শিশুর জন্য ইউটিউব নয়।

মুসাব্বির হোসেন : কার্টুন বা মজার মজার ভিডিও দেখার জন্য অনেক বাবা – মা শিশুদের ইউটিউ বব্যবহারের সুযোগ দেন । তবে বাবা-মা’ র নির্দেশনা অনুযায়ী ভিডিও দেখতে গিয়ে শিশুদের সামনে চলে আসছে নানা রকম অশ্লীল ভিডিও। অনেকে অশ্লীল ভিডিও গুলো বন্ধ করার চেষ্টা করলেও সুফল পাননি । কারণ এখন পর্যন্ত এরকম কোন প্রযুক্তি বের হয়নি । সূত্র বলছে, ইউটিউব একটি উন্মুক্ত ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েব সাইট । এখানে যে কেউ যে কোন ধরণের ভিডিও আপলোড , ডাউনলোড, দেখা সহ নানা রকম কাজ করতে পারেন।এই সুযোগে একশ্রেণীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অশ্লীলনানা রকম ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন।যা অনেক সময়ই উ ইউটিউব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি র বাইরে থেকেই ইন্টারনেট বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার উচিত শিশু কে ইউটিউব থেকে দূরে রাখুন । প্রয়োজনে আপনার কম্পিউটারে ইউটিউব ওয়েবসাইট ব্লক করুন।তবে একান্তই যদি আপনার শিশু কে ব্যবহার করতে দিতে হয় তবে তার পাশে বসে ইউটিউব ব্যবহারে নির্দেশনা দিন।

পাখি ও মানুষ !!

খুব ছোটবেলায় আমি বাবার হাত ধরে রমনা পার্কে ঘুরে বেড়াতাম৷ সবুজ গাছ, চমৎকার লেক, নরম ঘাস আর পাখিদের ওড়াউড়ি আমার খুব ভালো লাগত৷ বাবা হাঁটতেন আর গল্প বলতেন৷ অনেক মজার গল্প৷ রবীন্দ্রনাথের গল্প, বঙ্গবন্ধুর গল্প, বাংলাদেশের গল্প শোনাতেন৷ আমি তন্ময় হয়ে সেসব গল্প শুনতাম আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতাম, বড় হয়ে আমিও দেশের সেবা করব৷ দেশের জন্য কাজ করব৷ বাবার হাত ধরে একদিন হাঁটতে হাঁটতে নাগালিঙ্গম গাছের কাছে এসে দাঁড়ালাম৷ বাবা গাছটার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন৷ আমি তাকিয়ে দেখি, গাছের ওপরে অনেক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে আর ডাকছে৷ বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বাবা, পাখিদের কথা তুমি বুঝতে পারো?’ বাবা বললেন, ‘না৷’ ‘কারা বোঝে পাখিদের কথা?’ ‘পাখিরা আর গাছেরা৷’ ‘তুমি একটুও বোঝো না?’ ‘খানিকটা বুঝি৷’ ‘কী বোঝো?’ ‘পাখিরা বলে, ভালোবাসো৷ ভালো থেকো৷ বাবার হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললাম, ‘পাখিরা তো ভালো কথাই বলে৷’ বাবা বললেন, ‘হুম্৷’ আমি বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বাবা, তোমার কী হতে ইচ্ছে করে?’ বাবা হাসলেন৷ ‘মানুষ!’ আমি জবাব দিলাম ‘দূর বোকা! তুমি তো মানুষই৷ মানুষ হতে ইচ্ছা করবে কেন?’ ‘তোমার কী হতে ইচ্ছে করে?’ বাবার প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলাম, ‘পাখি৷’ গাছের ডালে ডালে তখন পাখিরা উড়ে যাচ্ছে৷ নানা রঙের পাখি৷ আমি শক্ত করে বাবার হাত ধরি৷ বাগানের সরু পথ বেয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই ৷

নিখোঁজ শিশুদের পেতে নতুন প্রযুক্তি ।।

হারানো শিশুদের খুঁজে বের করার কাজে সহায়তা করবে এমন ‘মুখাবয়ব শনাক্তকারী’ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক৷ নিখোঁজ শিশু ও তাদের অভিভাবকদের ছবি অতি দ্রুততার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে প্রযুক্তিটি৷ এটি ব্যবহারের সুফল পাবে অভিভাবকদের পাশাপাশি পুলিশও৷ ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার গবেষক দল অনলাইনে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ছবি ও তাঁদের শিশুসন্তানদের ছবি বিশ্লেষণ করে ওই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির অপরাধ বিচার বিভাগের শিক্ষক রস উলফ আশা করেন, বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া শিশুকে শনাক্ত করার কাজেও প্রযুক্তিটি কাজে আসবে৷ পিটিআই ৷

কৈশোর বয়স ও এ সময়ের লক্ষণীয় দিক ।

মুসাব্বির হোসেন : World Health Organization (WHO) এর মতে ১০ থেকে ১৯ পর্যন্ত বয়সকে টিনএজ বা কৈশোর বলে। এই বয়সটা নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকে যেন সন্তানের টিনএজ বা কৈশোর সময়টা ভালভাবে পার করা যায়। আসলে এ সময়টা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। কিছু বিষয় আয়ত্তে রাখলে এসব সমস্যা থেকে দূর রাখা যায়। এ সময় সন্তানের বিভিন্ন শারিরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ১.হঠাৎ করে শরীরের গঠনগত পরিবর্তন। ২.হরমোনের কারণের পরিবর্তন ৩.আবেগের ও চাওয়া-পাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি। এসময় সন্তান নিজের মত করে পৃথিবিকে দেখতে চায়,ব্যাখ্যা করতে চায়,ভাবতে চায়,নিজেকে মনে করে অথরিটি ফিগার। আবার অন্যের সমালোচনা গ্রহণ করতে চায় না,অন্যের ভুল ধরতে চায়,তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেয়। আবার তাদের ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মত উদ্ভব হয় যাকে আমরা Inner turmoil বলি।এ বয়সে নিজেকে উপস্তাপন করা,প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া,আজানাকে জানাকে আগ্রহ কৌতূহল বেশি তাকে। এ বয়সে আরো অনেক সমস্যা হয়ে থাকে: *কৌতুহলের কারণে নেশায় আসক্ত হতে পারে। *কি করছে কি পরিণতি হতে পারে এসব নিয়ে হিতাহিত জ্ঞান না থাকা। *অনেক ছেলে মেয়ে প্রেমে পরে যায় *হঠাৎ আচার ব্যাবহার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় *নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে না *মোবাইলে রাত জেগে কথা বলা,ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যাবহার অনেক গুণ বেড়ে যায়।

শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা !

সম্প্রতি সু্ইডেনের একটি গবেষনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে যে, তরুণেরা যারা মোবাইলফোন ব্যবহার করে এবং যাদের বয়স ২০ বছরের কম, অন্যদের তুলনায় তাদের প্রায় ৫ গুন বেশি সম্ভাবনা থাকে ব্রেন ক্যানসারের৷ অন্যআরেকটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে একটি দুই মিনিট স্থায়ী মোবাইল কল শিশুদের মসত্মিস্কে হাইপার এ্যাকটিভিটি সৃষ্টি করে যা কিনা পরবর্তি এক ঘন্টা পর্যনত্ম তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে৷ ইউরোপিয়ান জার্নাল অব অনকোলজির এক রিপোর্টে কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কর্ডলেস ফোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশন ছড়ায় যার ফলে ব্যবহারকারীর হার্ট এ্যাটাক্ট এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুন , ব্যবহারকারীর স্নায়ূ দূর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লানত্ম এবং নিসত্মেজ হয়ে পড়ে এমনকি নিয়মিত ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়৷ শিশুদের জন্য যে কারনে ঝুঁকিপূর্ণ: ৰতিকর রেডিয়েশন প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর, শিশুদের জন্য তা আরো বেশি মারাত্নক ৰতিকর যা কিনা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ব্যহত করে৷সারা পৃথিবীতেই এখন শিশুরা প্রায় বেশিরভাগ সময়েই মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে থাকে৷ এ প্রসঙ্গে সানি’স স্কুল অব পাবলিক হেলথ্ এর ডিন ডেভিড কার্পেন্টার বলেছেন যে ” শিঘ্রই আমরা হয়তো একটি মহামারী রোগের শিকার হতে পারি এবং সেটি হবে মসত্মিস্ক ক্যানসার৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতাও হ্রাস করে দেয়৷ রেডিয়েশন গবেষক কেরি ক্রফটন বলেছেন যে ” তবে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এখন ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিরম্নত্‍সাহিত করা হচ্ছে, যা কিনা অন্যদের জন্য একটি ভালো নিদর্শন”৷ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়ঃ ডাক্তার কার্পেন্টার বিশ্বাস করেন যে শিশুদের প্রায় ৩০ ভাগ ক্যানসারই হয়ে থাকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর এই রেডিয়েশনের কারনে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় তার প্রমানও মিলেছে৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে শিশুরা যারা ম্যাগনেটিক (চুম্বক) ফিল্ডস এর কাছাকাছি অবস্থান করে ক্রমেই তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং যারা পাওয়ার লাইনের ( যা কিনা ইএমএফ উত্‍পন্ন করে) কাছাকাছি অবস্থান করে, এটা খুবই পরিষ্কার যে তারা লিওকেমিয়ায় (একটি রোগ) আক্রান্ত হয়ে পড়ে৷ এমনকি যারা মোবাইল অথবা রেডিও টাওয়ারের ১২০০ ফিট এর মধ্যে বসবাস করে তাদের মসত্মিস্কে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অধিক৷ আর বেশিরভাগ ৰেত্রেই টাওয়ারগুলো গড়ে উঠছে স্কুলের ছাদে, বাড়ির ছাদে এবং শপিংমলের উপরে৷ যেসকল স্থান গুলোতে হরহামেশাই আমরা যাতায়াত করে থাকি৷ অভিভাবকদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরীঃ বর্তমানে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরির অন্যতম কারন হচ্ছে তারা জরম্নরী প্রয়োজনে সহজেই সনত্মানদের খোঁজ নিতে পারে৷ প্রকৃতপক্ষে একটি আদর্শ দেশে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহরের কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি? মনে রাখা জরম্নরী যে শিশুরা শিশুই, তারা কখনোই বড়দের মতো শারীরিক সক্ষমতার অধিকারী নয়৷ তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার পরিবারে শিশু বান্ধব কিছু নিয়মনীতি আপনাকেই তৈরি করতে হবে৷ আপনি কি আপনার শিশুর মাথাটাকে একটি ওভেনের মধ্যে রাখতে চান? নিশ্চই না৷ কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে আপনার অজান্তেই আপনার শিশুর মাথাটি ওভেনে রেখে দেয়ার মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে ক্রমাগতভাবে নির্গত রেডিয়েশন দ্বারা৷ রেডিয়েশনের ভেতরে যে ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড (ইএমএফ) রয়েছে তা সহজেই শিশুর মস্তিষ্কে ঢুকে পড়তে সৰম৷ আর এই ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড বা সংৰেপে ইএমএফ শিশুর মসত্মিস্কে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়, যা কিনা শিশুদেরর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর৷ শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারনেই না, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক গেইম, বৈদ্যুতিক পাওয়ার লাইন এবং ওয়াই ফাই ব্যবহারও শিশুদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে৷ স্কুলে বৈদ্যুতিক দূষনের প্রভাব পড়ছে শ্রেনীকৰ শিশুটির পড়াশোনার উপরে৷ টরেন্টো স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ লার্নিং ডিসাবেলিটিস স্কুলে ইএমএফ হ্রাস করার জন্য ইএমএফ ফিল্টার স্থাপন করে, গোপনে এক গবেষনা করে দেখা গিয়েছে যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি উদ্যমী এবং সতেজ৷ এ প্রসঙ্গে গবেষক মাগদা হাবাস পিএইচডি জানান ” প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে আমি একটা ভুল করেছিলাম৷ আমি ধরে নিয়েছিলাম যে ইএমএফ ফিল্টার স্থাপনে এ অবস্থার উন্নতি হবে সর্বোচ্চ ৩-৫ ভাগ৷ কিন্তু পরবর্তীতে আমি ফলাফল দেখে চমকে উঠি যা ছিলো প্রায় ৫৫ ভাগ! এমনকি যারা এই ফিল্টার স্থাপনের পূর্বে এর বিরোধিতা করেছিলো তারাও পরে ভালো বোধ করছে বলে জানিয়েছে৷ সম্প্রতি সিকাগোর একটি শহরে এবং ইংল্যান্ডে অভিভাবক এবং সংশিস্নষ্ট অন্যরা এমনকি শিক্ষকেরা স্কুলে রেডিয়েশন ছড়ায় এমন যন্ত্র ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ তারা মনে করে এর ফলে তাদের শিৰার্থীদের নিওরোলোজিকাল সমস্যা হতে পারে৷ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে ঝুঁকির পরিমান কিছুটা কমিয়ে আনা যেতে পারেঃ মোবাইল/ কর্ডলেস ফোনের স্পিকার অন করে কথা বলা, শিশুদেরকেও এমনটি করতে উত্‍সাহিত করা৷ মোবাইলে কথা বলার চেয়ে টেঙ্ট/এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ বেশি করা৷ শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনেই আপনার শিশুকে মোবাইল ব্যবহার করতে দিন অবশ্যই এবং তার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে ৷ রাতে ঘুমাবার সময় মোবাইলের মনিটর আপনার ঘুমান্ত শিশুর কাছ থেকে অন্তত ৬ ফিট দূরত্বে রাখুন৷ আপনার রান্নাঘরে যদি মাইক্রো ওভেন থেকে থাকে তাহলে শিশুদের কে রান্নার সময়/ওভেন ব্যবহারের সময় দূরে রাখুন৷এমনকি ইস্ত্রি ব্যবহারের সময়ও শিশুদেরকে দূরে রাখুন৷ কারন ওভেন এবং ইস্ত্রি উভয় থেকেই ব্যবহারের সময় ইএমএফ নির্গত হতে থাকে যা কিনা বড়দের চেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অধিক ৰতিকর৷ গর্ভবতী মায়েদেরেকে অবশ্যই মোবাইল / কর্ডলেস ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে, তার গর্ভের শিশুটির সঠিক ভাবে বেড়ে ওাঠার প্রয়োজনেই৷ গবেষনা প্রমান করেছে যে মাত্রারিক্তি বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে আপনার গর্ভে থাকা সনত্মানটি বিকলঙ্গ হতে পারে এমনকি তার শ্রবন শক্তিও ব্যহত হতে পারে এবং শিশুর নার্ভ সিস্টেম গ্রোয়িংএ বাধা সৃস্টি করতে পারে সেই সাথে এটি মিস ক্যারেজ ও সনত্মান প্রসবের অসুবিধা হওয়ার মতো ভয়াবহ সব সম্ভাবনাকেও ডেকে আনতে সৰম৷ গবেষনায় এও প্রমানিত হয়েছে যে শিশুরা স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যনত্ম তাদের উপরে গর্ভাবস্থায়ী মায়ের মোবাইল/কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়৷ নিজেকে এবং শিশুকে অদৃশ্য তবে স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর ইএমএফ থেকে রৰা করতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারেঃ দিনের শুরুতেই এক কাপ বুস্ন বেরী খেতে পারেন, যা কিনা আপনার দিনকে চমত্‍কারভাবে শুরু করতে সহায়ক হবে৷ নিয়ম করে মাঝে মাঝে শুকনো বড়ই খেতে পারেন৷ শুকনো বড়ই এ ইউনিক এন্টি অঙ্ডি্যান্ট থাকে, যা কিনা বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশনের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে৷ প্রতিদিন ৪-৫ টি বাদাম খাওয়া যেতে পারে৷ খাবারে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান আলুবোখারা যোগ করা যেতে পারে৷ বাঁধা কপি এবং ফুল কপি খেতে পারেন৷ যা কিনা আপনার দেহকে রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহায্য করবে৷ নিয়মিত ২ চামচ মধু খেতে পারেন৷ সপ্তাহে ৩-৪ দিন নিয়ম করে প্রতিদিন একবার ঘোল খেতে পারেন৷ তহলে আজ থেকেই শুরম্ন হোক আপনার শিশুকে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে সুরৰার কাজটি৷ যার ফলে নিশ্চিত্‍ হবে তার সুস্বাস্থ্যবান আগামী৷

–(ইন্টারনেট অবলম্বনে) ইসতিয়াক আহমেদ শাওন

সকালের নাস্তা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ !

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সকালে নাসত্মা খাওয়াটা প্রায় সব বয়সের লোকের জন্যই উপকারি বিশেষ করে শিশুদের জন্য৷ শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাসত্মা খেয়ে থাকে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের চেয়ে অধিক সফল৷ মিশরের এঙ্টেনশস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডা জনশন এর মতে পুষ্টিবান শিশুরা শেখার ৰেত্রে অধিক আগহী হয়ে থাকে, কাজের প্রতি আধিক মনোযোগী হয়ে থাকে , এবং শ্রেনী কৰে তাদের তাদের আচরণ থাকে অধিক ইতিবাচক এবং সেই সাথে তারা তাদের ফলাফল ভালো করার জন্য সবসময় উদ্যমি থাকে৷ এমনকি বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতির হারও থাকে তুলনামুলকভাবে বেশি৷ অধিকন্তু যারা সকালে নাসত্মা খায় না তাদের ভেতরে উদ্যমতায় ভাটা থাকে এবং পাকস্থলি সংক্রানত্ম বিভিন্ন রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে৷ শিৰকেরা জানিয়েছে যে যখন কোন শিশু না খেয়ে ক্লাসে আসে তখন তারা সেটা বুঝতে পারে শ্রেনীকৰে শিশুর মনোযোগের মাত্রা দেখে৷ এছাড়াও সকালের নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে সাহায্য করে৷ Dietary Guidelines for Americans Committee মতে শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাস্তা খায় না তাদের প্রয়োজনের চেয়ে কম অথবা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবার ঝুঁকি রয়েছে৷ বয়স্কদের জন্যও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়েছে৷ সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে যে সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের ওজনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই আমরা অনেকেই সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকি শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য৷ সাধারণত যারা সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকে, পরবর্তিতে তারা হাই ক্যালোরির অন্য খাবার খেয়ে থাকে এমনকি দুপুরেও তারা তুলনামূলক অধিক খাবার খেয়ে থাকে৷ যার ফলে ফলাফল সম্পূর্নই বিপরীত হয়ে থাকে৷ যে সকল শিশুরা শিখতেছে (ছাত্র) সকালে নাসত্মা খাওয়ার অভ্যাস তাদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ন এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ অভ্যাস৷ যার ফল তারা তাদের সমগ্র জীবনেই ভোগ করবে৷ গবেষনায় আরো প্রমানিত হয়েছে যে – যারা প্রায় ১ বছর মেইনটেনেন্স করে স্বাস্থ্যবান ওজনের অধিকারি হয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা খেয়েছে৷ সকালে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে অপরিসিম ভূমিকা রাখে৷ এমনকি সকালের নাসত্মা নিজেই তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিশুরা অধিক অত্নসচেতন এবং দায়িত্ববানও হয়ে ওঠে৷ ইন্টারনেট অবলম্বনে অনুবাদে –ইসতিয়াক আহমেদ শাওন