বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভূমি ও ভবন সংরক্ষনের দাবীতে মানিকগঞ্জের স্থানীয় শিশুদের মানববন্ধন

আজ ২১ শে আগষ্ট ১৫, সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় মানিকগঞ্জের স্থানীয় শিশু ও অভিভাবকেরা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভূমি ও ভবন সংরক্ষনের দাবিতে, মানিকগঞ্জ শিশু একাডেমী সংলগ্ন শহীদ রফিক সড়কে মানববন্ধন করে।

আগষ্ট মাসের মাসিক সভা ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে বিশেষ আলোচনা সভা

আজ ২০ শে আগষ্ট ১৫, বিকাল ০৩:০০ ঘটিকার সময় আগষ্ট মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ও মাসিক সভা শেষে, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে এক বিশেষ আলোচনা সভা করে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

বাল্যবিবাহ রোধে নির্দিষ্ট হটলাইন

আমাদের সামজে অনেক সচেতন মানুষ থাকলেও সঠিক স্থানে তথ্য দিতে না পারায় বাল্য বিবাহের মত কাজ গুলো প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। অনেকের বাড়ীর আশে পাশে বাল্য বিবাহ হয়ে থাকে।জানানোর বা প্রতিরোধের উপায় জানা না থাকার কারনে বাল্য বিবাহ তাদের সামনেই ঘটে চলছে।
বাল্যবিবাহ রোধে যোগাযোগ মাধ্যম সহজ করার লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া দুইটি নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে চালু করে। যেখানে তথ্য প্রদানকারী পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। যার সফলতা স্বরুপ তার কিছুদিন পর বারখাদা ইউনিয়ন এ একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।
এনসিটিএফ কুষ্টিয়ায় হটলাইন ব্যবহারের প্রক্রিয়াঃ
২০১২ সালে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া উপলব্ধি করে যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে ফেসবুক ক্যাম্পেইন শুরু করে। তখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় সাড়া কম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সে সময়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয় এবং স্টিকার সহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
পরবর্তীতে কমিটির পরিবর্তনের ফলে সাময়িক স্থবিরতা আসে। কিন্তু গত জানুয়ারী ২০১৫ তে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলাতে কুষ্টিয়ায় আবার হটলাইন চালু করা হয়। এক্ষেত্রে কুষ্টিয়া এনসিটিএফ এর জেলা ভলান্টিয়ার এবং জেলা কমিটির সভাপতির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে দৌলতপুর উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
হটলাইন ব্যবহারে সফলতাঃ
কুষ্টিয়া সদর সহ আশে পাশের এলাকার বাল্যবিবাহ সমূহ বন্ধ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে (সীমান্তবর্তী) পুলিশ কন্যার বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন সংগ্রহে সকলের আগ্রহ অনেক বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পাশাপাশি এনসিটিএফ এর সদস্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এনসিটিএফ সম্পর্কে জানার আগ্রহে তারা সহজে হটলাইনে যোগাযোগ করছে।
হটলাইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসাধারণের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
সহজ মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে বলে অনেকে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে তথ্য প্রদান করতে উৎসাহিত হয়।
বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ সমূহ সম্পর্কে খুব সহজে এনসিটিএফ অবহিত হতে পারে।
তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
অসুবিধাসমূহঃ
অনেক সময় অনেকেই ভুল তথ্য দিলে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। ফলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এর ফলে প্রতিরোধকারীদের উপর অন্য রকম প্রভাব পড়ে। ফলে এক ধরনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
হয়রানিমূলক কল। ইত্যাদি

চ্যালেজ্ঞসমূহঃ
নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী মোবাইল নাম্বার।
পর্যাপ্ত পরিমান মোবাইল ক্রেডিট থাকা।
স্থানীয় প্রভাবে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হওয়া।
যদিও বাল্য বিবাহ  পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে শিশুরাই বন্ধ করে থাকে।  আর প্রতিরোধের সময় শিশুরা সরাসরি প্রত্যক্ষ জড়িত থাকে। এর ফলে পরবর্তিতে ঐ শিশুর নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
একটি স্থায়ী, নির্দিষ্ট এবং সহজ মোবাইল নাম্বার হটলাইন নাম্বার হিসেবে ব্যবহার করা।
কুষ্টিয়ায় ব্যাপকভাবে হটলাইনের প্রচার বাড়ানো।
হটলাইনের জন্য নির্দিষ্ট একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বরাদ্দ।

 

মোঃ আসাদুজ্জামান
কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার
এনসিটিএফ প্রজেক্ট
সেভ দ্য চিলড্রেন।