্যআরেকটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে একটি দুই মিনিট স্থায়ী মোবাইল কল শিশুদের মসত্মিস্কে হাইপার এ্যাকটিভিটি সৃষ্টি করে যা কিনা পরবর্তি এক ঘন্টা পর্যনত্ম তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে৷ ইউরোপিয়ান জার্নাল অব অনকোলজির এক রিপোর্টে কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কর্ডলেস ফোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশন ছড়ায় যার ফলে ব্যবহারকারীর হার্ট এ্যাটাক্ট এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুন , ব্যবহারকারীর স্নায়ূ দূর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লানত্ম এবং নিসত্মেজ হয়ে পড়ে এমনকি নিয়মিত ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়৷ শিশুদের জন্য যে কারনে ঝুঁকিপূর্ণ: ৰতিকর রেডিয়েশন প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর, শিশুদের জন্য তা আরো বেশি মারাত্নক ৰতিকর যা কিনা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ব্যহত করে৷সারা পৃথিবীতেই এখন শিশুরা প্রায় বেশিরভাগ সময়েই মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে থাকে৷ এ প্রসঙ্গে সানি’স স্কুল অব পাবলিক হেলথ্ এর ডিন ডেভিড কার্পেন্টার বলেছেন যে ” শিঘ্রই আমরা হয়তো একটি মহামারী রোগের শিকার হতে পারি এবং সেটি হবে মসত্মিস্ক ক্যানসার৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতাও হ্রাস করে দেয়৷ রেডিয়েশন গবেষক কেরি ক্রফটন বলেছেন যে ” তবে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এখন ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিরম্নত্‍সাহিত করা হচ্ছে, যা কিনা অন্যদের জন্য একটি ভালো নিদর্শন”৷ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়ঃ ডাক্তার কার্পেন্টার বিশ্বাস করেন যে শিশুদের প্রায় ৩০ ভাগ ক্যানসারই হয়ে থাকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর এই রেডিয়েশনের কারনে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় তার প্রমানও মিলেছে৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে শিশুরা যারা ম্যাগনেটিক (চুম্বক) ফিল্ডস এর কাছাকাছি অবস্থান করে ক্রমেই তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং যারা পাওয়ার লাইনের ( যা কিনা ইএমএফ উত্‍পন্ন করে) কাছাকাছি অবস্থান করে, এটা খুবই পরিষ্কার যে তারা লিওকেমিয়ায় (একটি রোগ) আক্রান্ত হয়ে পড়ে৷ এমনকি যারা মোবাইল অথবা রেডিও টাওয়ারের ১২০০ ফিট এর মধ্যে বসবাস করে তাদের মসত্মিস্কে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অধিক৷ আর বেশিরভাগ ৰেত্রেই টাওয়ারগুলো গড়ে উঠছে স্কুলের ছাদে, বাড়ির ছাদে এবং শপিংমলের উপরে৷ যেসকল স্থান গুলোতে হরহামেশাই আমরা যাতায়াত করে থাকি৷ অভিভাবকদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরীঃ বর্তমানে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরির অন্যতম কারন হচ্ছে তারা জরম্নরী প্রয়োজনে সহজেই সনত্মানদের খোঁজ নিতে পারে৷ প্রকৃতপক্ষে একটি আদর্শ দেশে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহরের কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি? মনে রাখা জরম্নরী যে শিশুরা শিশুই, তারা কখনোই বড়দের মতো শারীরিক সক্ষমতার অধিকারী নয়৷ তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার পরিবারে শিশু বান্ধব কিছু নিয়মনীতি আপনাকেই তৈরি করতে হবে৷ আপনি কি আপনার শিশুর মাথাটাকে একটি ওভেনের মধ্যে রাখতে চান? নিশ্চই না৷ কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে আপনার অজান্তেই আপনার শিশুর মাথাটি ওভেনে রেখে দেয়ার মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে ক্রমাগতভাবে নির্গত রেডিয়েশন দ্বারা৷ রেডিয়েশনের ভেতরে যে ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড (ইএমএফ) রয়েছে তা সহজেই শিশুর মস্তিষ্কে ঢুকে পড়তে সৰম৷ আর এই ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড বা সংৰেপে ইএমএফ শিশুর মসত্মিস্কে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়, যা কিনা শিশুদেরর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর৷ শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারনেই না, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক গেইম, বৈদ্যুতিক পাওয়ার লাইন এবং ওয়াই ফাই ব্যবহারও শিশুদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে৷ স্কুলে বৈদ্যুতিক দূষনের প্রভাব পড়ছে শ্রেনীকৰ শিশুটির পড়াশোনার উপরে৷ টরেন্টো স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ লার্নিং ডিসাবেলিটিস স্কুলে ইএমএফ হ্রাস করার জন্য ইএমএফ ফিল্টার স্থাপন করে, গোপনে এক গবেষনা করে দেখা গিয়েছে যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি উদ্যমী এবং সতেজ৷ এ প্রসঙ্গে গবেষক মাগদা হাবাস পিএইচডি জানান ” প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে আমি একটা ভুল করেছিলাম৷ আমি ধরে নিয়েছিলাম যে ইএমএফ ফিল্টার স্থাপনে এ অবস্থার উন্নতি হবে সর্বোচ্চ ৩-৫ ভাগ৷ কিন্তু পরবর্তীতে আমি ফলাফল দেখে চমকে উঠি যা ছিলো প্রায় ৫৫ ভাগ! এমনকি যারা এই ফিল্টার স্থাপনের পূর্বে এর বিরোধিতা করেছিলো তারাও পরে ভালো বোধ করছে বলে জানিয়েছে৷ সম্প্রতি সিকাগোর একটি শহরে এবং ইংল্যান্ডে অভিভাবক এবং সংশিস্নষ্ট অন্যরা এমনকি শিক্ষকেরা স্কুলে রেডিয়েশন ছড়ায় এমন যন্ত্র ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ তারা মনে করে এর ফলে তাদের শিৰার্থীদের নিওরোলোজিকাল সমস্যা হতে পারে৷ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে ঝুঁকির পরিমান কিছুটা কমিয়ে আনা যেতে পারেঃ মোবাইল/ কর্ডলেস ফোনের স্পিকার অন করে কথা বলা, শিশুদেরকেও এমনটি করতে উত্‍সাহিত করা৷ মোবাইলে কথা বলার চেয়ে টেঙ্ট/এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ বেশি করা৷ শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনেই আপনার শিশুকে মোবাইল ব্যবহার করতে দিন অবশ্যই এবং তার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে ৷ রাতে ঘুমাবার সময় মোবাইলের মনিটর আপনার ঘুমান্ত শিশুর কাছ থেকে অন্তত ৬ ফিট দূরত্বে রাখুন৷ আপনার রান্নাঘরে যদি মাইক্রো ওভেন থেকে থাকে তাহলে শিশুদের কে রান্নার সময়/ওভেন ব্যবহারের সময় দূরে রাখুন৷এমনকি ইস্ত্রি ব্যবহারের সময়ও শিশুদেরকে দূরে রাখুন৷ কারন ওভেন এবং ইস্ত্রি উভয় থেকেই ব্যবহারের সময় ইএমএফ নির্গত হতে থাকে যা কিনা বড়দের চেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অধিক ৰতিকর৷ গর্ভবতী মায়েদেরেকে অবশ্যই মোবাইল / কর্ডলেস ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে, তার গর্ভের শিশুটির সঠিক ভাবে বেড়ে ওাঠার প্রয়োজনেই৷ গবেষনা প্রমান করেছে যে মাত্রারিক্তি বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে আপনার গর্ভে থাকা সনত্মানটি বিকলঙ্গ হতে পারে এমনকি তার শ্রবন শক্তিও ব্যহত হতে পারে এবং শিশুর নার্ভ সিস্টেম গ্রোয়িংএ বাধা সৃস্টি করতে পারে সেই সাথে এটি মিস ক্যারেজ ও সনত্মান প্রসবের অসুবিধা হওয়ার মতো ভয়াবহ সব সম্ভাবনাকেও ডেকে আনতে সৰম৷ গবেষনায় এও প্রমানিত হয়েছে যে শিশুরা স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যনত্ম তাদের উপরে গর্ভাবস্থায়ী মায়ের মোবাইল/কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়৷ নিজেকে এবং শিশুকে অদৃশ্য তবে স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর ইএমএফ থেকে রৰা করতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারেঃ দিনের শুরুতেই এক কাপ বুস্ন বেরী খেতে পারেন, যা কিনা আপনার দিনকে চমত্‍কারভাবে শুরু করতে সহায়ক হবে৷ নিয়ম করে মাঝে মাঝে শুকনো বড়ই খেতে পারেন৷ শুকনো বড়ই এ ইউনিক এন্টি অঙ্ডি্যান্ট থাকে, যা কিনা বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশনের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে৷ প্রতিদিন ৪-৫ টি বাদাম খাওয়া যেতে পারে৷ খাবারে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান আলুবোখারা যোগ করা যেতে পারে৷ বাঁধা কপি এবং ফুল কপি খেতে পারেন৷ যা কিনা আপনার দেহকে রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহায্য করবে৷ নিয়মিত ২ চামচ মধু খেতে পারেন৷ সপ্তাহে ৩-৪ দিন নিয়ম করে প্রতিদিন একবার ঘোল খেতে পারেন৷ তহলে আজ থেকেই শুরম্ন হোক আপনার শিশুকে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে সুরৰার কাজটি৷ যার ফলে নিশ্চিত্‍ হবে তার সুস্বাস্থ্যবান আগামী৷

–(ইন্টারনেট অবলম্বনে) ইসতিয়াক আহমেদ শাওন

শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মানববন্ধন !

10707972_1467252936849563_7866396yyyyyyyy91_nসেলিমুর রহমান সেলিম: শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর মহিলা সংস্থা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের শরীয়তপুর- মাওয়া মহাসড়কে পালন করা হয় এই কর্মসূচী। এক ঘন্টাব্যাপীমানববন্ধনেজেলামহিলাসংস্থাও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ অংশ গ্রহণ করে। এ সময় জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাড. রওশন আরা ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জুবাইদা খাতুন বক্তব্য রাখেন। জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও শিশুদের ন্যায্য অধিকার সুরক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে মানববন্ধন ও গ্রামে গ্রামে উঠোন বৈঠক করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে কোন কন্যা শিশুকে আর বাল্য বিবাহের শিকার হতে না হয়।

সকালের নাস্তা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ !

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সকালে নাসত্মা খাওয়াটা প্রায় সব বয়সের লোকের জন্যই উপকারি বিশেষ করে শিশুদের জন্য৷ শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাসত্মা খেয়ে থাকে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের চেয়ে অধিক সফল৷ মিশরের এঙ্টেনশস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডা জনশন এর মতে পুষ্টিবান শিশুরা শেখার ৰেত্রে অধিক আগহী হয়ে থাকে, কাজের প্রতি আধিক মনোযোগী হয়ে থাকে , এবং শ্রেনী কৰে তাদের তাদের আচরণ থাকে অধিক ইতিবাচক এবং সেই সাথে তারা তাদের ফলাফল ভালো করার জন্য সবসময় উদ্যমি থাকে৷ এমনকি বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতির হারও থাকে তুলনামুলকভাবে বেশি৷ অধিকন্তু যারা সকালে নাসত্মা খায় না তাদের ভেতরে উদ্যমতায় ভাটা থাকে এবং পাকস্থলি সংক্রানত্ম বিভিন্ন রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে৷ শিৰকেরা জানিয়েছে যে যখন কোন শিশু না খেয়ে ক্লাসে আসে তখন তারা সেটা বুঝতে পারে শ্রেনীকৰে শিশুর মনোযোগের মাত্রা দেখে৷ এছাড়াও সকালের নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে সাহায্য করে৷ Dietary Guidelines for Americans Committee মতে শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাস্তা খায় না তাদের প্রয়োজনের চেয়ে কম অথবা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবার ঝুঁকি রয়েছে৷ বয়স্কদের জন্যও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়েছে৷ সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে যে সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের ওজনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই আমরা অনেকেই সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকি শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য৷ সাধারণত যারা সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকে, পরবর্তিতে তারা হাই ক্যালোরির অন্য খাবার খেয়ে থাকে এমনকি দুপুরেও তারা তুলনামূলক অধিক খাবার খেয়ে থাকে৷ যার ফলে ফলাফল সম্পূর্নই বিপরীত হয়ে থাকে৷ যে সকল শিশুরা শিখতেছে (ছাত্র) সকালে নাসত্মা খাওয়ার অভ্যাস তাদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ন এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ অভ্যাস৷ যার ফল তারা তাদের সমগ্র জীবনেই ভোগ করবে৷ গবেষনায় আরো প্রমানিত হয়েছে যে – যারা প্রায় ১ বছর মেইনটেনেন্স করে স্বাস্থ্যবান ওজনের অধিকারি হয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা খেয়েছে৷ সকালে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে অপরিসিম ভূমিকা রাখে৷ এমনকি সকালের নাসত্মা নিজেই তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিশুরা অধিক অত্নসচেতন এবং দায়িত্ববানও হয়ে ওঠে৷ ইন্টারনেট অবলম্বনে অনুবাদে –ইসতিয়াক আহমেদ শাওন

হুমকির মূখে শিক্ষাখাত !

12062014101717amEducation_for_sm20131008051452এইচএম মু’তাছিম সীমান্ত: বাজেট একটি দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। গত ৫ জুন ২০১৪ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। বাজেট নিয়ে বাজেট বিশেষজ্ঞদের নানা কথা থাকলেও শিশুদের জন্য রয়েছে আশা এবং হতাশা উভয় দিকই। শিশুদের উন্ন্যনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ-ই শিশু সেখানে ৫০ কোটি টাকা যথেষ্ট কিনা তাই এখন প্রশ্ন! ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাখাতে ।যার পরিমাণ ১১ হাজার ৯শ ৩০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১ শ ৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। টাকার দিকে তাকালে-ই মনে হবে গত বছরের তুলনায় এই বছর শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দ কমেছে।অবাক করা ব্যাপার হল গত ৫ বছর ধরে-ই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে কমছে। ২০০৯-২০১০অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১০-২০১১অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১১-২৯১২অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১২-২০১৩অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০১৩-২০১৪অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে গত ৫ বছরে সামগ্রিকভাবে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, আর গত ৫ বছরে সামগ্রিকভাবে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ কমেছে০.১৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে শিক্ষা খাতে একটি দেশের মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ৬ শতাংশ বা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। ওই পরিমাণ বরাদ্দ দিতে ২০০০ সালে সেনেগালের রাজধানীতে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হয় “ডাকার ঘোষণা” ।স্বাক্ষরিত বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও ছিল।কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে দিন দিন বরাদ্দ কমছে।অথচ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর অনেক দরিদ্র দেশ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশী বরাদ্দ দিচ্ছে। শিক্ষা খাতে বাজেট কমার ফলে বাংলাদেশের শিশুদের অনেক ক্ষতি হবে।দিন দিন শিশু শিক্ষার্থী বাড়ছে আর অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে দিন দিন বরাদ্দ কমছে।যার ফলে নতুন করে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা নতুন শিক্ষার্থী অনুপাতে বৃদ্ধি পাবেনা,জানুয়ারীর ১ তারিখ শিক্ষার্থী এখন যে নতুন বই পায় এই ধরনের একটি মহত উদ্বোগ পড়তে পারে হুমকির মুখে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিকে শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়বে। গ্রাম ও শহরের শিক্ষা ব্যাবস্থার যে বৈষম্য রয়েছে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। এক কথায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার গুনগত মান অনেক হ্রাস পাবে। শিক্ষা খাতের মান বৃদ্ধির জন্য সরকার যদি এখনি কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নেয় ও জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়ায়তাহলে অচিরেই হয়তো বাংলাদেশের শিক্ষা খাত চরম বিপর্যয় এর মুখে পড়বে।

শিশুদেরকে দেয়া কথা রেখেছেন স্পিকার !

12062014100856amftmt015মো: সোহানুর রহমান, ঝালকাঠি: বাংলাদেশ শিশু সংসদের অধিবেশন শেষে শিশুরা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরিন শারমীন চৌধুরীর কাছে অটোগ্রাফ চাইলে তিনি সবার বাড়ির ঠিকানায় পাঠাবেন বলে কথা দেন। তিনি বাংলাদেশ শিশু সংসদের ১৫৪ জন সদস্যকে অটোগ্রাফসহ শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়ে শিশুদেরকে দেয়া কথা রেখেছেন। ৭ মে শিশু সংসদ অধিবেশনের উদ্ধোধনী পর্বে তিনি সবাইকে পরের দিনে সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় ছবি তোলার আমন্ত্রণ জানান। ৮ মে বিকেলে ছবি তোলার এক পর্যায়ে এক সদস্য তার অটোগ্রাফ চাইলে তিনি অটোগ্রাফ দেন। এরপর সবাই তার কাছে অটোগ্রাফ চাইলে তিনি সময়ের অভাবে দিতে পারেননি। তবে সবাইকে তার স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা পত্র পাঠাবেন বলে কথা দেন এবং সংসদ সচিবালয়কে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন| স্পিকারের সহকারী সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস সাদরুল আহমেদ খান বলেন,” স্পিকার ভারত সফরের আগেই শুভেচ্ছা পত্রে স্বাক্ষর করেন। যা এ সপ্তাহের মধ্যে ১৫৪ জন শিশু সংসদ সদস্যের কাছে মেইল ও ডাকযোগে পৌঁছে যাবে|” স্পিকার শিশু সংসদে অংশ নেয়া শিশুদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে শিশু সংসদ থেকে পাওয়া শিক্ষা জীবনে কাজে লাগাতে বলেন।

শিশু বাজেট বাস্তবায়নের দাবি এনসিটিএফের শিশুদের !

NCTFমুসাব্বির হোসেন : ২০১৪-১৫ প্রস্তাবিত বাজেটে শিশুদের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা তার বাস্তবায়ন চেয়েছে জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স-এনসিটিএফের শিশুরা। রোববার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০১৪-১৫ পরবর্তী শিশুদের ভাবনা বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজনে ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্সের এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিএফের সদস্যরা শিশু বাজেট বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তারা বলেন সর্বজনীন বাজেট ঘোষণার জন্য বাজেট প্রণয়নের পূর্বে শিশুদের মতামত নেওয়ার কথা । এনসিটিএফ’র সদস্যরা বলেন, শিশু বাজেট আলাদা কোনো বাজেট নয়, শিশুদের কল্যাণে সরকার বছরে কত টাকা ব্যায় করছে তা পরিমাপ করার মাপকাঠি। সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কার্যনির্বাহি কমিটির সভাপতি ফাতেমা সিদ্দিকা রিমা তার লিখিত বক্তব্যে শিশুদের অগ্রাধীকার হিসেবে বিবেচনা করে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়ন করায় দেশের সকল শিশুদের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবছরে বাজেটে সরকারি ব্যয়ে এখন পর্যন্ত ৩২ টি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে আর তিনটির নির্মাণ কাজ চলছে। বড় ছয়টি শহরে আরো ছয়টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। অনগ্রসর শিশুদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়েছে। চারটি গার্মেন্ট অধ্যুষিত এলাকায় ১০টি ডে- কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেখা যায় সরকার অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছেন আবার অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। যে ক্ষেত্রে সরকার শিশুদের জন্য বরাদ্দ কমিয়েছেন সে ক্ষেত্রগুলো সরকার পুনরায় বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়। শিক্ষা খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট থাকলেও বিদ্যালয়গুলোতে বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও শিশু অপরাধীদের ভিন্ন সেলে রাখারও তারা দাবি জানান। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রক্রিয়ায় শিশুদের গুরুত্ব দিয়ে দৃশ্যমান করা ও শিশু বাজেটে কোডিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় । সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য নিজাম উদ্দিন, চাইল্ড পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার এএসএম শাহরিয়ার সিফাত, চাইল্ড পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার সাব্বির আহমেদ হিমু, এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম রুমন, এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির নিউজলেটার প্রকাশনা, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি মুসাব্বির হোসেন, এনসিটিএফ সদস্য ডলি আক্তার সহ অন্যান্য এনসিট্এফ সদস্য বৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, প্লান ইন্টারন্যাশনালের অ্যাডভাইজার (চাইল্ড রাইটস) সৈয়দ মাতলুবার রশীদ, সেভ দ্য চিলড্রেন সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডভোকেসি) মীর রেজাউল করিম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র ম্যানেজার অপারেশন ফারুক আহমেদ সহ আরো অনেকে।

সামাজিক উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের প্লাটফর্ম এমএসএসসি !!

MMCইসতিয়াক আহমেদ শাওন: বিল্ড সোস্যাল রিলেশনশিপ, স্টে এ্যালাইভ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে স্থানীয়ভাবে যাত্রা শুরু করে মাদারীপুরে মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব (এমএসএসসি) । সামাজিক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে গত বছর রমজানের ঈদের আগে “প্রজেক্ট নতুন জামা” কর্মসূচির মাধ্যমে এমএস্েসসি পথচলা শুরু করে। কোরবানির ঈদের আগে মাদারীপুর স্বাধীনতা অঙ্গনে ২য় বারের মতো আয়োজন করা হয় প্রজেক্ট নতুন জামা। খানেকটা বিরতি নিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ক্লাবের পক্ষ থেকে মাদারীপুরে শীতার্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় শীতবস্ত্র। যে উদ্যোগের নাম ছিলো “প্রজেক্ট উষ্ণতা”। বলছি প্রজেক্ট নতুন জামার গল্পও। স্থানীয় দরিদ্র, পথ শিশু যারা ঈদ উপলক্ষে সুবিধাভোগী শিশুদের মতো নতুন জামা কিনতে পারে না তাদেরকে ঈদের আগে নতুন জামা কিনে দেয়ার উদ্যোগের নামই প্রজেক্ট নতুন জামা। প্রজেক্ট নতুন জামা উদ্যোগের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩২ এবং ৫০ জন শিশুর মাঝে নতুন জামা বিতরণ করা হয়। ক্লাবের আরেকটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোাগ “প্রজেক্ট স্কুলিং”। এ বছরের শুরুতে গত ০৬ জানুয়ারি মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন দরিদ্র তবে মেধাবী স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয় নতুন স্কুল ব্যাগ। এ প্রসঙ্গে ক্লাবের একজন উদ্যোক্তা এবং প্রজেক্ট স্কুলিং এর সম্বনয়ক জানান বছরের শুরুতে সরকারের বই উৎসবের সাথে মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হল ব্যাগ উৎসব। বছরের শুরুতে নতুন বইয়ের সাথে নতুন স্কুল ব্যাগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা তথা স্কুলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিপাবে বলে ধারনা করছেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তারা প্রায় সবাই পেশাগত অথবা উচ্চশিক্ষা’র জন্য মাদারীপুরের বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। তবে তারা সবাই মাদারীপুরের সন্তান এবং বিভিন্ন উৎসবে বা বিশেষ কোন ছুটিতে মাদারীপুরে একত্রিত হন। ক্লাবের আহবায়ক জানান সামাজিক উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের প্লাটফর্ম মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব। আগামীতে ক্লাবের পক্ষ্য থেকে মাদকের বিরুদ্ধে গনসচেতনতা তৈরির লক্ষে “নিরবতার মুক্তি” নামে একটি উদ্যোগ গ্রহনের কথা ভাবছেন তারা। পাশাপাশি ক্ষুদে এবং তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তাদের নিয়ে “প্রজেক্ট ফরওয়ার্ড” নামে নিয়ে আরেকটি প্রতিযোগিতা মূলক ইভেন্ট’র আয়োজন করতে যাচ্ছে এমএসএসসি। আগামী ১৫ জুন থেকে এমএসএসসি এর আয়োজনে ৪ দিন ব্যাপি এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে মাদারীপুওে হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরিতে। উক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে সংগ্রীহিত অর্থ যাবে প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচিতে। উদ্যোগ হোক ছোট কিম্বা বড় – সেটি উদ্যোগ। আর সে উদ্যোগের মাধ্যমে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয়, সমাজের ক্ষুদ্র অংশটিও উপকৃত হয়, পরিবর্তীত হয় তবে সে উদ্যোগকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই বলে বিশ্বাস করেন তরুণ এই সামাজিক উদ্যোক্তারা। সবকিছুর পরে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধকে ফাঁকি না দেয়ার প্রত্যয়ে, তারুণ্যের সজীবতার প্রলেপ সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে লেপে দেয়ার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছেন এই প্লাটফর্মে। প্রতি বছরই প্রজেক্ট নতুন জামা, প্রজেক্ট উষ্ণতা এবং প্রজেক্ট স্কুলিং অব্যাহত থাকবে এবং প্রজেক্ট ফরওয়াড উদ্যোগটি মাধমে স্থানীয় পর্যায়ে সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের মাসিক চাঁদা এবং প্রজেক্ট’র পূর্বে সংগ্রীহিত অনুদানের মাধ্যমে চলছে এমএসএসসি এর সকল কর্মকান্ড।