গাইবান্ধায় এনসিটিএফ সদস্যদের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির পক্ষ হতে জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে এ পরিদর্শন কার্যক্রম চালানো হয়।

পরিদর্শন কালে শিশু ওয়ার্ডের ১২ টি বেডের মধ্যে ৪ জন শিশু রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। এছাড়া নবজাতক ওয়ার্ডের ১০ বেডের মধ্যে ৮ টিতে ডেলিভারী জনিত কারণে মা ও শিশু রোগী ভর্তি পাওয়া যায়।

পরিদর্শনের সময় শিশু ওয়ার্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়। ভর্তি শিশু রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় সব ঔষধ বাহিরে থেকে কিনতে হয়।

এ ব্যাপারে কর্তব্যরত নার্সদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেসব ঔষধ হাসপাতাল থেকে সাপ্লাই আছে সেগুলো ঠিকমত সরবরাহ করা হচ্ছে। আর বাকি ঔষধ বাহিরে থেকে কিনতে হয়। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে কম রোগীর ব্যপারে জানতে চাইলে নার্সরা জানান, গাইবান্ধায় শীতের প্রকোপ খুব কম তাই ঠান্ডা জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীও কম। যারা ভর্তি আছেন তারা স্বাভাবিক কিছু সমস্যায় ভুগছেন। ডাক্তাররা নিয়মিত পরিদর্শনও করছেন।

শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল সৌরভ, প্যানেল শিশু সাংবাদিক হুমায়ুন ইসলাম, জেলা ভলান্টিয়ার তাওহীদ তুষার।

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর হাসপাতাল মনিটরিং

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা নভেম্বর মাসের আলোচ্য সূচী অনুযায়ী কুষ্টিয়া সরকারী সদর হাসপাতাল মনিটরিং এ আসেন ১১ই নভেম্বর ২০১৬ইং। মনিটরিং করার সময় দেখা যায় অসুস্থ্য  শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ওয়ার্ডে  পরিদর্শনকৃত ডাক্তার বলেন সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এসময় শিশুদের জ্বর ঠান্ডা লাগে। এছাড়া শিশুর অভিভাবকরা বলেন হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আরো ভালো হওয়া দরকার। হাসপাতালের বাথরুমগুলো ব্যবহার করার মতো নাই। এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বললে, বলেন লোকবল কম থাকার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতাল মনিটরিং এ উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি আজমাইন মাহমুদ শুভ্র, সাধারণ সম্পাদক যুথিকা রানী দাস, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার হৃদয় আহমেদ সুজন, শিশু সাংবাদিক নিয়ামত আলী,  শিশু গবেষক শাহারিয়ার রহমান ও জেরিন তাবাস্সুম এশা কার্যনির্বাহী সদস্য তানজির রহমান এবং জেলা ভলান্টিয়ার মো: শাকিল ইসলাম।

জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাৎ করল কুড়িগ্রাম এনসিটিএফ

পহেলা ডিসেম্বর ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) জেলা কার্য-নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মেহেদুল করিমের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে এনসিটিএফ এর সকল কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এসময় পুলিশ সুপার এনসিটিএফ এর কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী,সহ-সভাপতি সংগ্রামী প্রীতি বাঁধন, সাধারন সম্পাদক আতিয়া সানজিদা স্মৃতি,চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাদিক হোসেন রাহাদ, স্কুল কমিটির সদস্য সালামুন, লুবনা আফসারী, জেলা ভলান্টিয়ার মোফছেনা সুলতানা, ফারজানা ইয়াসমিন মৌসুমি প্রমুখ।

কুড়িগ্রামে শিশু নির্যাতন রোধ ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে এনসিটিএফ এর স্মারকলিপি প্রদান

১লা ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায়  ন্যাশনাল চিলড্রেন’স ট্রাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুড়িগ্রাম জেলা কার্য-নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে শিশু নির্যাতন রোধ ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আবদুল লতিফ খান স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী,সহ-সভাপতি সংগ্রামী প্রীতি বাঁধন, সাধারন সম্পাদক আতিয়া সানজিদা স্মৃতি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাদিক হোসেন রাহাদ, স্কুল কমিটির সদস্য সালামুন, জেলা ভলান্টিয়ার মোফছেনা সুলতানা, ফারজানা ইয়াসমিন মৌসুমি প্রমুখ।

ভোলায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (মাঝের চর) উপকূলের শিশুরা

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন মদনপুরে দারিদ্রতার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।জরিয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ন কাজে। যে বয়সে শিশুদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা সেই বয়সে স্কুল গামী শিশুরা যাচ্ছে নদীতে মাছ ধরতে, মাঠে মাঠে গরু-ছাগল চড়াতে কেই বা সহযেগীতা করছে বাবা মায়ের কাজে এরা বাবা, ভাই অথবা অন্য কারো সাথে নৌকায় করে মাছ ধরতে যায়। ১-২ দিন পর ১০০-২০০ টাকা পায়। ফলে পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটন কিছুটা কমিয়ে এনেছে এ সকল শিশুরা।

দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন যাকে লোকে মাঝের চর নামে চিনে। ঐ চরে ৬-৭ হাজার লোকের বসতী । স্কুলগামী শিশুদের সংখ্যা প্রায় ১০০০-১২০০ শতাধিক। বসতীদের জীবিকা উপার্জনের প্রধান মাধ্যম মৎস্য শিকার ও চাষাবাদ করা। বর্ষার মৌসুমে তাদের চলাচলের এক মাত্র বহন নৌকা। পরিবারের অভাবে-অনটনের কারনে উপার্জনের তাগিদে তাদের জীবন জরিয়ে যাচ্ছে ঝুকিপূর্ন কাজে। ফলে ঐ চরে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। যদি ও ঐ চর টি তে ৮টি প্রাইমারী স্কুল ও ১টি নিম্ম মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু সে সকল স্কুলের কোনটিতে আবার শিক্ষক সংকট আবার কোনটিতে শিক্ষকদের অবহেলা এমত অবস্থায় চরের শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে পড়াশোনা থেকে।

একই এলাকার কামাল মাঝি বলেন আমাগো অভাবের সংসার আমি কী ভাবে আমার পোলাপাইনেরে পড়ামু। তাছলিমা বেগম বলেন আমার পেলাডারে স্কুলে দিছিলাম কিন্তু কয় দিন পরই পোলার বাপে পোলারে নৌকায় লইয়া যায়। ইব্রাহীমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান এই চরের প্রায় সব শিশুরাই কোন না কোন কাজ জড়িয়ে পড়েছে অভাবের তাড়নায়।