গাইবান্ধা জেলা এনসিটিএফ এর হাসপাতাল পরিদর্শন

গাইবান্ধায় চলতি শীত মৌসুমে বেড়ে চলেছে নিউমোনিয়া ও শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে, অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে।
গত বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা।

পরিদর্শনের সময় শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩৫ টি বেডের বিপরীতে ৪১ জন শিশু রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই শীতজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বেশ কিছু রোগী বেড না পাওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
এসময় রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান যে, বেশিরভাগই শীত জনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়া দায়িত্বরত ডাক্তাররা রোগী দেখতে কম সময় দেয় বলে অভিযোগ দেন স্বজনেরা। পরিদর্শনের সময় ওয়ার্ডের মেঝেতে শুকনো ময়লা দেখতে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নবাগত তত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডাঃ মাহফুজার রহমান এর সাথে সাক্ষাত ও অভিযোগের ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি। শীতে রোগীর চাপ বাড়ছে, বেড সংকট কাটাতে আপাতত ফ্লোরে ফোমের বিছানা দেয়া হচ্ছে।

পরে নবাগত হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করা হয়। তিনি শিশুদের এরকম উদ্যোগে উৎসাহ প্রদান করেন।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরা ফেরদৌস, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার মেহেদী হাসান, শিশু সাংবাদিক সানজিনা আক্তার ছনিয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য তৃষা প্রামাণিক, কাজী আফসানা মিম ও জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী আক্তার।