শুরু হল ১৮ তম চাইল্ড পার্লামেন্ট ২০১৯ এর প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা

গত ১৫.০৬.২০১৯ তারিখ শনিবার গাজিপুরের রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্টে শুরু হয়েছে শিশুদের ১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রস্তুতিমুলক কর্মশালা। ‘কাউকে পিছনে না ফেলে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে দেশের ১৬টি বিশেষ অঞ্চলের সর্বমোট ৩০জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ০৩ দিন ব্যাপি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৯ শে জুন ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এবারের চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান ১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি ঙ্গাপন করেছেন।
চাইল্ড পার্লামেন্ট একটি শিশুদের প্লাটফর্ম হিসেবে শিশুদের অধিকার ও চাহিদাগুলি পর্যায়ক্রমিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মহলে তুলে ধরে। এ পর্যন্ত চাইল্ড পার্লামেন্টের মোট ১৭টি অধিবেশন সাফল্যজনক ভাবে সমাপ্ত করেছে। ইতিপূর্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, সুরক্ষা, জাতীয় বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ, শিশু হত্যা বন্ধ করা প্রভৃতি বিষয়ে চাইল্ড পার্লামেন্ট অনুষ্টিত হয়। শিশুরা আলোচনা ও পর্যালোচনা করে তাদের পক্ষ থেকে সুপারিশমালা সরকারের সংশিষ্ট মহলে প্রদান করে এবং সুপারিশমালার উপর ভিত্তি করে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজনে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা করে।
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) তে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সেখানে দারিদ্র্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং প্রান্তিক জনগণকে সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। আবার ২০৩০ এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূলমন্ত্র-‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে একসাথে নিয়ে’ অর্জন করতে হলে বিশেষকরে হবে উপর নজর দিতে হবে। তাই চাইল্ড পার্লামেন্ট ১৫টি সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুরা তাদের জরিপ ও এফজিডির মাধ্যমে সংগৃহিত তথ্যসমূহ  এবং এ সকল তথ্যের উপাত্তের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিদের নিকট তুলে ধরবে।
১৮তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে বাংলাদেশের ১৬ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করবে। এই অধিবেশনে তারা সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে। সেখানে ১৬ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশুরা নিজেদের বর্তমান অবস্থার কথা বলবে। মূলশ্রোতধারার সাথে সুবধিাবঞ্চতি শিশুরা সেসব ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয় এবং বৈষম্য দূর করার জন্য তাদের সুপারিশসমূহ তুলে ধরবে।