মহান মে দিবসের অঙ্গিকার হোক শিশু শ্রম বন্ধ করা।

মুসাব্বির হোসেন: NCTFশিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, শিশুরাই গড়বে দেশ এসব কথা এখনো যেন ঝিমিয়ে রয়েছে বই এর পাতায়। এই ডিজিটাল প্রযুক্তির দুনিয়ায় সব নারী-শিশু-বৃদ্ধ-তরুণ-তরুনী সবাইকে হিসেব করা হয় অর্থের অংকে। শিশু কিশোরদের কাজে নেয়া যাবে না এমন কথা জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে নানা সংগঠন গুলো বিভিন্ন কর্মশালা করছে শিশু নিয়ে আর সংগঠন গুলোর মধ্যে অন্যতম ভাবে কাজ করছে ন্যশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এন.সি.টি.এফ) আমাদের একটাই বার্তা শিশুর অধিকার নিশ্চিত হোক , শিশু শ্রম বন্ধ হোক, শিশুদের ঝুঁকি পূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুক । কিন্তু শিশুর অধিকার বিষয়ক আইন আমাদের দেশে কাগজে কলমে থাকলেও প্রয়োগ নেই কোথাও। বাস্তবতার দিকে একটু চোখ ফেরালেই দেখতে পাওয়া যায় এ শিশুদের বিরাট একটি অংশ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু অন্যদিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে ৩২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ১৮ বছরের নিচে কোন শিশু ঝুকি পূর্ণ কাজে নিয়োজিত করতে পারবেনা । কিন্তু বাসের হেলপার, ওয়েল্ডিং কারখানার কাজ, বিড়ি তৈরীতে, তুলা ও আশ জাতিয় শিল্পের কাজ, কামার শিল্প, রিক্সা, ভ্যান, সিএনজিঅটোরিক্সা, টমটম, নসিমন করিমন চালানো, বাসা বাড়ীর গৃহস্থালির কাজ সহ ২৯৫টি ঝুঁকি ও বিপদজনকপেশায় নিয়োজিত রয়েছে হাজারো শিশু। কাজ করতে গিয়ে এদের অনেকেই হাত-পা, চোখ হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আবার কেউ কেউ ধিরে ধিরে হাপানী, শ্বাসকষ্ট,যক্ষা, ক্যান্সারের মতো মারাত্বক রোগেরশিকার হচ্ছে নিজের অজান্তেই। যে বয়সে যাদের হাতে থাকার কথা কলম,থাকার কথা কাঁধে খাতা বই, সেই হাতে শ্রমের হাতিয়ার, সেই কাঁধে দুর্ভাগ্যের বোঝা।