আগষ্ট মাসের মাসিক সভা ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে বিশেষ আলোচনা সভা

আজ ২০ শে আগষ্ট ১৫, বিকাল ০৩:০০ ঘটিকার সময় আগষ্ট মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ও মাসিক সভা শেষে, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে এক বিশেষ আলোচনা সভা করে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

বাল্যবিবাহ রোধে নির্দিষ্ট হটলাইন

আমাদের সামজে অনেক সচেতন মানুষ থাকলেও সঠিক স্থানে তথ্য দিতে না পারায় বাল্য বিবাহের মত কাজ গুলো প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। অনেকের বাড়ীর আশে পাশে বাল্য বিবাহ হয়ে থাকে।জানানোর বা প্রতিরোধের উপায় জানা না থাকার কারনে বাল্য বিবাহ তাদের সামনেই ঘটে চলছে।
বাল্যবিবাহ রোধে যোগাযোগ মাধ্যম সহজ করার লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া দুইটি নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে চালু করে। যেখানে তথ্য প্রদানকারী পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। যার সফলতা স্বরুপ তার কিছুদিন পর বারখাদা ইউনিয়ন এ একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।
এনসিটিএফ কুষ্টিয়ায় হটলাইন ব্যবহারের প্রক্রিয়াঃ
২০১২ সালে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া উপলব্ধি করে যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে ফেসবুক ক্যাম্পেইন শুরু করে। তখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় সাড়া কম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সে সময়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয় এবং স্টিকার সহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
পরবর্তীতে কমিটির পরিবর্তনের ফলে সাময়িক স্থবিরতা আসে। কিন্তু গত জানুয়ারী ২০১৫ তে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলাতে কুষ্টিয়ায় আবার হটলাইন চালু করা হয়। এক্ষেত্রে কুষ্টিয়া এনসিটিএফ এর জেলা ভলান্টিয়ার এবং জেলা কমিটির সভাপতির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে দৌলতপুর উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
হটলাইন ব্যবহারে সফলতাঃ
কুষ্টিয়া সদর সহ আশে পাশের এলাকার বাল্যবিবাহ সমূহ বন্ধ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে (সীমান্তবর্তী) পুলিশ কন্যার বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন সংগ্রহে সকলের আগ্রহ অনেক বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পাশাপাশি এনসিটিএফ এর সদস্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এনসিটিএফ সম্পর্কে জানার আগ্রহে তারা সহজে হটলাইনে যোগাযোগ করছে।
হটলাইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসাধারণের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
সহজ মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে বলে অনেকে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে তথ্য প্রদান করতে উৎসাহিত হয়।
বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ সমূহ সম্পর্কে খুব সহজে এনসিটিএফ অবহিত হতে পারে।
তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
অসুবিধাসমূহঃ
অনেক সময় অনেকেই ভুল তথ্য দিলে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। ফলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এর ফলে প্রতিরোধকারীদের উপর অন্য রকম প্রভাব পড়ে। ফলে এক ধরনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
হয়রানিমূলক কল। ইত্যাদি

চ্যালেজ্ঞসমূহঃ
নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী মোবাইল নাম্বার।
পর্যাপ্ত পরিমান মোবাইল ক্রেডিট থাকা।
স্থানীয় প্রভাবে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হওয়া।
যদিও বাল্য বিবাহ  পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে শিশুরাই বন্ধ করে থাকে।  আর প্রতিরোধের সময় শিশুরা সরাসরি প্রত্যক্ষ জড়িত থাকে। এর ফলে পরবর্তিতে ঐ শিশুর নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
একটি স্থায়ী, নির্দিষ্ট এবং সহজ মোবাইল নাম্বার হটলাইন নাম্বার হিসেবে ব্যবহার করা।
কুষ্টিয়ায় ব্যাপকভাবে হটলাইনের প্রচার বাড়ানো।
হটলাইনের জন্য নির্দিষ্ট একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বরাদ্দ।

 

মোঃ আসাদুজ্জামান
কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার
এনসিটিএফ প্রজেক্ট
সেভ দ্য চিলড্রেন।

বগুড়ার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করল এনসিটিএফ বগুড়া

গত ১৮ই আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বগুড়ার মালতীনগরস্থ মা ও শিশু কন্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) বগুড়ার প্রতিনিধি দল।এসময় তারা হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড, কেবিন এবং অপারেশন থিয়েটার ঘুরে দেখেন।

ওয়ার্ডের নবজাতক মা এবং রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় হাসপাতালের সেবার মান সন্তোষজনক।ডাক্তার এবং নার্সরা তাদের নিয়মিত খোঁজ নেন।তাদের কাছ থেকে তেমন কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলেও স্বরেজমিনে দেখা যায় বাথরুম ও টয়লেট গুলো তেমন পরিস্কার নয়।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান (মেডিকেল অফিসার) এর সাথে হাসপাতালের মা ও শিশুদের সেবার মান এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা  বললে তিনি জানান হাসপাতালে ২জন ডাক্তার এবং ৬জন নার্স সার্বক্ষণিক মা ও শিশুদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।আর বাথরুম-টয়লেটের অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ স্বীকার করে তিনি কথা দেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং সার্বক্ষণিক নজরদারীর ব্যবস্থা করবেন।

মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন এনসিটিএফ বগুড়ার সভাপতি জাওয়াদুল করিম জীসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিশু সাংবাদিক সামিউল ইসলাম,পারমিতা ভট্টাচার্য; শিশু গবেষক আবীদ শাহারিয়ার, আফসানা সাদিয়া এবং জেলা ভলান্টিয়ার  মোহনা আক্তার।

 

নরসিংদী তে আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসব উদযাপন

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : ব্যাপক উৎসাহের সাথে নরসিংদী তে ” আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসব ২০১৫ ” উদযাপিত হয়েছে। প্রথম আলো’র সহযোগিতায় এবং সিটি ব্যাংক এর অর্থায়নে প্রথমবারের মতন নরসিংদী তে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়।

বেলা ১০:০০ টায় অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গনিত অলিম্পিয়ার্ড এর মহাপরিচালক জনাব ড. মুনির হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক জনাব আবু হেনা মোর্শেদ জামান।  আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ সিটি ব্যাংক ‘ এর শাখা ব্যাবস্থাপক জনাব মো: নুরুজ্জামান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব খন্দকার নুরুল হক । প্রতিযোগিতায় নরসিংদীর প্রায় ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। অংশগ্রহনকারীগন ২টি ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়। প্রজেক্ট প্রদর্শন এবং কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয় ।পুরস্কার বিতরনের আগে ড. মুনির হাসান তার বক্তব্যে বলেন , বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশের সাফল্যের পর এখন এশিয়া মহাদেশে প্রথম হবার স্বপ্ন দেখতে হবে আমাদের ।

দুপুর ১টায় প্রজেক্ট পরিদর্শন ও কুইজ এর উপর ভিত্তি করে ঢাকায় পরবর্তী রাউন্ডের জন্য প্রতিযোগীদের সিলেক্ট করা হয়। প্রজেক্ট পরিদর্শনের উপর ভিত্তি করে – ব্রাহ্মন্দী কে. কে. এম. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ; নরসিংদী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ; বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ; এন. কে.এম হাই স্কুল এন্ড হোমস ; সাটিরপাড়া কে কে ইন্সটিটিউট। পড়ে প্রেজেন্টেশন বিজয়ী এবং কুইজে বিজয়ীদের মাঝে প্রশংসাপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাঃ নওশের আলী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুকিপূর্ন ভবনে ক্লাস করছে। গত ১৬ আগষ্ট এনসিটিএফ সিরাজগঞ্জ স্কুল মনিটরিং এ যায়। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস করাতে হচ্ছে এমনটাই জানালো স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলেয়া আখতার বানু। এদিকে স্কুলের সামনের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় শিক্ষাথীদের স্কুলে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানালো সবাই। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে স্কুলে আসতে পারে না। কবে মিলবে এর প্রতিকার এমনটায় বললো শিক্ষার্থীরা?

নতুন পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জন এর সাথে এনসিটিএফ সিরাজগঞ্জের সাক্ষাৎ

১৭ই আগষ্ট এনসিটিএফ সিরাজগঞ্জ জেলার কমিটি নতুন পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে । এই সময় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি রেনেসাঁ আলম এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য নাজমুল হোসেন নতুন পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এই সময় তাকে এনসিটিএফ এর কাজ সর্ম্পকে অবহত করা হয়। তিনি এনসিটিএফ এর যে কোন প্রয়োজনে তার সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এনসিটিএফ কমিটির সকলের পক্ষ থেকে ফুল শুভেচ্ছা জানানো হয় জেলায় সদ্য আসা সিভিল সার্জন ডাঃ দেবপাল রায় কে। এ সময় তিনি এনসিটিএফ এর কাজের প্রশংসা করেন। হাসপাতাল মনিটরিং এর পরে কোন সমস্য থাকলে তাকে সরাসরি অবিহতি করার পরামর্শ দেন তিনি। যে কোন প্রয়োজনে সিভিল সার্জন থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এনসিটিএফ কে। আগামী ২০ আগষ্ট এনসিটিএফ এর ফ্রি রক্ত গ্র“প নির্ণয় কর্মসূচীর আওতায় সিভিল সার্জন থেকে সব্বোর্চ সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

এনসিটিএফ সিরাজগঞ্জের স্কুল কমিটি গঠন

গত ১৬ আগষ্ট এনসিটিএফ সিরাজগঞ্জ শহরের ডাঃ নওশের আলী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল কমিটি গঠন করে। স্কুলের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ভোটের মাধ্যমে পাচঁজন বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়। এই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এনসিটিএফ কার্যনিবার্হী কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে এনসিটিএফ সর্ম্পকে ধারণা দেওয়া হয়। গঠন করা এই নতুন কমিটি এখন থেকে শিশু অধিকার বাস্তকায়নে কাজ করবে।

খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এনসিটিএফ মানিকগঞ্জ স্কুল কমিটি

সুমন খান: আজ ১৭ই আগষ্ট এ সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময়, ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এনসিটিএফ স্কুল কমিটি গঠন করা হল। এতে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ  মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাসান শিকদার, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান সোহান, শিশু সাংবাদিক সুমন খান, জেলা ভলান্টিয়ার মহিদুর রহমান। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন এনসিটিএফ এর জেলা পত্রিকা ‘শিশু সংবাদ’ এর প্রধান উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস।

শিশু সাংবাদিক
মানিকগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ।

নোয়াখালী শিশুদের বৃক্ষ রোপন

11863215_924784774249045_3850297381014061083_n

বৃক্ষ রোপন করছে এনসিটিএফ এর সদস্যরা ।

আবদুল্লাহ আল মুহাইমিনঃসবুজের অভিযান” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৬ আগস্ট ২০১৫ এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন করা হয় । বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে নোয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায়  ১৬টি ফলজ গাছের চারা রোপন করা হয়। এ কার্যক্রমে সভাপতি তনিমা রহমান, সহ-সভাপতি আবু নাছের, শিশু সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মুহাইমিন,চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য ইমরান সহ সাধারণ সদস্য ফয়সাল,শুভ,সাকিব, জেলা ভলান্টিয়ার শিমুল মজুমদারসহ অনেকে অংশগ্রহন করেন।

শিশু নির্যাতন ও হত্যার প্রতিরোধে মানববন্ধনে এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার অংশগ্রহণ ।

মুসাব্বির হোসেন(কুষ্টিয়া)ঃ দেশব্যাপি শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আজ ১৬ই আগস্ট কুষ্টিয়া জেলাতে সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া থানা মোড়ে স্থানীয় ২০টি সংগঠনের পাশাপাশি জাতীয় পার্যায়ে শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এন.সি.টি.এফ.) মানববন্ধন অংশগ্রহন করে । উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠনের বক্তারা শিশু নির্যাতনের তিব্র নিন্দা জানান ।img_1160sobujbarta

এবং এ সময় কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন তার সংক্ষিত বক্ত্যবে  সরকারকে প্রতি আহ্বান জানায় শিশু নির্যাতনের বিপরীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত বাহিনীকে “জিরো টলারেন্স” প্রদানের জন্য  এবং শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত মামলা গুলো যাতে দ্রুততার সাথে নিস্পত্তি করা যায়, সে লক্ষ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে অধীনে বিচার করা এবং দৃষ্টান্ত করার জন্য আহ্বান জানান যেন ভবিষতে আর শিশুকে এভাবে হত্যা না করা হয়  ।

ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এন.সি.টি.এফ.) জাতীয় পর্যায়ের একমাত্র শিশু সংগঠন যা বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত এবং শিশুদের দ্বারাই গঠিত ও পরিচালিত। সংগঠনটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে চলেছে। এনসিটিএফ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে বাংলাদেশের শিশুদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এনসিটিএফ শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও স্বীকৃত এবং শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা  ইতিমধ্যে ১৩ টি চাইল্ড পার্লামেন্ট সেশন আয়োজন করতে সফল হয়েছি। যেখানে মন্ত্রীপরিষদের সম্মানিত মন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য সফলতার পাশাপাশি জেলা এন.সি.টি.এফ. ও সফলতার ঝুড়িকে ভারি করেছে ।

উল্লেখ্য কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. জেলা প্রশাসক কে অবহিত করনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক কক্ষটি জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ না করা নিশ্চিত করেছে  এবং এর পাশাপাশি কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. আরও সাফল্য রয়েছে ।

img_1150sobujbarta১৯৭১ সালে বর্বর পাকিস্তানি আর তাদের দোসররা মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করেছে শত শত শিশুকে। অগ্নিকুণ্ডে ছুড়ে ফেলেছে কাউকে, হাত-পা টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে কোনো কোনো শিশুর। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় বাঙালি মায়ের কোল থেকে শিশু কেড়ে নিয়েছে বিহারিরা।img_1111sobujbarta

সেই শিশুকে ছুড়ে দিয়েছে আকাশের দিকে, তারপর বর্শা কিংবা তলোয়ার উঁচিয়ে ধরেছে, শিশুটি গেঁথে গেছে তাতে। কোনো কোনো বাঙালি শিশু বর্শায় গেঁথে বীভত্স উত্সব করেছে নরকের ওই সব কীট।

আজ স্বাধীনতার এতকাল পর এ দেশের শিশু হত্যাকারীরা সেই বর্বরদেরও ছাড়িয়ে গেছে।