জামালপুর এনসিটিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১৯ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে জামালপুর জেলা এনসিটিএফ এর মাসিক সভা জেলা শিশু একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। এই মাসিক সভায় স্মারকলিপি প্রদান, স্কুল কমিটি গঠন, সদস্য কো-অপ্ট, পত্রিকা প্রকাশ ও সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আলোচনা হয়। উক্ত সভায় কমিটির সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সপ্না সুলতানা, কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সুলতান ফাইজুল আহমেদ অরুপ, এনসিটিএফ জেলা কমিটির ভলান্টিয়ার নাফিস।
আলোচনা শেষে সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসিক সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

এনসিটিএফ গাইবান্ধা এর হাসপাতাল পরিদর্শন

এনসিটিএফ ডেস্কঃ শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিংকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়মিত হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং ও পরিদর্শনের পর দাবির প্রেক্ষিতে শিশু ওয়ার্ডের টয়লেট সংস্কার ও বহিঃ বিভাগে শিশু রোগীর অপেক্ষার স্থানে ফ্যান লাগিয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও হচ্ছে নিয়মিত।
গত ৩০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডের ২৬ টি বেডের বিপরীতে ১৩ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। যাদের অধিকাংশই শিশুই ছিলো জ্বরে আক্রান্ত।
পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনেরা জানান হাসপাতালের পরিবেশ ও কর্মচারীদের ব্যবহার আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। তারা পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের  তত্বাবধায়ক ডা. অমল চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা হাসপাতালের অবস্থা উন্নয়নে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় পূর্বের অবস্থা হতে কিছুটা উন্নতি করেছি। নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে, এতে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত হাসপাতাল মনিটরিং এর জন্য তিনি এনসিটিএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান, সদস্য বিদ্রোহ সরকার ও জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী রহমান।
উল্লেখ্য যে, গত জুলাই মাসে এনসিটিএফ এর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনরা জানান,  শিশু ওয়ার্ডের টয়লেটের সামনে পানি জমে থাকে যার কারনে ঠিকভাবে টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না। পরে বহিঃ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীদের অপেক্ষার স্থানে কোন ফ্যান না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্বজনেরা।

এনসিটিএফ মৌলভীবাজার কর্তৃক কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন

এনসিটিএফ মৌলভীবাজার জেলার বার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮তারিখে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের অন্তর্গত রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, লাইব্রেরিয়ান মোঃ ফরিদ আহমেদ, জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ কামরুল ইসলাম, জেলা সভাপতি দ্বীপ্র ধর অর্ঘ্য, সহ-সভাপতি নুসাইবা ইবনাত রূপন্তী, সিপিএম ইমাম মোহাম্মদ বুখারী, অপি আক্তার, ফাহিম আহমেদ। মৌলভীবাজার জেলায় ৭২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক পল্লী গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রভাইডার কুলসুমা ফেরদৌস জানান এখানে প্রতিমাসে গড়ে ২৭৭ জন মা, শিশু ও সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে এবং প্রত্যেকের জন্য আলাদা রেজিষ্ট্রার রাখা হয়। চিকিৎসা সেবা প্রদানে রোগীদের ৩২ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তবে এই ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের কোন ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় গর্ভবতী মায়েরা এই ক্লিনিকে প্রসব ও প্রসবত্তোর সেবা চালু করার দাবী জানান। রোগীদের সেবা প্রদানে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ৬ জন স্টাফ নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে সিএইচসিপিএম একজন, এফডব্লিওএ একজন, হেলথ এসিস্টেন দুই জন, সুপারভাইজার একজন, ও একজন আয়া। মুমূর্ষু রোগীদেরকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মার্তৃমংগল অথবা সদর হাসপাতেলে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক পরিক্ষা নিরিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করার কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এখানে একমাত্র যে চাপ কলটি রয়েছে সেটিতে আর্সেনিক রয়েছে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু রোগীদের পরিবহনের জন্যে সরকারের কাছে একটি ভ্যানগাড়ি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দেয়ার জোর দাবী জানান। 
উল্লেখ্য বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক গরিব অসহায় ও অজপাড়া গাঁয়ের হতদরিদ্র মানুষকে সেবা প্রদান করে আসছে।

শরিয়তপুর এনসিটিএফ এর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন

২৯ আগস্ট ২০১৮ ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), শরীয়তপুর জেলা কমিটির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম, শরীয়তপুরের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়” পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে  এনসিটিএফ সদস্যরা বিদ্যালয়ের প্রতিটা কক্ষ পরিদর্শন করে এবং শিশুদের নিয়ে একটি  শিশু অধিকার সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা করে। আলোচনা সভা শেষে শিশুদের সাথে কথা বলার মধ্যে উঠে আসে বিদ্যালয়ের  অনেক গুলো ভালো দিক এরমধ্যে অন্নতম হচ্ছে এই বিদ্যালয় এর বিজ্ঞান শাখার সকল ক্লাস গুলো প্রজেক্টর এর মাধ্যমে নেওয়া হয়  এবং সপ্তাহে এক দিন করে সকল ক্লাস এর ছাত্র দের প্রজেক্টর এ ক্লাস নেওয়া হয়, এতে শিশুদের বুঝতে এবং শিক্ষকদের বুঝাতে ভালো হয় এবং আরো যে ভালো দিক গুলো উঠে আসে তা হলো:

১। ওখানে স্বাস্থ্য-সম্মত পানির ব্যাবস্থা আছে।
২। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
৩। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নেই।
৪। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৫। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুবই ভালো সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৬। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ খুব ভালো এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ এনসিটিএফ এর সদস্য রা ঘুরে দেখে। পরিদর্শন শেষে এনসিটিএফ শরীয়তপুর এর বিশেষ টিম অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে। তার সাথে কথা বলে যানা যায় স্কুল এ পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, শিক্ষক সংকট রয়েছে যদি পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকতো তবে আরো ভালো হতো।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি ও সেন্টাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সহ সকল সদস্য।

ঠাকুরগাঁও এনসিটিএফ এর দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

গত ২৯ এবং ৩০ আগষ্ট এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও জেলার আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা, শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং রিপোটিং বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা শিশু একাডেমী কর্যালয়ে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী কমিটির এগারোজন শিশু অংশগ্রহণ করে। দুইদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শিশু অধিকার, শিশু সাংবাদিকতা, সংবাদ লেখার নিয়ম, মূখপত্র প্রকাশে করনীয়, শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং রিপোটিং বিষয়ে উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিআরপি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত। এ সময় কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও জেলা ভলান্টিয়ার এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা এনসিটিএফ এর শিশু পরিবার পরিদর্শন

অদ্য  ০১-০৯-১৮ তারিখ এনসিটিএফ এর নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে  খুলনা  জেলার একটি শিশু পরিবার পরিদর্শন করে এনসিটিএফ খুলনা। সেখানে প্রায় ২৫ জন কর্মজীবী শিশু ছিল। শিশুরা সেখানে তাদের কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলে সেখানে তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, ছড়া, নাচ এবং ছবি আকা ও শিখছে। তারা আরো বলে তাদের মধ্যে প্রায় শিশুরা বিস্কুট এবং সেমাই কারখানা তে কাজ করে। তবে তারা সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পায়। তাদের মালিকগণ ও বেশ ভালো  ব্যবহার করে। তারা প্রায় ৬-৭ ঘন্টা কাজ করে এবং তারপর স্কুল করে। সবশেষে এনসিটিএফ সহ সভাপতি তাদের চকলেট প্রদান করে।