কুড়িগ্রামে শিশু নির্যাতন রোধ ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে এনসিটিএফ এর স্মারকলিপি প্রদান

১লা ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায়  ন্যাশনাল চিলড্রেন’স ট্রাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুড়িগ্রাম জেলা কার্য-নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে শিশু নির্যাতন রোধ ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আবদুল লতিফ খান স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী,সহ-সভাপতি সংগ্রামী প্রীতি বাঁধন, সাধারন সম্পাদক আতিয়া সানজিদা স্মৃতি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাদিক হোসেন রাহাদ, স্কুল কমিটির সদস্য সালামুন, জেলা ভলান্টিয়ার মোফছেনা সুলতানা, ফারজানা ইয়াসমিন মৌসুমি প্রমুখ।

ভোলায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (মাঝের চর) উপকূলের শিশুরা

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন মদনপুরে দারিদ্রতার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।জরিয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ন কাজে। যে বয়সে শিশুদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা সেই বয়সে স্কুল গামী শিশুরা যাচ্ছে নদীতে মাছ ধরতে, মাঠে মাঠে গরু-ছাগল চড়াতে কেই বা সহযেগীতা করছে বাবা মায়ের কাজে এরা বাবা, ভাই অথবা অন্য কারো সাথে নৌকায় করে মাছ ধরতে যায়। ১-২ দিন পর ১০০-২০০ টাকা পায়। ফলে পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটন কিছুটা কমিয়ে এনেছে এ সকল শিশুরা।

দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন যাকে লোকে মাঝের চর নামে চিনে। ঐ চরে ৬-৭ হাজার লোকের বসতী । স্কুলগামী শিশুদের সংখ্যা প্রায় ১০০০-১২০০ শতাধিক। বসতীদের জীবিকা উপার্জনের প্রধান মাধ্যম মৎস্য শিকার ও চাষাবাদ করা। বর্ষার মৌসুমে তাদের চলাচলের এক মাত্র বহন নৌকা। পরিবারের অভাবে-অনটনের কারনে উপার্জনের তাগিদে তাদের জীবন জরিয়ে যাচ্ছে ঝুকিপূর্ন কাজে। ফলে ঐ চরে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। যদি ও ঐ চর টি তে ৮টি প্রাইমারী স্কুল ও ১টি নিম্ম মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু সে সকল স্কুলের কোনটিতে আবার শিক্ষক সংকট আবার কোনটিতে শিক্ষকদের অবহেলা এমত অবস্থায় চরের শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে পড়াশোনা থেকে।

একই এলাকার কামাল মাঝি বলেন আমাগো অভাবের সংসার আমি কী ভাবে আমার পোলাপাইনেরে পড়ামু। তাছলিমা বেগম বলেন আমার পেলাডারে স্কুলে দিছিলাম কিন্তু কয় দিন পরই পোলার বাপে পোলারে নৌকায় লইয়া যায়। ইব্রাহীমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান এই চরের প্রায় সব শিশুরাই কোন না কোন কাজ জড়িয়ে পড়েছে অভাবের তাড়নায়।